১))ওধারে আধাঁর
আষাঢ়ের ঝড়ো হাওয়ায়
ছিটকে পরে আছে
কদম কলি
কাঁদা মাটি রাস্তায় !!
এধারে রঙ্গিন ঝাড়বাতি
টিম টিমে আলোয়
পরে রয়
শূন্য ফুলদানি !!
২))এই রাতের মতই নিস্তব্দ নিথর নিঃশ্বাস
কবে যে ঘুমিয়ে গেছে...
ঘুটঘুটে আধাঁরের বুকে যে অচেনা একলা পাখি
রোজ রাতে কাঁদে-
তাকেও তো খুঁজে খুঁজে পায় নি অবশেষে কোন জোনাক আলো
এই নিস্তব্দতা যে যার মত,
নিথর নিঃশ্বাস আরও দীর্ঘশ্বাস...
আমি এক মুঠো দীর্ঘশ্বাসকে মুক্তি দিয়েছিলাম
ডানার ভর করে উঠে যেতে,
এক মুঠো দীর্ঘশ্বাস মুক্ত আমি সেই একলা পাখি,,,,,!!
৩))যত টুকু বুনন,,,ঠিক ততটুকুই
যত টুকু ভুল,,,ঠিক ততটুকুই
এ বিশ্বময় আধাঁরে হাতরে পাবে ঠিক যত টুকু রেখেছিলে,,,,
নিজের অচেনা স্থির ছায়ায়
পাবে না যখন কোন মায়া,
রৌদ্রদগ্ধ প্রান্তরে ছিল শুধুই ধুধু মরুভূমি
দৃশ্যমান হবে হয়ত,,,,
হাতের মুঠোতে কোন আঙ্গুলি
হয় তো থাকে নিশ্চুপ ঘুমিয়ে,,,
তপ্ত বালুকণার মরিচিকায়
গলে গলে ক্ষয়ে যাচ্ছে
লিখা হয় নি কোন কাগজের পাতায় সেই সব,,,,
হয়ত,,,আমাদের সবই অদেখা অজানা রয়ে যাবে এই বিশ্বময় আধাঁরে,,,, !!
৪))সারা রাত টুপটাপ জল গড়ে পাতাদের চোখ বেয়ে... অন্ধ আকাশ নিঃসঙ্গ বেদনায় নৈশব্দের মন্ত্র জপে চলে... আকস্মিক জোনাকিরা ভুল করে আলোক ছটায় পুনঃ পুনঃ জন্ম তুলে দেয় আধাঁরের গ্রীবায় !!
৫))আধাঁরের গন্ধ মাখা ছোপ ছোপ জলরেখা পথে
নিস্তব্দ নিঃশ্বাসেরা পার্থিব হাওয়ার ফ্রেমে করে এ নগরী ঘুরে বেড়ায়,
ঘুংগুরের আওয়াজ বরফ খন্ডে ঢুকে
স্থির জাদুঘরে রাত্রিকালীন উৎসবে মেতে থাকে,
রজনীর নয়নে ফোটায় ফোটায় আশ্চর্য রুক্ষনীল
ধ্বনিত হৃদপিন্ডে ঝিঁঝির আর্তনাথ,
শাই শাই শব্দে সে আজ আসছে
পৃথিবী সে ছায়ায় ঢেকে যাবে আসছে....
একটু একটু করে শাই শাই ঝিরিঝিরি হাওয়ার মাতালে.......!!
৬))ছায়ার মত এক কাল নৈঃশব্দ এসে
ঢেকে ফেলে আমায়
আমি অন্ধকার থেকে আগত
এক অন্ধ পথিক
মিশ্র হাওয়ার পাল আমাকে জানিয়ে গেল তাদের দুঃখ
মৃত্তিকার গভীরে ক্ষুড়ছে যে সরযন্ত্র
তা জানিয়ে গেল পিপীলিকার দল
তবুও আমি জাগি না জাগা হল না
নৈঃশব্দের সর্বনাশ থেকে,,, !!
৭))এই আধাঁরেই শুধু তোমার হাতটি খুঁজি ,,,দুটি হাত এক হলেই আলো ফোটবে এখনই,,,,,,!!