১৩ দফা নয় মাত্র ৩ দফা দাবি সরকারের কাছে-
১. মাদ্রাসা, মিশনারি স্কুল সহ বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কে প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে। তাদের ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ব্লগ, ওয়েবসাইট এমন কি ফেসবুক সম্পর্কেও ধারনা দিতে হবে। পাঠ দান করানো হবে পজিটিভ প্রেক্ষিতে। গ্রহন অথবা বর্জন শিক্ষার্থী ঠিক করে নেবে। যেন কেউ ব্লগ মানেই নাস্তিকতা না বোঝে। এটা ২০১৩ সাল, বিশ্ব আগাচ্ছে। নর্থ সাউথের একটি থেকে গ্যালাক্সি ট্যাবে দুনিয়া ঘুরবে আর আলাকান্দা গ্রামের এক মাদ্রাসার ছেলে কে ব্লগার মানেই নাস্তিক বোঝানো হবে, তা হবে না।
২. মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যসূচী তে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। দেশ বিভাগ, ৫২, ৬৯, ৭১, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৪ ডিসেম্বর, ১৬ই ডিসেম্বর যেন সবার ঠোটের আগায় থাকে। এটা ধর্মীয় মাদ্রাসা কিংবা ইংলীশ মিডিয়াম সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারন বাংলা মিডিয়াম/ইংলীশ মিডিয়াম এর দৌড় দেখছি, ২১ শে ফেব্রুয়ারী বিজয় দিবস আর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবস, তাইলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্যাচ লাগাইলে মুচকি হাসবো, ত আর হবে না। ওরা আমাদেরই ভাই।
৩. মাদ্রাসা /মিশনারী/বৌদ্ধ/হিন্দু সকল শিক্ষক কে একটি ট্রেনিং এর আওতায় আনতে হবে। যেখানে তাদের কেও প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক দেখানো হবে। তারা না জেনে ভুল তথ্য যেন না দেয় সে দিকে খেয়াল রাখা সরকারের দায়িত্ব। আজ একজন মাওলানার বক্তব্যে কষ্ট পেয়েই এটা বলা, তার ব্লগ সম্পর্কে ধারনা নেই কিন্তু তিনি ব্লগার দের ফাসি চান। ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং শান্তিপূর্ন উপায়ে সমালোচনা করুন। জবাই করে নয়।
পরিশেষে, ডিজিটাল সরকার, নামে নয় কাজে এর প্রতিফলন ঘটাতে আপনাকেই হবে। ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায় বলেছে এক মাদ্রাসা ছাত্র, এর দায় আপনার। বাংলা মিডিয়ামের একজন বলেছেন বেশ কিছুদিন আগে ২১শে ফেব্রুয়ারী বিশাল যুদ্ধ হয়েছিলো। একটি চাল টিপ দিলে বুঝা যায় ভাত ফুটছে কিনা। জানি আমার এ কথা ওত উপরে যাবে না, তাও নাগরিক হিসেবে,দায়িত্ব আর বিবেচনাবোধ দিয় আমার তিনটি দাবি জানালাম , ভেবে দেখবেন।
সিডাটিভ হিপনোটিক্স