বাংলাদেশে কয়েকটি আকর্ষনীয় স্থানের মধ্যে তাজহাট জমিদার বাড়ি ডে ট্যুর এর জন্য সুন্দর একটি জায়গা। এই ঐতিহাসিক প্রাসাদটি ২০ শতকের শুরুতে নির্মিত হয়েছিল। এটি রংপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত এবং বর্তমানে জনসাধারণের জন্য একটি যাদুঘর হিসেবেও পরিচিত।
এই মন্দিরের সামনে প্রায় ৭৬ মিটার দীর্ঘ এবং উচ্চতায় ২ তলার সমান। প্রাসাদটির উপরে রয়েছে একটি অস্টকোণীয় গম্বুজ, এটি প্রাসাদের মুকুট হিসেবেও পরিচিত। এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি যা বিশ্বের সারা বিশ্ব থেকে দর্শকদের মোহিত করে। এই শতবছর এর পুরনো প্রাসাদ এর গঠন এবং নকশা মধ্যে যে অবিশ্বাস্য স্থাপত্য দক্ষতা রয়েছে, তা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। তবে অবাক করা ব্যাপার হলো সামান্য টুপির ব্যাবসা থেকেই এই প্রাসাদটির জন্ম।
১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মান্না লাল রায়ের নামে একজন মানুষ ভারতের পাঞ্জাব থেকে একটি টুপি বা টুপি ব্যবসায়ী হিসেবে ভ্রমণ করেন। সেখানে একটি বিশাল টুপি বাজার ছিল যেখানে বাণিজ্য নিয়মিতভাবে মাহিগঞ্জের হাফ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এলাকাটি তখন থেকে তাজ (টুপি) হাট (বাজার) নামে পরিচিত হয়ে উঠে । মান্না লাল রায় একজন চালাক এবং বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী ছিলেন যিনি তার টুপি বিক্রির মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ সংগ্রহ করেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি এত সমৃদ্ধ হন যে তিনি ১৭৭০-১৭৯০ এর দুর্ভিক্ষের সময অই় অঞ্চলের ভাইসরয়দের অনেককে ঋণ দিতে সমর্থ ছিলেন। এভাবে তিনি প্রচুর ক্ষমতা এবং প্রভাব প্রতিপত্তি অরজন করেন। অবশেষে তিনি তাজহাটির রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা করেন। ১৯০০ এর দশকে তার পরোক্ষ উত্তরাধিকারী গোবিন্দলাল রায়, তাজহাটের শেষ ভাইসরয় ও রাজা। গোবিন্দলাল রায় সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষিত ভাইসরয় ছিলেন তাঁর অবস্থান গ্রহণের জন্য এবং তাঁর সময় তাজহাট প্রাসাদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রাসাদের বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আছে যা লাল রায় ভাইসরয়ের অবিশ্বাস্য সম্পদকে সাক্ষ্য দেয়। বিল্ডিং এর অপরিমেয় আকার ছাড়াও বিল্ডিং সামনে সম্মুখে মার্বেলএর তৈরি সিঁড়ি আর সুন্দর নকশা করা দরজা এবং জানালায় পাওয়া যায়।
কিভাবে যাবেন?
রংপুর থেকে এই জায়গা দেখার জন্য আপনি রিক্সা বা অটো রিকশা (ব্যাটারি চালিত রিক্সা) নিতে পারেন।
ঢাকা থেকে রংপুর যেতে পারেন ২ ভাবে,
বাই রোড বা ট্রেন।
ঢাকা ও রংপুর রোডে যেসব বাস চলে তাদের কিছু কন্টাক্ট নাম্বার নিচে দেয়া হলো:
1. এস আর ট্রাভেলস:
যোগাযোগ: 0119-1863689, 0119-1863691, 0119-863673
2. গ্রিন লাইন :
যোগাযোগ: 00-02-9112287, 9133145, 017-300-60006
3. টি আর ট্রাভেলস:
যোগাযোগ: কায়লানপুর: 01711-394801, 9033793,
গাবতলী: 90312২6
মহাখালী: 0155-২31 5831,
উত্তরা: 01711-394 804
4.মিম :
যোগাযোগ: গাবতলী: 01911-01 36 94, 01734-২২ ২9 71
5. আলহামরা ট্রাভেলস:
যোগাযোগ: গাবতলী: 88-02-9005612 সেল: 01721-80২ 031
কোথায় থাকবেন?
রংপুরের থাকার ব্যবস্থা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। জেলার অনেক হোটেল / মোটেল আছে, তাদের কিছু নিচে দেয়া হলো:
1. Parjatan Motel:
যোগাযোগ: 0521-62111
2. হোটেল নর্থ ভিউ:
যোগাযোগ: 0521-55405, 052155406
ওয়েব: http://hotelnorthview.com/
3. হোটেল ক্যাস্পিয়া
যোগাযোগ: + 880521-61111, + 8801977-22774২
4. হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার
যোগাযোগ: 65920
5. পার্ক হোটেল
যোগাযোগ: 0521 66718
কিছু পরামর্শ:
1. কেনাকাটার জন্য আপনি রংপুর সিটি সেন্টারে অবস্থিত রাস্তা দিয়ে জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে যেতে পারেন।
২. সপ্তাহের এক / দুই দিন বন্ধ থাকে জাদুঘর।খোজ নিয়ে যাবেন।
ইউটিউব ভিডিও:
দেখা না গেলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
https://youtu.be/XCU7CN_6RX4
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯