ছেলেটার সপ্ন--
যে আমি কখনো একটো আওয়াজ করতে সাহস পেতাম না সে আমি একদিন কেমন করেই যেন দুঃসাহসী হয়ে গেলাম। তোকে বলেই দিলাম ভালোবাসি।
আর তুই সেই আমাকে--- না তোর তো কোন দোষ ছিলনা। তুই তো আমাকে বন্ধু ভেবেছিলি। আমিই শুধু আগ বারিয়ে তোকে----
মেয়ে, একটো খানি জায়গা কি তোর বুকের জমিনে পাবার যোগ্যতা আমার ছিলোনা?? চাইনি তো কখনো তোর বুকে কষ্টের পাহাড় হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে, চেয়েছিলাম শুধু নুড়ি হয়ে মিশে যেতে তোর মন সমুদ্রে। কি হলো আর তবে এক জীবনে???
নুড়ি বানিয়ে তোর ভেনিটি ব্যাগের এক কোনায় তো রেখে দিতে পারতি আমায়? কেউ টের পেতনা। অগোচরে থেকে যেতাম আমি তোর কাছাকাছি। বল তুই-- তাহলে কেন ছুড়ে দিলি আমায় ফেরারী বানিয়ে সেই উড়নচন্ডী ঢেউগুলীতে??
আমি এখনো মস্ত রাতে অন্ধকারে হাতড়ে বেরাই তোকে। ভাবি এই বুঝি তুই আবার এলি, এই বুঝি তুই বলবি আয় বুকে জড়িয়ে নেই তোকে কিংবা সুরমা করে চোখে লুকিয়ে রাখি তোকে।
তোর সেই দুঃসাহসী বন্ধু তোকে এখনো আগের মতো করেই---
মেয়েটার বাস্তবতা--
এতোটা ভালবাসো কেন আমায়?? ভাবতে গেলেই কেপেঁ উঠি নিজের অজান্তে। উত্তর খুজে পাইনা কোন। দিশেহারা আমি দিক-বিদিক ছুটোছুটি করি। চোখ খুলে সামনে তাকালেই দেখি শুধু সীমাহীন অন্ধকার। আলোতে ফিরে আসার পথ যে আমি অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। শুধু ভয় হয় এখন। হারাবার ভয়। আবার যদি নতুন করে হারাতে হয় না পেয়েই? জীবনের প্রতিটা পরতে পরতে তোকে এতো কষ্ট দিয়েছি তবু কেন আমাকে তুই এতোটা...... কেউ হয়তো ঠিকি বলেছিলো- সাক্ষাত ভগবানও দুটি কাজ করতে পারেনা-- আরেকটা ভগবান বানাতে পারেনা আর ঘৃণা করতে পারেনা। বল তুই-- তুই কি আমার সেই ভগবান ??
নুড়ি কেন... নীল হয়েই মিশে থাক তুই আমার নীল সমুদ্রে। আমি তোকে ঠিকি ঢেউ হয়ে স্পর্শ করবো প্রতি মুহুর্তে আর আমার চোখের জলে তাকালেই দেখবি সেই নীলের প্রতিচ্ছবি।