ইসলামি ব্যাংকিং ইসলামকে ব্যাবহার করে অর্থ্যাত বাংলাদেশের ধর্মভীরু,ধর্মপ্রাণ মানুষের সফ্ট কর্ণার ব্যাবহার করে এক ধরণের ব্যাবসা ছাড়া আর কিছু নয় । আর এ ক্ষেত্রে ধর্মকে বাজেভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে এবং ধোকা দেয়া হচ্ছে ইসলাম ধর্ম এ বিশ্বাসীদের।
১. ইসলামী ব্যাংক যে স্লোগানটি ব্যাবহার করে তা হচ্ছে- ‘আল্লাহ সুদকে করেছেন হারাম,আর ব্যবসাকে করেছেন হালাল’। এক্ষেত্রে ব্যাবসা করে ব্যাংক-কোন গ্রাহক নয়। গ্রাহক শুধু মাত্র টাকা ইনভেস্ট করে এবং লাভ নেয়, তাই তা ব্যাংকের জন্য হালাল হলেও গ্রাহকের জন্য সুদ।
২.এটাকে যদি ব্যাবসা বলে ধরে নিই। তাহলে ব্যাবসায় লাভ-ক্ষতি উভয়ই থাকবে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন গ্রাহক ইসলামী ব্যাংক এ যে পরিমাণ টাকা রেখেছে তার চেয়ে কম টাকা কী কখনও সে উড্র করেছে ? সবসময়ই লাভ সমেত উড্র করে থাকে। এর মানে ব্যাংক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও গ্রাহককে ক্ষতির ভাগীদার হতে হচ্ছে না। আর যদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো তাহলে গ্রাহক ইসলামী ব্যাংক এ টাকা রাখত কি-না সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সুতরাং এটা গ্রাহকের জন্য ব্যাবসা নয় সুদ। অথচ ইসলামি নামধারী ব্যাংকগুলো তাকে কখনই সুদ বলে না,কারণ তার উদ্দেশ্যটাই অসত।
৩.ইসলামী ব্যাংক দুই ভাবে মানুষকে ঠকাচ্ছে- # যে পরিমাণ লাভ গ্রাহক পাওয়ার কথা (যেহেতু নির্দীষ্ট করা নেই,যদিও বা অবশ্যই আভ্যন্তরীনভাবে তা নির্ধারিত করা) গ্রাহকের সেই অংশ থেকে সে একটা অংশ নিয়ে নিচ্ছে # আবার নির্ধারিত অংশ থেকেও লাভের একটি অংশ তারা নিচ্ছে। যাতে তারা ডাবল লাভ অর্জন করছে।
৪.বাংলাদেশের সকল ব্যাংক একই নিয়মের আওতাভূক্ত আর তা নিয়ন্ত্রন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই সব নিয়মের বাইরে গিয়ে কোন ব্যাংক এরই তার নিজস্ব নিয়মে চলা অসম্ভব।কাজেই ইসলামী ব্যাংক আলাদা নিয়মে চলে এ কথা বলা মানুষকে ধোঁকা দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়। একটা ময়লা পানির পুকুর থেকে এক আাঁজলা পানি নিলে তা কখনও বিশুদ্ধ হতে পারে না। তা ময়লাযুক্ত ই হয়