সরকার বিভিন্নখাতে ভর্তুিক দিয়ে থাকে। এভাবে রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যয় না হয়ে অপচয় হচ্ছে। যদিও ভর্তুকি না দিয়েও উপায় নাই। কারণ দেশের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বেচে থাকার নূন্যতম ব্যবস্থা না করলে তাদের পক্ষে টিকে থাকা কিংবা শিক্ষা অর্জন না করে আরও নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হবে। তবে ভর্তুকদিলেও এমন ভাবে দেওয়া উচিত যাতে খুব বেশি দিন দিতে না হয় এবং যা দেওয়া হচ্ছে তার যেন একটা সুদুরপ্রসারী ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও ভর্তুকিদিতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে অনিয়ম, দূর্ণীতিরমাধ্যমে প্রচুর টাকা নষ্ট হচ্ছে। ফলে খুব একটা সুফল আসছে না। অথচ রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য যদি দরিদ্র জনগণকে একটা নির্দিষ্ট খাতে ভর্তুকিদিয়ে তাদেরকে স্বাবলম্বী করা যায়, সে ব্যবস্থা করা দরকার।
এসমস্যার সমাধানের জন্য নিমোক্তব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এক সন্তান বিশিস্ট প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসিক ১০০০/২০০০ টাকা সরাসরি ভর্তুিক দেয়ার ব্যবস্থা। শর্ত থাকবে ঐ শিশুকে পড়ালেখা করতে হবে। তখন আর শিক্ষাখাতে সরকারকে উপবৃত্তি বা বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ এবং শিক্ষার্থীদেরকে বিনা বেতনে বা নাম মাত্র বেতনে শিক্ষার সুযোগ দেয়ার দরকার হবে না। এতে করে শিক্ষকদেরকে একটা সম্মানজনক বেতন-ভাতাদি দেওয়া যাবে। ফলে শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।
এতে করে ঐ পরিবারটি স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। ফলে ঐ পরিবারবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা/ আইনী সেবা/ বয়স্ব ভাতা সেবা এগুলো দেওয়া দদরকার হবে না। এতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমবে। কমবে বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা শিশু খাদ্য, খেলনা, পোষাক, ঔষুধ, ইলেকট্রনিক্স সামগী ইত্যাদি। ফলে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে। সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি বাড়ানো সম্ভব হবে। কমবে দূর্ণীিত /অপচয়। কাজ হবে আন্তরিকভাবে। এমনকি কৃষি খাতে যে ভর্তুকি দেয়া হয়, তারও আর প্রয়োজন হবে না।