গত এক মাস ব্লগে পুরাই নিষ্ক্রিয় ছিলাম। মাঝে মধ্যে এসে একটু উঁকি দিয়া গেছি কিন্তু কোন পোস্ট দেই নাই, মানে দিতে পারি নাই একটা বিশেষ ব্যস্ততার কারণে। মোটামুটি ভালো একটা লেখা লিখতে হইলে আমার কম কইরা হইলেও চার ঘণ্টা সময় লাগে টানা। গত এক মাসে টানা চার ঘণ্টা সময় বের করাই যায় নাই। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে লেখার উদগ্র বাসনা ছিল মনের মধ্যে, যেমন ধরেন পরীমনি ইস্যু। এইটা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিমত আছে আর সবার মতো। এছাড়া আরেকটা ইস্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হইছে তাহলো বিশিষ্ট টিকটকার অপু ভাইয়ের একটি টিভি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া নিয়ে আমাদের শহুরে মধ্যবিত্ত/ উচ্চবিত্ত ভদ্রলোক শ্রেণির যে গা-জ্বালা শুরু হইছিল তা নিয়া কিছু বলার প্রচণ্ড ইচ্ছা হইছিল। অনেকের কাছেই এইগুলা লেখার কোন বিষয়ই না। আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই বিষয়ে লেখার ইচ্ছা মইরা যায় নাই, শীঘ্রই সুযোগ ও সময় মিলা মাত্র লিখে ফেলবো।
এবার যে কাজে বিজি ছিলাম তা নিয়া বলি। দুইটা ফিল্মের কাজে হাত দিছিলাম। আমার আবার নাটক সিনেমার খুব শখ। ফুলটাইম চাকরি কইরা এসব করতে গিয়া দুনিয়াদারি ভুলতে বসছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অপারেশন নিয়া একটা ডকুমেন্টারির কাজ করতেছি গত তিন বছর ধইরা। এবার ভাবছিলাম শুটিং শেষ করতে পারবো, কিন্তু না শুটিং শেষ করতে আরো সময় লাগবে। এইবারের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে হাতে একটা লেখা লিখছি, টাইপ করা হয় নাই। সেটাও লিস্টে থাকলো। আরেকটা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিকশনের কাজ করেছি এই ফাঁকে। গত মাসেই শুটিং করেছি। ছেচল্লিশ ঘণ্টা এডিটিং শেষে আট মিনিটের একটা ফিল্ম হইছে। ফিল্মের নাম ‘আ ফ্রেন্ডশিপ ডিল’। গতকাল দর্শকের জন্য ইউটিউবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
লিংক দিয়া দিলাম, সময় পাইলে দেখে আসতে পারেন। ভালো লাগলে বা না লাগলে সেইটা জানাইতে পারেন। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে কাজ করার নিয়ত করছি, দর্শকের মতামত কাজে লাগবে।
এটা এক বাবা আর তার ছেলের বন্ধুত্বের গল্প। বিস্তারিত বলার কিছু নাই। ফিল্মেই সব বলা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪