কম্পিউটারে গেম খেলতে কে না ভালোবাসে বলুন? কিন্তু আপনি যদি কখনো আপনার প্রিয় গেমের সিডিটি বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে সেটি ইনস্টল করতে না পারেন অথবা গেমটি ইনস্টল করেও খেলতে না পারেন অর্থাৎ রান করাতে না পারেন তবে কিন্তু আপনার মেজাজ ঠিক থাকে না। শুধু আপনি কেন, যেকোনো গেমারেরই তা হয়ে থাকে এবং রাগে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে। না গেমার, মাথার চুল ছেড়ার কোনো প্রয়োজন নেই, ওগুলো বরং ঠিকঠাক রেখে প্রথমে বুঝতে চেষ্টা করুন আসলে সমস্যাটি কোথায়। যদি কোন গেম সঠিক ভাবে ইনস্টল করার পরও তা না চলে তবে আপনার জন্য প্রথম টিপস হচ্ছে মাথা ঠান্ডা রাখা। মাথা ঠান্ডা রেখে নিজেই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করুন। চলুন তাহলে দেখা যাক আপনি কোনো গেম খেলতে গেলে কী কী সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সেই সমস্যাগুলোর সমাধানই বা করবেন কী ভাবে?
সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্টসঃ বর্তমান সময়ে বাজারে যেসব উন্নতমানের অর্থাৎ ভালো গেম রিলিজ পাচ্ছে সেই গেমগুলো খেলতে হলে আপনার প্রয়োজন পড়বে একটি উন্নতমানের কম্পিউটার। উন্নতমানের গেম খেলবেন অথচ আপনার কম্পিউটার হবে সেই পুরোনো যুগের তা তো হয় না। এখনকার গেমগুলো খেলতে হলে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে একটি ভালোমানের এজিপি অথবা গ্রাফিক্স কার্ডের। ভালোমানের একটি গ্রাফিক্স কার্ডের অভাবে সহজেই আপনি একটি গেম খেলা থেকে পুরোপুরি ভাবে বঞ্চিত হতে পারেন। আর তা ছাড়াও অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডডিস্ক স্পেস, ভালো অ্যামাউন্টের র্যাম, ভালোমানের প্রসেসর, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি তো রয়েছেই। তাই গেমার কোনো গেম কেনার পূর্বে সেই গেমটির মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্টস আপনার পিসির রিকোয়্যারমেন্টস-এর সঙ্গে মিলিয়ে নিন। সাধারণত প্রায় সব গেমেরই রিকোয়্যারমেন্টস এর সিডিতে দেয়া থাকে অথবা সিডির প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। তবে মাঝে মধ্যে সেখানে ভুল রিকোয়্যারমেন্টসও দেয়া থাকতে পারে, আবার রিকোয়্যারমেন্টস দেয়া নাও থাকতে পারে। তাই কোনো গেম কেনার পূর্বে ইন্টারনেট থেকে সেই গেমের সঠিক রিকোয়্যারমেন্টসটি জেনে নিন এবং সেটি আপনার পিসি’র রিকোয়্যারমেন্টস-এর সাথে ম্যাচ করছে কি না তা লক্ষ্য করুন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারপর বাজার থেকে গেমটি কিনে আনুন। যেকোনো গেমের সঠিক সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্টস জানার জন্য আপনি িি.িমধসবুড়হব.পড়স অথবা িি.িধপঃরড়হঃৎরঢ়.পড়স -এ খোঁজ নিতে পারেন।
অপারেটিং সিস্টেমঃ কোনো গেম কেনার পূর্বে জেনে নিন সেটি কোন অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর। অর্থাৎ সেটি ডরহফড়ংি ৯৮, ডরহফড়ংি ঢচ না কি খরহীঁ –এর জন্য তৈরিকৃত। অনেক সময় দেখা যায় ডরহফড়ংি ৯৮ -এ চলে এমন গেম ডরহফড়ংি ঢচ -তে চলে না। আবার উইন্ডোজ নির্ভর গেমও কিন্তু খরহীঁ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে না। তবে এসব সমস্যা বিভিন্ন প্যাচ ফাইল কাজে লাগিয়ে সমাধান করা যায়, অর্থাৎ এসব প্যাচ ফাইলের মাধ্যমে আপনি উইন্ডোজ নির্ভর গেমও লিনাক্সে চালাতে পারবেন। আর এইসব প্যাচ ফাইল আপনি বিভিন্ন গেমিং ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আপনি যে গেমটি খেলতে চাচ্ছেন সেটি কোন অপারেটিং সিস্টেমে চলবে তা জানার জন্য আপনি গেমটির সিস্টেম রিকোয়্যারমেন্টস-এর দিকে নজর দিন। আশা করি তা পেয়ে যাবেন।
আপডেটেড গ্রাফিক্স ড্রাইভারঃ গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য সব সময় এর আপডেটকৃত ড্রাইভারটি ব্যবহার করুন। এ জন্য আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন। গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার সমূহ নিয়মিতই আপডেট করা হয়। এ জন্য আপনি ৩-৪ মাস পরপর আপডেটকৃত ড্রাইভারের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করুন এবং খুঁজে পেলে তা ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। কারণ গেম ডেভেলপারগণ তাদের গেমগুলো তৈরির পর বাজারে ছাড়ার আগে এসব আপডেটকৃত ড্রাইভারে তাদের গেমগুলো পরীক্ষা করে নেয়। তাই সব সময়ের জন্যই এসব আপডেটেড ড্রাইভারগুলো ব্যবহার করা উচিৎ। যার ফলে গেমটি খেলতে গেলে এই সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবে না এবং গেমটির পারফরমেন্সও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
ডাইরেক্ট এক্সঃ ডাইরেক্ট এক্স হলো একাধিক ড্রাইভার এবং অচও (অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ঢ়ৎড়মৎধসসরহম রহঃবৎভধপব)-এর একটি সেট। এটির মাধ্যমে গেমগুলো গ্রাফিক্স, সাউন্ড ও ইনপুট ডিভাইস সংক্রান্ত ফাংশনগুলো ব্যবহার করে। কোনো লেটেস্ট গেম খেলতে হলে আপনার লেটেস্ট ভার্সনের ডাইরেক্ট এক্স এর প্রয়োজন পড়বে। বর্তমানে এর ১০ ভার্সনটি পাওয়া যাচ্ছে। তবে আপনি আপডেটেড ডাইরেক্ট এক্স ভার্সন পাওয়ার জন্য মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। িি.িসরপৎড়ংড়ভঃ.পড়স/ফরৎবপঃী এই ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিন আপনার ইনস্টল করা ভার্সনের পরে কোন আপডেটেড ভার্সন এসেছে কি না। যদি এসে থাকে তবে সেটি ডাউনলোড করে পিসিতে ইনস্টল করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি যে গেমটি খেলতে চাচ্ছেন সেটি চলার জন্য প্রয়োজনীয় ডাইরেক্ট এক্স সাপোর্ট আছে কি না। এ ছাড়াও ডাইরেক্ট এক্স করাপ্ট হলে সমস্যা দেখা দেবে। এর ফলে আপনি গেমটি খেলা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হতে পারেন অথবা গেমটি চললেও গ্রাফিক্স ও সাউন্ড সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। ডাইরেক্ট এক্স-এর করাপশন বা ডাইরেক্ট এক্স কম্পিউটারে ইনস্টল করা না থাকলে আপনি যে ইরোর পাবেন তা সাধারণত উরৎবপঃ ৩ফ.ফষষ, উরৎবপঃ ংড়ঁহফ সংক্রান্ত। আপনার কম্পিউটারে ডাইরেক্ট এক্স ইনস্টল করা থাকে সাধারণত প্রোগ্রামস ফাইলস ফোল্ডারের ভেতরে ডাইরেক্ট এক্স ফোল্ডারে। ডিএক্সডায়াগ (উীউরধম) নামে একটি ইউটিলিটি আছে যা ডাইরেক্ট এক্স-এ কোনো সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখে। এটি রান করলে প্রতিটি সেকশনের নিচে দেখাবে কোনো ইরোর আছে কি না। সব সেকশনে “ঘড় ঢ়ৎড়নষবস ভড়ঁহফ” লেখা আছে কি না তা খেয়াল করুন। যদি কোনো ইরোর আছে এ রকম রিপোর্ট পান তবে পুনরায় আপনাকে ডাইরেক্ট এক্স ইনস্টল করতে হবে। আর উীউরধম ইউটিলিটি চালানোর জন্য প্রথমে প্রোগ্রামস ফাইলসের ভিতরে ডাইরেক্ট এক্স ফোল্ডারে গিয়ে তার ভিতর সেট আপ নামের ফোল্ডারে প্রবেশ করুন। এখানেই আপনি ইউটিলিটিটি পেয়ে যাবেন।
ইরোর মেসেজঃ আচ্ছা আপনি কি নিশ্চিত যে যখন সেটআপ চালিয়েছেন তখন কোনো ইরোর মেসেজ পাননি ? সাধারণত ইরোর মেসেজগুলো এরকম হয়ে থাকে- “ঝবঃঁঢ় রং ঁহধনষব ঃড় ৎবধফ ংড়ঁৎপব ভরষব ড়ৎ ফরংশ. জবঃৎু, অনড়ৎঃ, ওমহড়ৎব.” এক্ষেত্রে আপনি যদি ওমহড়ৎব বাটনটিতে ক্লিক করেন তাহলে সেটআপ হবে ঠিকই কিন্তু গেমটি না চলার সম্ভাবনাই থাকবে বেশী। অথবা গেমটি চললেও কোথাও বা কোনো পর্যায়ে এসে সমস্যা করবে। অর্থাৎ ধরুন আপনি গেমটি খেলছেন হঠাৎ করে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাবে অথবা গেমটি বন্ধ হয়ে ডেস্কটপ চলে আসবে। আবার আপনি এ ধরনের ইরোর মেসেজও পেতে পারেন- “ঝবঃঁঢ় ধিং ঁহধনষব ঃড় বীঃৎধপঃ ংড়সব ড়ভ ঃযব ভরষবং” সেক্ষেত্রে এটি নির্দেশ করে যে সেটআপ ঠিকভাবে কাজ শেষ করতে পারেনি। এরকম পর্যায়ে পড়লে একটি কাজ করতে পারেন আপনি। প্রথমে গেমটি আনইনস্টল করুন এবং পুনরায় সেটি ইনস্টল করার চেষ্টা করুন। এবার লক্ষ্য করুন কোনো ইরোর মেসেজ দেয় কি না। গেমটি আনইনস্টল করার সময় যদি কোনো ইরোর মেসেজ দেয় যে গেমটি আনইনস্টল হবে না, তবে যে ফোল্ডারে আপনি সেটি ইনস্টল করেছিলেন সেই ফোল্ডারে গিয়ে তা মুছে ফেলুন। কিন্তু তারপরও সেটআপ চালানোর সময় যদি কোনো ইরোর মেসেজ পান তাহলে মোটামুটি ভাবে নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার গেমের সিডিটিতে স্ক্র্যাচ আছে বা অন্য কোনো সমস্যা আছে। সাধারণত সিডিতে স্ক্র্যাচ থাকলে বা সিডি-রমের লেন্সে ধুলোবালি জমলে এ সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে সিডি-রম সম্পূর্ণ সিডিটিকে ভালো ভাবে পড়তে পারে না। সিডিটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন তাতে কোনো স্ক্র্যাচ আছে কি না, যদি থাকে তবে তা বদলে আনুন। তবে যদি সিডিটিতে স্ক্র্যাচ না থাকে তাহলে আপনি আপনার সিডি-রমের লেন্সটি ক্লিন করার উদ্যোগ নিতে পারেন। বাজারে সিডি-রমের লেন্স ক্লিন করার সিডি পাওয়া যায়। সেটি দিয়ে আপনার সিডি-রমের লেন্সটি ক্লিন করুন এবং আবারো একবার পরীক্ষা করে দেখুন। এবারও যদি সমস্যা করে তাহলে একেবারে একশত ভাগ নিশ্চিত যে সমস্যাটি আপনার কেনা গেমের সিডিটিতেই, সিডি-রমে নয়।
সিরিয়াল নম্বর অথবা সিডি-কীঃ এটি একটি অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। তবে নতুন ব্যবহারকারী অথবা অনভিজ্ঞ কেউ হলে তিনি হয়তোবা এখানেই আটকে যেতে পারেন। আসলে এটি একটি গুপ্ত নম্বর যেটি গেমটি ইনস্টলের সময় চেয়ে বসতে পারে। এই সিরিয়াল নম্বর বা সিডি-কী গুলো সাধারণত সিডির প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে অথবা সিডির ভিতরে জবধফসব.ঃীঃ, ঝবৎরধষ হঁসনবৎ.ঃীঃ, ঈউ-শবু.ঃীঃ নামক ফাইলে দেয়া থাকতে পারে। আপনি এসব যায়গায় ভালো করে খুঁজে দেখুন এবং যদি পেয়ে যান তবে সিরিয়াল নম্বর গুলো সঠিক ভাবে টাইপ করে দিয়ে দিন এবং ঘবীঃ অথবা ঙশ বাটনটিতে ক্লিক করুন, তাহলেই ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে।
ক্র্যাক ফাইল অথবা নো-সিডি প্যাচঃ যারা একটু অভিজ্ঞ গেমার তারা এ বিষয়টি সম্পর্কে বেশ ভালো ভাবেই অবগত আছেন। আর যারা একটু কাঁচা বা অনভিজ্ঞ তারা এখানে এসেই আটকে যান। ঠিক বুঝতে পারেন না কী করবেন। বেশীর ভাগ সময়ই এই ক্র্যাক বা নো-সিডি প্যাচ ফাইল না চালানোর জন্য অনেক গেমার গেম ইনস্টল করার পরও তা রান করাতে পারেন না। আমাদের দেশে যেসব গেমের সিডি বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোর দাম আনুমানিক ৪০-৫০ টাকা। কিন্তু আপনি যদি আসল গেমের সিডি কিনতে চান তবে আপনার একেকটি গেম কিনতে প্রয়োজন পড়বে ১৫০০-২০০০ টাকা। কী, চমকে গেলেন ? না, চমকাবার কিছু নেই। আমাদের দেশে যেসব গেম পাওয়া যায় সেগুলো কিন্তু মূল গেমের সিডি নয়। এগুলো মূলত পাইরেটেড ভার্সন। আর এ জন্য যারা গেমের সিডিগুলো বাজারজাত করে তারা সেসব গেমের সিডিগুলোতে ক্র্যাক বা নো-সিডি প্যাচ ফাইল দিয়ে দেয়। এই ফাইলটির কাজ হলো যদি কোনো গেমের ভেতরে কোনো ধরনের লকিং ব্যবস্থা থাকে অথবা আলাদা ভাবে কোনো আনলক করার ব্যবস্থা থাকে তবে তা অটোমেটিক করে দেয়। ফলে গেমটি চালাতে কোনো প্রকার সমস্যাই আর হয় না। গেমটি ইনস্টলের পর আপনার ক্র্যাক বা নো-সিডি প্যাচ ফাইলটির প্রয়োজন পড়তে পারে। আপনি যদি গেমটি ইনস্টলের পর চালু করার সময় এই ধরনের কমান্ড পান যে গেমের সিডিটি সিডি-রমে প্রবেশ করাতে হবে এবং তারপর গেমটি চালু করতে হবে, তাহলে গেমের সিডিটি সিডি-রমে প্রবেশ করান এবং গেমটি চালু করার চেষ্টা করুন। যদি চালু হয় তাহলে তো কথাই নেই, আর যদি চালু না হয় এবং সিডি-রমে উক্ত সিডিটি থাকার পরেও বারবার একই কমান্ড দেয় তবে সিডি ড্রাইভের ভিতরে ডাবল ক্লিক করে প্রবেশ করুন এবং সেখানে ক্র্যাক অথবা নো-সিডি প্যাচ নামে কোনো ফোল্ডার আছে কি না তা লক্ষ্য করুন। যদি থাকে তবে সেই ফোল্ডারের ভিতরে প্রবেশ করুন এবং সেখানে একটি ফাইল দেখতে পাবেন। ফাইলটি সিলেক্ট করে কপি করুন এবং গেমটি যেখানে ইনস্টল করেছেন সেখানে গিয়ে পেস্ট করে দিন। এখন একটি কনফারমেশন মেসেজ দেখতে পারবেন। এই কনফারমেশন মেসেজ বক্সের ণবং বাটনটিতে ক্লিক করুন। এখন গেমটি চালু করুন। তাছাড়াও ক্র্যাক বা নো-সিডি প্যাচ ফোল্ডারের ভিতর একটি জবধফসব.ঃীঃ ফাইল থাকে, যাতে ক্র্যাক বা নো-সিডি প্যাচ ফাইলটি চালানোর পদ্ধতি দেয়া থাকে। তাই জবধফসব.ঃীঃ ফাইলটি মনোযোগ সহকারে পড়–ন এবং সেই মোতাবেক কাজ করুন।
রেজিস্ট্রি ফাইলঃ অনেক সময় গেমের সিডিতে ক্র্যাক ফাইল নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি যেখানে গেমটি ইনস্টল করেছেন সেই ফোল্ডারে প্রবেশ করুন এবং লক্ষ্য করুন সেখানে জঁহৎবমরংঃৎু, জঊএঊউওঞ বা জবমরংঃৎু সংক্রান্ত কোনো ফাইল আছে কি না। যেটি রান করালে কিছু কোড রেজিস্ট্রিতে যোগ হয়, যা গেমটির জন্য প্যাচ হিসেবে কাজ করে। যদি এই ফাইলটি পেয়ে যান তবে তা ডাবল ক্লিক করে রান করুন এবং গেমটি চালানোর চেষ্টা করুন।
ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রামসঃ গেম খেলতে ভালো পারফরম্যান্স পেতে হলে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা সব প্রোগ্রামগুলোকে বন্ধ করে দিন। বিশেষ করে অহঃরারৎঁং এবং ঞৎড়লধহ ও ঝঢ়ুধিৎব স্ক্যানার সহ মেসেজিং ইউটিলিটি গুলোকে বন্ধ করুন। কারণ এসব প্রোগ্রাম জঅগ -এর বেশীর ভাগ জায়গা দখল করে থাকে ফলে মেমরি কনফ্লিক্ট করে এবং ক্র্যাশ করে ডেস্কটপ চলে আসে। এ জন্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে গেম খেলতে গিয়ে মাঝে-মধ্যে আটকে যায় এবং লোডিং হতে বেশ সময় নেয়। এই প্রোগ্রামগুলোকে বন্ধ করার জন্য ঝুংঃবসঃৎধু -তে দেখুন কী কী প্রোগ্রাম চালু আছে। ঝুংঃবসঃৎধু টি ঞধংশনধৎ-এর সাথে সংযুক্ত থাকে ঠিক ঝঃধৎঃ বাটনটির বিপরীত পার্শ্বে। এখানে আপনি কিছু আইকন দেখতে পারবেন, অর্থাৎ যেসব প্রোগ্রাম সেই মুহূর্তে চালু আছে সেগুলোর আইকনই মূলত দেখা যায়। এসব প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হলে সেসব প্রোগ্রামের আইকনের উপর রাইট ক্লিক করে ঊীরঃ করে দিন। তাহলে সেগুলো তখনকার মতো বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনার পিসির জঅগ-এর মেমরি ফ্রি হয়ে যাবে। ফলাফল, আপনার গেমটি চলবে স্মুথলি!
ভাইরাসঃ ধরা যাক আপনি কোনো গেম ইনস্টল করেছেন এবং তা কোনো রকমের সমস্যা ছাড়াই বেশ ভালো ভাবেই চলছিল বেশ কয়েক দিন। কিন্তু হঠাৎ সেটি বাধ সাধলো! অর্থাৎ আপনি গেমটি চালু করার চেষ্টা করছেন কিন্তু সেটি আর চালু হচ্ছে না এবং বিভিন্ন রকমের ইরোর মেসেজ দিচ্ছে। সাধারণত এটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি আসলে ভেবে পাচ্ছেন না কী করে আপনার কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলো। কারণ আপনার তো ইন্টারনেট সংযোগ নেই, তাহলে ? প্রিয় পাঠক, ঘাবড়াবেন না প্লিজ! আপনি যে গেমের সিডিটি থেকে গেমটি ইনস্টল করেছেন সেটিতে যে কোনো ভাইরাস ছিল না, তা কি আপনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবেন ? আমাদের দেশে যে সব গেমের সিডি কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো কিন্তু আসে বিভিন্ন সোর্স থেকে, যার ফলে সেখানে যে ভাইরাস থাকবে না- এমন সম্ভাবনা তো আর উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই প্রথমেই আপনার কাজ হবে একটি লেটেস্ট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে সম্পূর্ণ পিসিটিকে একবার স্ক্যান করানো। স্ক্যান করানো শেষ হয়ে গেলে এবার যে সব গেম চলছে না তা আন-ইনস্টল করুন এবং পুনরায় সেগুলো ইনস্টল করার পূর্বে গেমের সিডিটি একবার অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন যে সেখানে কোনো প্রকার ভাইরাস আছে কিনা। যদি না থাকে তবে আপনার কম্পিউটারে আগে থেকেই ভাইরাস ছিল তা বুঝে নিতে হবে। যার ফলে সমস্যা হচ্ছিল। যদি দেখেন যে গেমের সিডিটিতে ভাইরাস আছে তাহলে গেমের ফোল্ডারটি প্রথমে কম্পিউটারে কপি করে আনুন এবং তারপর ভাইরাস ক্লিন করার চেষ্টা করুন। ভাইরাস ক্লিন হয়ে গেলে এবার গেমটি খেলতে বসে যান নির্ভাবনায়। আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাইরাস যুক্ত গেমের ফোল্ডারটি কম্পিউটারে কপি করে এনে ভাইরাস ক্লিন করতে হবে কেন ? সরাসরি গেমের সিডি থেকে ক্লিন করলেই তো হলো। কিন্তু না গেমার, আপনি সিডি থেকে ভাইরাস ক্লিন করতে পারবেন না। কারণ, সিডি হচ্ছে রিড অনলি মেমরি ( জবধফ ড়হষু সবসড়ৎু )। যেখান থেকে কোনো কিছু মোছা যায় না, বা নতুন করে কোনো কিছু সংযুক্তও করা যায় না। আর তাই আপনাকে সেটি প্রথমে কম্পিউটারে কপি করতে হবে। ভাইরাস যুক্ত ফোল্ডারটি কপি করলে কোনো সমস্যা হবে না। আপনি যতক্ষণ না পর্যন্ত ভাইরাস যুক্ত ফাইলটি কম্পিউটারে রান করছেন, ততোক্ষণ পর্যন্ত ভাইরাস তার কোনো কাজ করতে পারবে না। আর সে জন্য প্রথমে ভাইরাসে আক্রান্ত ফাইল বা ফোল্ডারটি কপি করুন এবং তা চালু করার পূর্বেই ভাইরাস মুক্ত করে নিন এবং ভাইরাস মুক্ত হবার পরে তা আপনি নির্ভয়ে চালাতে পারবেন।
ভার্চুয়াল মেমরিঃ আপনার কম্পিউটারে যদি বেশী অ্যামাউন্টের র্যাম না থাকে অথবা যদি গেমটির জন্য যতটুকু র্যামের প