[img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/179512/small/?token_id=f2b2aab22d63d46e54e00beb22edb9c2
অন্য রকম জীবন
(পর্ব-২)
সকাল আমি ঘুমে থাকতেই ভাই ,অফিস চলে গেছেন , ঘুম থেকে ওঠে দেখলাম , টেবিলের উপর টাকা রেখে গেছেন , গতকাল রাতে বলেছিলেন যখন আসাদ গেইট এর রাস্তা ধরে হাট ছিলাম , যেন নিচে গিয়ে নাস্তা করি, কয়েক দিন এর জন্যে ভুয়া ছুটি নিয়েছেন ,দেশে গেছেন তার ছেলেকে দেখতে , একটা মাএ ছেলে , তিনটে মেয়ে, গ্রাম এ ছেলেটা মাদ্রাসায় পড়ে , মাদ্রাসার হুযুর , আমার পোলা ডারে বড় পছন্দ করে , পোলা ডারে , আমার লগে দেয় না , ডাকায় আসলে নাকি আমার পোলা নষ্ট হইয়া যাইব, আমি ওঁ তাই আর হুযুরের উপর দিয়া কিছু কই না নাই , বুকটার মধ্যেয় পাশান বাইন্ধা পইরা রইছি ।ভাই জান আমার ছেলেডা এতিম খানায় মাদ্রাসা , কি জানি কয় হ মনে পরছে লিল্লা বডিং এ থাকে আর পড়ে, পোলা আমার হাফেজ ভাই জান , আমার পোলার লাইগ্যা দোয়া করবেন, আরো অনেক কথা বল্য তার পর কি আর ছুটি না দিয়ে পাড়া যায় , আমি ওঁ ভাই এর সাথে হু হু করেছিলাম রাতে , তাহলে ছুটি দিতেই হয়। আমি ও এক মত প্রকাশ করলাম।
যাক কাল আমার খুব ভালো লেগেছিল , যে শেষ পর্যন্ত ছুটি টা খালা পেল, রেডি হলাম নিচে যাওয়ার জন্যে ,মোহাম্মদপুর এই প্রথম এলাম , তাই ভাই আরো বলেছিলেন যেন গুরা গুরি বেশি না করি , সব কিছু মাথায় রেখে বাহির হলাম নাস্তা কররা জন্যে, নাস্তা করলাম যথারীতি। মোহাম্মদপুর এর বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে বুদ্ধি জীবী গোরস্তান অন্যতম, তাই প্লান করলাম , বাসায় গিয়ে বোর না হয়ে বরং বুদ্ধি জীবী গোরস্তান থেকে গুরে আশি , সময় ওঁ কাটবে আর নতুন একটা স্থান দেখা ওঁ জানা হবে , যাওয়া যাক এখন ।
একটা রিক্সা নিলাম , আর বল্যাম চল বুদ্বিজীবি , প্রচুর ধোলা বালি রাস্তায় , আমর খোব সমস্যা হচ্ছিল, যাক শেষ পর্যন্ত, পৌছেগেলাম আমার গন্তব্যে, ভাড়া দিয়ে রিক্সা ওয়ালাকে বিদায় করলাম, ডুকে তেমন লোক সমাগম চোখে পরল না, ভাব লাম কোন জামেলা হবে না পুর পুরি দেখা যাবে নিখুদ ভাবে , দু-এক জন বাচ্চা হকার আর দু-এক জন আমার মত অবসর সময় কাটানো মানুষ , ভাবছিলাম আর মুচকি হাসছিলাম একেবারে ব্যকার হয়ে পরলাম মনে হয় আচমকা ঢাকা এসে , হঠাৎ করে , বল্যে বাদাম খাবেন বাদাম , আমি অনেকটা হেচকিয়ে গিয়ে বল্যমা না না যাও , নিজেকে সামলে নেয়ার জন্যে , নিজেকে যখন সামলে নিয়েছে ছেলেটা বেশি দূরে যায় নি তখন । ফ্যেকাসে মুক করে দারিয়ে আছে , আমি বাচ্চাটার দিকে তাকাতেই কেমন মায়া হল ওর প্রতি , সাথে সাথে আবার বল্যে বাদাম খাবেন , আমি হাত দিয়ে ইসারা করতে সামনে এলো , আবার বল্যে বাদাম দেই , এখন মুখ খানা আর ফ্যেকাসে নয় , হাসি হাঁসি একটা ভাব আছে , আমি মনের অজান্তে বল্যমা দে , আমার কাছে জানতে চাইলো কত টাকার দেমু , ১০ টাকার দাও, এখন পুরা খুসি খুব বড় একটা কিছু পেয়েছে মনে হচ্ছে, এত অল্পতে জারা এতটা খুসি, অথচ এখন আমি টাকা দেই নি বাদামের, মনে হয়,পেয়ে গেছে সবি , ফোকলা দাতের মৃদু হাঁসি , অথচ গায়ে কাপর নেই , নাভির ওপর থেকে পুরু শরীর খালি , দেহটা শুখনো কাঠের মত , পেট খানি খালি তা দেখলে বুজা যায় , মনে হয় এই শিশুটি পেট পুরে খায়নি কোন দিন এই জীবনে , কালো ছেম ছেমা দেহ , বুকের হার গুলো গনতে ডাক্তার লাগবেনা আমি পারব , বুকের হার গুলো দেখা যাচ্ছে পরিষ্কার ভাবে ,সারা গায়ে ধুলা বালি আর ময়লা মাখা , হাত পায়ের কোথায় কোথায় কাটা দাগ , ফাটা ফুটা এক খানা দেহ , রোগা পটকা এক খানা দেহ , মনে হচ্ছিল , বাদাম ভরা টুকরির ভার মনে হয় বইতে খোব কষ্ট হচ্ছে, চিৎকার করে বলছে , আমি আর পারছি না , কে শুনবে তার কথা , তার চেহারার মধ্যে জীবনের প্রতি দিনের প্রতি মুহূর্তের তিক্ততা , শারীরিক মানসিক বেদনার স্পষ্ট ভাবে চেহারার মধ্যে ফুটে ওঠছে, যে কেউ তা ইচ্ছে করলেই পরতে পারে , তার পর ও কি ভাবে হাসে আমি জানি না , বুঝতে ও বা উপল্বদি করতে পারছি না , হু............
কি ভাবতাছেন , আমি হেচকে গেলাম , দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে মনে মনে বল্যাম তোমার কথা , না তেমন কিছু না , তোমার টাকা নাও , আমার দিকে এগিয়ে আসলো খানিকটা , হতাশা গ্রস্ত মন আর নিদারুন কষ্ট ভরা চোখ নিয়ে, মানি ব্যাগ থেকে টাকা নিলাম , দিলাম ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে , আমি টাকা দিলাম , কেন জানি আমার মন এই ছেলেটির সাথে একটু কথা বলতে মন চাচ্ছে , কেন জানি । মনের অজান্তে ডাকলামও , এই শোন , ফিরে তাকালো আমার দিকে কছুটা ভয় আবার কিছুটা সংশয় কাজ করছে , আমি দেখতে পাচ্ছি কিশোর বালকের চোখে , ভয়টা হয়ত এই কারনে বাদাম খারাপ এর অভিযোগ করতে পারি , বাদাম ফিরিয়ে দিতে পারি , এই ভাব না চিন্তা বা দুশ্চিন্তা হয়তো মনকে বিব্রান্ত করছে ,
তোমার সাথে একটু কথা বলতে পারি , কিশোর বালকতা চোপ করে আছে বুঝতে পারছে না হয়তবা , তার পর আমি আবার প্রশ্ন করলাম তোমার নাম কি? তার পরও আমার কথার উওর দিলনা , একে বারে চুপ মেরে আছে , মনে হচ্ছে কথা বলতে পারে না , আর না হয় , হঠাৎ কোন নতুন কোন পরিবেশের মুখো মুখো মুখি দারিয়েছে তাই ভাষা হারিয়ে ফেলেছে , ফেল ফেল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, পলক পরছে না , টুকরিটা রাখো , আমার পাশে বসো , তোমার কি সময় হবে , তার পর ও কোন কথা বল্যে না , আমি এবার হাতে ধরে আমার পাশে বসালাম , তার পর কিছুক্ষণ চুপ চাপ ছিলাম , আমি আর একটু পাশে গেসে বসলাম
তোমার নাম কি?
আমার নাম মোঃ কামাল
বাহ খোব সুন্দর নাম , কে রেখেছে বাবা না মা , বাবা , বাবা কি করে , মারা গেছে , বাড়ির ছাদ থেকে পইড়া গেছিলো , হেনো কাম করতো , আমি আগে স্কুলে যাইতাম , বাবা প্রতি দিন দিত ৫ টাকা করে , বালটার চোখ গুলো ভারি হয়ে ওঠেছে , মনে হয় দুঃখ টা ভাগ করার সুযোগ পেল অনেক দিন পর , একটা প্রশ্ন করতেই অনেক উওর , ভাবলাম মার কথা বলি , তাহলে কথার ধরন বদলে যাবে
মা কেমন আছেন , আমি কমু কেমনে , বুঝলাম না , মা আরেকটা বিয়া করছে , অবশ্য মার কথা বলতে গিয়ে একবারের জন্যে ও কণ্ঠটা ভারি হয়ে ওঠে নি , মার প্রতি তার আবেগটা মরে গেছে , মার বিয়োগ ব্যথা তাকে এখন কাতর করেনা বিন্দু মাএ , নিথর পাথর হয়ে গেছে হৃদয় ,
তয় জানেন এখন একটা জিনিস খোব খারাপ লাগে আমার , কি জিনিস ভাই জান আমারে কেউ কামাল কইয়া ডাকে না , কেন ? আর তাহলে কি বলে ডাকে , কেউ কেউ যারা আপনাদের মত তারা ডাকে এই পিচ্ছি , আবার কেউ ডাকে এই বাদাম বলে, অবশ্য আপনাদের আর দোশ কি, আফনেরাত আর নাম জানেন না যারা জানে , তয় ফনেরা যখন ডাকেন তখন কষ্ট পাই তাদেরটা খোব কষ্ট পাই , আমার চিনা পরিচিত যারা আমারে কাল্লু কইয়া ডাকে , আমর খোব খুব কষ্ট পাই, তয় গরীবের আর কষ্ট কিশের , মৃদু হাসছে কষ্ট টাকে ডকার জন্যে , তার পর এক পা দু-পা করে মনের গহীনের কষ্টটা বুকে নিয়ে চলে গেল আমার কাছ থেকে , হয়তবা এই কিশোর তার জীবনের বাস্ত বতার মুখো মুখি দারাতে পারছে আর না হয় , প্রতি দিনের সামান্ন চাহিদা পুড়নের তারনায় , ছুটে চলেছে টুকরিটা সঙ্গী করে ।
আমরা আমাদের নাম কে বিখ্যাত করার জন্যে জন্মের পর যখন থেকে বুঝতে শিখেছি ঠিক তখন থেকে জার জার জায়গা থেকে , কাজ করে চলেছি আপন মনে , প্রত্যেকটা মানুষ চায় দেশ বিদেশ এ তার নাম ছরিয়ে যাক , নিজের নামটাকে নিজের জাতি আর সারা বিশ্ব শরণ করবে , সারা বিশ্বের মানুষের মনে নামটা থাকবে অম্লান হয়ে , যেমন আমাদের মাদার তেরেসা সারা জীবন ধরে মানব সেবা করেছে , মানুষের উপকার করেছেন , নিজের জীবনের সবটুকু চাওয়া পাওয়া , সব কিছু অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন মানবের তরে, তাই সবাই তার নামটা আজ স্বরন করেন গবীর সম্মানের সাথে , যদি আমাদের সমাজের সফল মানুষ গুলো একটু চেষ্টা করত তাহলে বদলে যেত সবি , সবচেয়ে বেশি দুঃখ জনক ব্যপার হলো আমাদের বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্যেও , আমাদের সরকারী লোক দের এই বিষয়ে কোন ধরনের অগ্রগতি দেখা যায় নি ।
অথচ সেই নাম যাকে মানুষ এত ভালোবাসে, কামালের এই সুন্দর নাম টা বিকৃত করে ডাকা হচ্ছে , এই কিশোর আজ সব যখন সব ভূলে , পাথর হয়ে ওঠেছে , কিন্তু তার নামরে বিকৃত রুপ তাকে দারুন ভাবে কষ্ট দিচ্ছে ।
আমরা সবাই জার জার জায়গা থেকে , ওঁদের পাশে দারাই , সব হারিয়ে যারা নিজেরাও আজ অন্ধকারের হারানোর পথে হাঠছে , তাদের কে আলোর পথ দেখাই , তাহলে হয়তো বদলে যেত এমন ভাবে বেরে ওঠা অল্প কিছু শিশুর জীবন।
কিছুক্ষণ গুরে দেখলাম পুরো জায়গাটা , অবশেষে আবার একটা রিকসা নিয়ে ফিরে এলাম বাসায়, মনটা খোব খারাপ হয়ে আছে , কি হবে এই শিশু গুলোর , তারা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতি দিন , কোথায় দেশের শিশু অধিকার আইন, তাহলে আইন কি শুধু বলার জন্যে জন সভায় ভাষণ দেয়ার জন্যে , নাকি শুধু খাতার পাতায় লিখা কিছু সাধু বাক্য হিসেবে পরিগণিত। এই প্রশ্ন গুলোর উওর কোথায় গেলে পাব , কোথায় গেলে পাব................................................................................................
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
এখানে সেরা ইগো কার?
ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।
‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন