somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৭ দিনের কারাবাস অবশেষে মুক্তি

৩০ শে অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৬:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অবশেষে আমি মুক্তি পাইলাম

আপনি নতুন ব্লগার
সামহোয়্যার ইন ব্লগ... এ আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ দেবার আগে আপনাকে ৭দিন পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। প্রথম পাতায় লেখা পোষ্ট করার সুবিধা পেতে ভালো লেখা পোষ্ট করুন এবং ব্লগের নিয়ম মেনে চলুন


অবশেষে আমি প্রথম পাতায় একসেস পেলাম,৭ দিনের বিশেষ ব্যবস্থায় অন্তরীন(পর্যবেক্ষন) রাখার কথা ছিল কিন্তু তার আগেই ৪ দিনের মধ্যে মুক্তি অর্থাৎ প্রথম পাতায় একসেস সুতরাং এটাকে জামিনে মুক্তি বলা যেতে পারে. যাই হউক একসেস যে মিলেছে এজন্য বহুত খোশ.. শুকরিয়া।
গত কয়দিন আমার অবস্থা ছিল নিতান্তই বন্দীদশার মত কেননা পোস্ট লিখেছি সেই পোস্ট প্রকাশিত নিজের ব্লগ পেইজে- প্রথম পাতায় নয়,আমাকে বলা হল আপনি লিখে যান।আমি লগইন করে নিজের ব্লগ পেইজ খুলি আর নিজেই পড়ি.(অনেকটা নিজে গান গেয়ে নিজে শোনার মত).কি করব! অন্যের ব্লগে গিয়ে মন্তব্য যে করব তার ও উপায় নেই কারণ আমি বিশেষ কারাগারে বন্দী একজন নতুন ব্লগার।যাক ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষ, ধন্যবাদ সবাইকে ,আমি এখন মুক্ত।

ব্লগে লিখতে পারার আনন্দের সাথে যোগ হয়েছে অন্য একটি মধুর আনন্দ-পরমানন্দ।ব্লগের বন্ধুদের সাথে এ আনন্দ ভাগাভাগি করার লোভ সামলাতে পারছিনা..নতুন আমি..তেমন গুছিয়ে লিখতে পারি না।জানি না কে কিভাবে নেবে।যাই হোক আসল কথায় আসি...।

আজই আমি মামা হলাম..আমার একমাত্র এবং সবারই ছোটবোন একটা ফুটফুটে ছেলের মা হয়েছে এই কিছুক্ষণ আগে,আমি উল্লসিত..অনেক..অনেক।বোনের এই ছেলেটি হবে আমাদের পরিবারের দ্বিতীয় পিচ্চি। তার আগে একটা আছে আমার বড় ভাইয়ের ছেলে 'অর্ণব'-বদের হাড্ডি একটা-আমাদের সবার প্রিয়।পিচ্চিরা যে কত প্রিয় হয় তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি আর এখনো পাচ্ছি..মুধুর যন্ত্রণা যাকে বলে..তার বাঁদরামির বিবরণ কোন একসময় বলা যাবে।
অর্নব যখন তার মায়ের পেটে পৃথিবীতে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আমি কর্মস্হল মুন্সীগন্জে কামলা খাটছি।ছুটিছাটা নেই।বড়ভাই ও প্রবাসী।বাসায় শুধু মা-বাবা আর ভাবী।তো এক রাত্রে ভাবীর পেইন উঠল..সে রাত ছিল তুমুল ঝঞ্জাবিক্ষুদ্ধ রাত..যেমন ছিল ঝড়ো হাওয়া তার সাথে পাল্লা দিয়ে অঝোর বর্ষণ..থামাথামির কোন লক্ষণ নেই।বাসার নিচতলার আজম আংকেলকে নিয়ে কোনমতে একটা ক্যাব নিয়ে ভাবী সহ মা-বাবা রওনা দিলেন মেটার্নিটি ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে।মাঝপথে গিয়ে ক্যাবচালক দেখে সামনের রাস্তা হাটুসমান পানিতে নিমজ্জিত।কি করা যায় এদিকে ঝড়ো হাওয়া আর বর্ষণের সাথে তাল মিলিয়ে অর্ণবের পৃথিবীতে আসার ক্রমবর্ধিন্ষু তোড়জোড়!!! আসবি যখন বাপ একটু পরে আয়..ঝড় থামুক..পানির উম্মাতাল ঢল কমুক..না!! সেটি হবার নয়!!! সে আসবে এই প্লাবনের মাঝে..তো ভাবী ক্যাবের ভিতর যণ্ত্রণায় কেঁপে কেঁপে উঠছে আর এদিকে আংকেল আর বাবা রিকশা খুঁজছে।কারণ এই হাটুপানিতে রিকশা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।অবশেষে এক হৃদ্য়বান রিকশাচালককে পাওয়া গেল..সে রাজী এই পুলসেরাত পার করতে..কিন্তু কিসের কি!!...রিকশা অর্ধপথে যেতেই ভাবী কঁকিয়ে উঠল।পাশে মা ভাবীকে ধরে আছে...দুপাশে বাবা আর আংকেল হাটুপানিতে...অবস্হাটা এমন আর একপাও সামনে আগানো যাবেনা।এমন সময় মা দেখে সামনে এক প্রাইভেট নার্সিহোমের সাইনবোর্ড..কিন্তু হাটুপানি ভেংগে ঐ দোতলা নার্সিহোমে ভাবী উঠবে কিভাবে? সেই দ্য়াবান রিকশাচালক বুজল ব্যাপারটা।সে বলল মা ভাববেন না ..আমি আপনাকে কোলে করে নিয়ে যাব..ভাবী প্রথমে না করলেও আমার মা রাজী হতেই বেচারা রিকশাচালক ভাবীকে কোলে করে অনেক কষ্ট করে দোতলায় নিয়ে যায়...অবশেষে এক ঘন্টা পর ভাবীর কোল আলো করে আসে 'অর্ণব'..সেই দ্য়াবান রিকশাচালকটিও মা বাবা আর আংকেল এর সাথে ওয়েটিংরুমে বসে ছিল...ভাবীর সন্তান না দেখে উনি যেতে চাননি...বাবা খুশি হয়ে এক হাজার টাকা উনাকে বখশিস দিয়েছিলেন..উনাকে বাসা্য় আসতে বলেছিলেন..যাননি..তাঁর জবাব ছিল...' বাড়ীতে আমার ছোট মেয়ে আছে,প্রথম মেয়েটা জন্মের পরপর নিউমোনিয়ায় মারা যায়..ঝড় বাদলের দিন.মেয়েটা না ঘুমিয়ে আমার জন্য বসে থাকবে'..বাবা আমাদের বাসার ঠিকানা দিয়েছিলেন মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য...উনি আর আসেননি...যাহোক এত জাকান্দানির মাঝে যার জন্ম সে তো বান্দর আর বদের হাড্ডি হবেই...ছোটবোন মুনিয়ার ছেলে ও হবে আস্ত ইবলিশ..কারন তার জন্মের সময় ও প্রকৃতি বিক্ষুদ্ধ - চার নং বিপদ সংকেত । অর্নব রিকশা দেখলেই উঠার জন্য কান্নাকাটি করে..আর বলে 'আমি বড় হলে লিকচা চালাব..।'

আমি চাই অর্ণবের মত বোনের ছেলেটি ও বদের্ হাড্ডি হোক..তাহলে অর্ণব যেমন বলে ' মেন বাপি ( মেজো বাপি বলতে পারে না) আমার জন্য একতা বউ আনবে'...ছোট বোনের ছেলেও বলুক..'মেন মামা......।' স্নেহ সবসময় নিম্নগামী....শত দুঃখ আর কষ্টের মাঝেই এদের জন্য বেঁচে থাকা..যেমন বেঁচেছিলেন আমার বাবা-মা আমাদের জন্য তাঁদের পূর্বপুরুষেরা...আনন্দ কি আনন্দ তাদের মাঝে বেঁচে থাকা।

পুনশ্চ : কেন জানিনা কন্যাশিশু আমার বেশী প্রিয় ..হয়ত পরিবারে ছেলের আধিক্য এক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক একটা কারণ হতে পারে: জানিনা,ভেবেছিলাম বোনেরটা মেয়ে হবে ..ছেলে নয়..তারপর ও খোশ অ-নে-ক খোশ।

১৮টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×