আমার মাথার উপরই সারাক্ষণ থাকে-এ নীল আকাশটা। সে জন্মথেকেই আছে। কখন, কবে যে প্রিয় আকাশটাকে হৃদয়ভরে দেখেছি, ঠিক মনে করতেও পারছি না্, ছোটবেলায় গ্রামের বাড়ীতে থাকার সময় যে টুকুন দেখেছি, তার কথা নিয়ে এখনো আছি। ছোট বিদ্যালয়ের মা্ঠ পেরিয়ে বড় বিদ্যালয়, তারপর আরো বড় কোন ক্যাম্পাস-সেখান থেকে দানাপানির সংস্থান করার চিন্তা। এ ভাবেইতো কেটে যাচ্ছিলো। সময় হয়না একটু য্ত্ম করে, বিলাস চোখে আকাশটাকে দেখার!
হঠাৎ সুযোগটা এসে গেলো। দিনের পর দিন প্রায় সকল কাজ বন্ধ, কিংবা অফিস থাকলেও কাজ নেই। বিস্তর অবসর। উঠে গেলাম ভবনের উপরের ছাদে। একটা চাদর ফেলে তার উপর সটান শুয়ে পড়লাম। এখন আমার চোখের সামনে বিস্তীর্ণ নীলাকাশ। কী বিশাল আকাশ! কোন মেঘ নেই কোথাও। নীলের সমুদ্রে হারিয়ে যেতে যেতে ভাবছি। এ্ভাবেইতো বেশ আরাম, কিছুই দেখছিনা, কী হচেছ আমার চার পাশটায়। কোন আগুন নেই, ধ্বংস নেই, চোখ রাঙ্গানী নেই, ক্ষমতা পাবার কিংবা হারানো দ্বন্ধ নেই, কেবলই বিশালত্ব, উদার, ও বিস্তীর্ণ দিগন্তের আ্হ্বান।
না, আজ আর নামবো না, যাবো না কোথাও, শুধুই দেখবো, দেখে দেখে সমৃদ্ধ হবো, বিশুদ্ধ হবো, মহান হবো। এক পাশে বিশাল আকাশ অন্য পাশে আমার দুটি তৃষ্ণা কাতর চোখ এবং একটি চোট্ট হৃদয়।
আমরা কী আকাশের মতো হতে পারি না?
আমরা কী নদীর মতো হতে পারি না?
আমরা কী দিগন্তের মতো বিস্তৃত হতে পারি না?
অন্তত একটি দিনের জন্য
একটি ঘন্টার জন্য
একটি মিনিটের জন্য
একটি সেকেন্ডের জন্য
একটি বারের জন্য...?