বিদুৎ উৎপাদন বাড়াতে বিদুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহের জন্য আগামী ১৬ অগাস্ট থেকে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ সব ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা'র চেয়ারম্যান হোসেইন মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাফকোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে।"
এর আগে গত মঙ্গলবার রমজানে আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ করে সরকার। এছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
হোসেইন মনসুর বলেন, "সরকার সিএনজি স্টেশনগুলোকে ন্যূনতম আলো ব্যবহার করতে বলেছে। একটি মনিটরিং কমিটি এ বিষয়টি দেখবে।"
জরুরি পদক্ষেপ হিসাবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি সার কারখানাসহ বহুজাতিক কোম্পানি কাফকো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে গত ৪ মে আবার খুলে দেওয়া হয়।
অপর চারটি সার কারখানা হচ্ছে- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি, পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল)।
পরবর্তীতে অবশ্য যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল) এ গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়।
এই পাঁচ সার কারখানায় দৈনিক ২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে কাফকোরই দৈনিক প্রয়োজন সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ১০ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাস সঙ্কটের কারণে ৬৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি।
গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর প্রয়োজন দৈনিক প্রায় ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বুধবার সরবরাহ ছিল ৭৮৭.৬ ইউনিট (মিলিয়ন ঘনফুট= ১ ইউনিট) গ্যাস।
সূত্র: বিডি নিউজ
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৩