কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর এবার নিয়ে দুবার ঈদযাত্রা করলাম! অভিজ্ঞতা ভয়াবহ! দুঃস্বপ্নের মতো। এরকম হওয়া উচিৎ নয়। এতো কস্ট ভোগান্তি যে কোনোভাবেই হোক উপশম করতে হবে। যাওয়ার সময় দেখলাম কিভাবে মানুষজন গরু ছাগলের মতো পরিবহন করা হচ্ছে বাস,ট্রাক, ট্রেনে। আবার ফেরার সময়ও একই অবস্থা!এতো কস্ট ভোগান্তি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়!এমন ঈদ আমরা কেউ চাইনা। সঠিক পরিকল্পনা, শৃঙ্খলা ছাড়া আসলে কোনো সমস্যারই সমাধান হয়না। মূল বিষয়গুলো চিহ্নিত করে একটা বিহিত করা উচিৎ। যাদের মাধ্যমে সমাধান আসবে তাঁরা নিজেরা প্রাইভেট যানবাহনে যাতায়াত করেন। সাধারন মানুষের যন্ত্রণা অনুভব করলে হয়তো সমাধানের জোরালো তাগিদ অনুভব করতেন। যাই হোক আমার চোখে পড়েছে এই ঈদ যাত্রীদের বৃহত্তর অংশ বিভিন্ন পোষাক শিল্পের সাধারণ শ্রমিক। নিম্ন আয়ের মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আয়ের উৎসই হলো পোশাক শিল্প। পোশাক রপ্তানীতে বাংলাদেশের অবস্থানও সম্ভবত দ্বিতীয়। এতো বৃহৎ একটি শিল্পের সাথে নিশ্চয়ই কয়েক লক্ষ কর্মীও জড়িত। যেখানে বলা যায় এ শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সেখানে এই বৃহত্তর শ্রমিক শ্রেনীর প্রতি এতো অবহেলা কেন? বছরের সবচেয়ে বড় এই ছুটির সময় তাদেরকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানো এবং সময়মতো কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার জন্য কি কিছুই করা যায়না? বিনা পয়সায় নাই বা হলো তাদের বেতনের টাকা থেকেই কেটে নিয়ে কি কাজটি করা যায় না? কোম্পানিগুলো কি ঈদের ছুটিতে বিশেষ পরিবহনের ব্যাবস্থা করতে পারেনা? আমার মনে হয় শ্রম মন্ত্রণালয় এবং বিজিএমইএ চাইলে একটা সুন্দর ব্যাবস্থা করা সম্ভব। কিন্তু তাদের সদিচ্ছা জাগার আশা করা ছাড়া কিছুই করার দেখছিনা! আর রেলওয়ে নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছে ছিলো! কিন্তু ঈদফেরতযাত্রায় ভীষণ ক্লান্ত! কিছু বলার এনার্জিও নেই! তাই আপাতত এখানেই শেষ করছি!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৬