শ্যামল কান্তি ভক্তকে প্রধান শিক্ষক পদে পুনর্বহাল করা হলো,স্কুলের গভর্নিং বডিকে বাতিল করা হলো,সারা দেশে অনেক সহানুভূতি,সহমর্মিতাও পেলো!এমনকি এমপিকেও যথেষ্ট সমালোচিত হতে হলো।এখন নিশ্চয়ই সবাই যে যার ঘরে ফিরে যাবেন আবার!তবে শিক্ষক লাঞ্চনা থেমে যাবে বন্ধ হবে এমন সম্ভবনা নেই!এই উত্তেজনার মাঝেই তো গতকাল বুধবার ঢাকার ধামরাইয়ে এক প্রধান শিক্ষিকাকে পর্যন্ত লাঞ্চিত করলো স্কুল পরিচালনা কমিটি!মার ধোর খেয়ে দৌড়ে টয়লেটে পালিয়েছিলেন ভিকটিম ফৌজিয়া আক্তার!সেখান থেকেই তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে লাঞ্চিত করা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষিকাকে!তবে এটি নিয়ে কোনো হৈচৈ হওয়ার সম্ভাবনা নেই কারণ সেখানে কোনো ধর্মীয় অবমাননার প্রসঙ্গ নেই!তাই হয়তো তিনি ধড়িবাজ মিডিয়ার কাভারেজও পাবেননা!কিন্তুু বাস্তবতা হলো শ্যামল কান্তির বেলায় ধর্মীয় কটূক্তির ঘটনা ঘটেছিল এবং তা সম্ভবত সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হলো!সরকারও হয়তো তাঁর জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং আরো বিশৃঙ্খলার আশংকায় বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেনা!সরকার বিষয়টি নিয়ে এমনিতেই যথেষ্ট বিব্রত তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রসঙ্গের ইতি টানতে চাইছে!তবে অনলাইনে বিবিসি বাংলার অনুসন্ধানী রিপোর্টটি সত্য ঘটনাটিই ফাঁস করে দিয়েছে!সম্ভবত উক্ত শিক্ষক সেই ঘৃন্য মন্তব্যটি সত্যিই করেছিলেন!তবে এ বিষয়ে ন্যায্য বিচার করা না হলেও পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে যেভাবে তিনি লাঞ্চিত হয়েছেন তাতেই নিশ্চয়ই তার যথেষ্ট শিক্ষা হয়ে গেছে!সারাজীবনেও নিশ্চয়ই এই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেননা!যাদের সামনে লাঞ্চিত হয়েছেন তাদের সাথেই প্রতিদিন বসবাস করতে হবে।সেই ভিডিওটিও নিশ্চয়ই তার স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক,গ্রামবাসীর মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে!সব মিলিয়ে সব ধরনের বেফাঁস মন্তব্য করা থেকে ভবিষ্যতে তিনি বিরত থাকবেন এবং এ ধরনের প্রবনতা যাদের আছে তাঁরাও সতর্ক হবেন আশা করা যায়!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯