somewhere in... blog

স্মৃতিকথা: দুই হাজার চব্বিশ সাল

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক,

বহু বছর আগে আমার বন্ধু আখতারুজ্জামান আখতার বলেছিল, "একজন মানুষের ঐ জায়গায়ই থাকা উচিত, যেখানে সে সম্মান পায়, এটা হতে পারে গ্রাম কিংবা শহর, এতে কোনকিছু যায় আসে না।"

আখতার আমাকে কালি ও কলম সাহিত্য পত্রিকা আর মৌচাকে ঢিল পড়তে বলেছিল। বহু বছর হয়, ওর সাথে কোন যোগাযোগ নেই। ও বলেছিল, একদিন ব্লগে অনেক লেখালেখি করে আস্তে আস্তে বড় একজন লেখক হয়ে উঠবে। আখতার এখনও ব্লগে লেখে কি-না আমি জানিনা।
আমাদের জীবনে অনেক অনেক মানুষ আসে, কিন্তু খুব কম মানুষ আমাদেরকে শানিত করে, শিক্ষিত করে। একটি ভালো বইয়ের কথা বলা মানুষ আপনাকে পরিবর্তিত করে। এজন্য আব্দুল কালাম সাহেব বলেছিলেন, একটি বই একশোটি বন্ধুর সমান, কিন্তু একজন ভালো বন্ধু পুরো একটি লাইব্রেরির সমান। আখতার এই পোস্ট তোমার কাছে পৌঁছালে আওয়াজ দিও।

বি:দ্র: আখতারের মতো আমার আরও কয়েকজন ভাই কিংবা বন্ধু আছে, কিন্তু তারা হারায় যায় নাই। তাই তাদের নিয়ে লেখছি না।

১০ই জানুয়ারি, ২০২৪

দুই,

আমার বন্ধু শুভ দাস। শুভ'র কথা মনে হলে আমার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'অমলকান্তি' কবিতার কথা মনে পড়ে। যদিও সে মোটেও কবিতার অমলকান্তির মতো নয়, বরং একজন সত্যিকারের লড়াকু মানুষ।
ছোটবেলায় সব ছেলেদের মায়েরা যখন টিফিন বক্সে খাবার রেডি করে দিতো, শুভ দাস তখন রুটির দোকানে নাস্তা বানানোর কাজ শেষে স্কুলে আসতো। বিএ ক্লাসে ভর্তি হওয়া সব ছেলেদের জন্য গর্বের বিষয় হলেও শুভ তার বাবাকে বিএ ক্লাসে পড়বার বিষয়টি জানাতে পারেনি, পাছে তার বাবা রাগ করেন। বিএ ক্লাসে পড়বার সময় শুভ তার বাবার দোকানে চা বানাতো, পূজায় কিংবা কোন অনুষ্ঠানে ঢোল বাজাতো। বাজানোর হাত খুব ভালো ছিল তার, এখনও সে বাজায় কি-না জানা নেই আমার। কয়েকবছর হয় যোগাযোগ নেই, অনলাইনে নিয়মিত নয় সে। বিএ ক্লাসের পড়া শেষ, এখনও হয়তো বাবার দোকানে কাজ করে সে। সে যাই করুক না কেন, পৃথিবীর ইতিহাসে আরও অনেক বেশি সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠুক সে, যার কোন অভিনয়ের প্রয়োজন নেই।

বাস্তবে কিংবা সোশ্যালে এতো এতো অভিনেতায় পূর্ণ হয়ে উঠছে পৃথিবী, যার ভেতর একজন শুভ দাসের মতো সত্যিকারের মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ভালো থাকুক আমার বন্ধু শুভ দাস।

১৩ই জানুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০০
১৯৫৪ বার পঠিত
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হয়তো কখনো আমরা প্রেমে পড়বো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০০


পোস্ট দিছি ২২/১২/২১

©কাজী ফাতেমা ছবি

কোন এক সময় হয়তো প্রেমে পড়বো আমরা
তখন সময় আমাদের নিয়ে যাবে বুড়ো বেলা,
শরীরের জোর হারিয়ে একে অন্যের প্রেমে না পড়েই বা কী;
তখন সময় আমাদের শেখাবে বিষণ্ণতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বর্তমান সরকার কেন ভ্যাট বাড়াতে চায় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১০


জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ ছাত্রদের ডাকে রাস্তায় নেমে আসে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটায়। অবশ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরিবের ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ সময়ের চেয়ে অগ্রবর্তী মানুষ ছিলেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লিখেছেন রাকু হাসান, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১০



“যুগে যুগে জড় জীব সবে পড়ে রবে নিবিড় অবেলায়
ধুলি ধূসর পদচিহ্ন আঁকা মরুর বালুকায়
”- নিজ জয়গায় গেয়ে গেছেন ডা জাফরুল্লাহ স্যার। অবিভক্ত বাংলার ভাসানী থেকে ডা জাফরুল্লাহ, এমন কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনার অন্তরে ঠিক যা রয়েছে, আপনার জিহবা দিয়ে ঠিক তাই বের হবে।

লিখেছেন রিফাত-, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৪১



"আপনার অন্তরে ঠিক যা রয়েছে, আপনার জিহবা দিয়ে ঠিক তাই বের হবে।"

এ কথাটি আমাকে একজন ভাই এশার সালাতের পরে বলছিলেন।

বেশ কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে কাজলার মোড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিপূরক.......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯

পরিপূরক............

০৩ জানুয়ারী ২০২৪ খৃষ্টাব্দ, আমি ৬৭ বছরে পদার্পণ করেছি। অর্থাৎ আমার বরাদ্দ আয়ু সীমা থেকে ৬৬ বছর চলে গিয়েছে।
জন্মদিন মানেই মৃত্যুর আরও কাছে যাওয়া....
জন্মদিন মানেই জীবন পথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×