আমরা কেন সমাজতন্ত্র চাই, তা বলে শেষ করা যাবে না। এটা ঠিক অনেকটা এরকম যে আমরা কেন বেঁচে থাকি।
গণতন্ত্র তার সংজ্ঞা এবং কাজে পরস্পর বিরোধী। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় মানুষকে বোকা বানানো হয় এই বুঝিয়ে, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তোমারও অংশগ্রহণ রয়েছে, তুমিও ভোট দাও এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচন কর। কিন্তু, সত্যি কথা বলতে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় দেশ পরিচালনার মূলে থাকেন সেই দেশটির ব্যবসায়ী সমাজ। বাংলাদেশ যেহেতু একটি সুষম গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরণ হতে পারে না, তাই আমাদেরকে গনতন্ত্রের মূল ধারক ও বাহক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকাতে হবে। যারা মানুষকে উন্নততর জীবন এবং জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখায়। অথচ আমরা এ্যাওয়ার্ড স্নোডেনের হুইসেল ব্লোয়িং এবং যুদ্ধ সৃষ্টির ক্ষেত্রে দায়ী পুঁজিবাদী রকফেলার ফ্যামিলির দিকে তাকালেই বুঝে যাই, সাধারণ মানুষ কতটা অসহায়। অনন্ত বিশ্ব মন্দা চলাকালীন সময়ে কোন মানুষ পরিবার নিয়ে কেন আত্নহত্যা করেছে, তার উত্তর আমরা খুঁজে পাইনা। গণতন্ত্রে জনগণের ভোট, অথচ যুক্তরাষ্ট্রে জনগণের পপুলার ভোট নির্বাচনে কোন মানে রাখে না। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের মৌলক চাহিদা পাঁচটি, যেখানে রাষ্ট্র আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। জেনে অবাক হবেন যে, ধনী এই পুঁজিবাদী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে ছাড়িয়ে যাবে একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ চীন।
আজ যে মানুষ ফিদেল কাস্ট্রো মারা গেলেন তাকে নিয়ে একজন লিখেছেন, ডিক্টেটর ফিদেল কাস্ত্রো মারা গেছেন। তবে জেনে অবাক হবেন, যাকে ডিক্টেটর বলছেন-
তার দেশে কোন মানুষ না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় মারা যায় না। কোন মেধাবী ছাত্রকে পরিবারের খাবার জোটাতে গিয়ে পড়ালেখা ছাড়তে হয় না। আবাসস্থলের অভাবে রাস্তার পাশে শুয়ে গাড়িচাপায় মরার ভয় থাকে না।
কিন্তু, আপনার আমার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তথা জনগণের বাংলাদেশে এসব কিছুই হয়। শুধু ফাঁকা বুলিটা আছে, তুমিই তো দেশটা চালাচ্ছো। আর পঞ্চাশ বছর ধরে আশা নিয়ে বসে আছি, একদিন সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ করবে গণতন্ত্র।
আজ চলে গেলেন ফিদেল কাস্ত্রো , আমি শুধু বলব-
Rest in peace comrade, Rest in peace.
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৯