আজ হঠাৎ করে কেন জানি মৃত্যু চিন্তা হচ্ছে। কি হবে আমার মৃত্যুর পরে, কে কি রকম ভাবে নিবে আমার মৃত্যুটাকে, এসব হঠাৎ মাথায় এলো। মাঝে মাঝে আমাদের সবারই মরে যেতে ইচ্ছা করে না যে তা না, কিন্তু সেই ইচ্ছা কখনোই খুব প্রবল হয়না। হলে নিশ্চয়ই আত্মহত্যা করে। সে আলাদা কথা, আমি কথা বলছি আমাদের মৃত্যুটা মানুষ কিভাবে নেয় তা নিয়ে।
কোন একজন ব্যক্তি মারা গেলে প্রথম কয়েকদিন খুব কান্নাকাটি চলে তারপর সবাই আস্তে আস্তে ভুলে যায় সেই মৃত মানুষটার কথা। ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মানুষ সবসময়ই খুব স্বার্থপরতার প্রমাণ দেয়। এটা তারই একটা অংশ। কিন্তু সবাই চায় মৃত্যুর পরেও কেউ না কেউ তার কথা একবার হলেও যেন ভাবে। এটা শুধু তখনই সম্ভব যখন সেই মানুষের নিজের একটা অস্তিত্ব পৃথিবীতে জীবিত থাকে। এর জন্য মানুষ কতো কিছুই না করে। কতো কতো বিখ্যাত হয়। তাঁদের কাজের দ্বারা নিজেদের জীবিত রাখে।
কিন্তু এরকম লোকের সংখ্যা খুব নগণ্য। বেশীরভাগ মানুষ তাঁদের অংশ হিসেবে কোন মহৎ কাজ করে যেতে পারে না। তার পরেও তাঁদের অংশ পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকে। সেই অংশ আর কিছুই না তাঁদের সন্তান। সন্তান অবশ্যই তাঁদের বাবা-মা এর অংশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। তাঁদের সন্তান আবার একটা অংশ হয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য অবশ্য দুই জন নর-নারী কে একত্রে থাকতে হয়। তার জন্য বিয়ে নামক লাইসেন্সের দরকার পরে।
আমি এবং আমার মতো অনেকেই আছে যারা নিজেদের কোন অংশ এই পৃথিবীতে রেখে যাবে না। এর জন্য খারাপ লাগে না তা না। কিন্তু আসলে জীবনে অনেক কিছু করার আছে যা কখনোই বিয়ে নামক লাইসেন্স নিয়ে করা সম্ভব না। তাতে কিছু কি আসলেই যেয়ে আসে? কি জানি বুঝি না। কিন্তু আমি ভয় পাই সত্যি ভয় পাই। নিজের মৃত্যু নিয়ে না, আমার কাছের সব থেকে কাছের মানুষকে হারানোর ভয়। সেটা নিজের মৃত্যু চিন্তা থেকেও বেশি কিছু।