চলে আসছে ঈদ। সবাই যে যার মত গ্রামের বাড়ী বা শ্বশুর বাড়ী যাচ্ছেন। নানী, চাচী, ভাবী আন্টিদের সাথে দেখা হবে, অনেকের মতে এনকাউন্টার হবে। সেটা তো খুশির খবর। কিন্তু আমার মত তালপাতার সেপাই যারা, প্রথম দর্শনে ভালো আছি না খারাপ আছি তা জিজ্ঞেস না করে, জিজ্ঞেস করা হয়, আহারে ছেলেটা কত শুকায় গেছে। চোখ টা বইসা গেছে।
তারপরে নানা পরামর্শ-যেটা বেশির ভাগ আমার মায়ের উপর দিয়ে যায় আর কি। কিন্তু গুলি যা লাগার লেগে গেছে। দিনে দিনে তাই ঢাল তালোয়ার নিয়েই নামতে হয়। বড় ছুটির আগে থাকে বড় পরীক্ষা-তাই প্রধান অজুহাত-পরীক্ষা তো, তাই শুকায় গেছে। মেডিকেলে তো আরো বড় অজুহাত। মেডিকেলে পড়ার অনেক চাপ-তাই শুকায় গেছে। কিন্তু প্রধান বিপত্তি এখন-বাসায় বসে বসে খাচ্ছি-তাই সেই শুকনা শুকনাই। কে বলছে-আমি বিসি এস দিচ্ছিনা। পরীক্ষার আগে পড়াশুনা করে চিকন, পরীক্ষার পড়ে রেজাল্টের চিন্তায় শুকনা। সৌভাগ্যবশত একটার পরে আরেকটা চলে-আর একটা বিসিএস সমাপ্তি হতে লাগে ৩ বছর। এখন এই অজুহাত চলছে।
আর যারা নাছোড়বান্দা-তাদের জন্য আরেক উত্তর, আন্টি আমি দশ দিন আগেও মোটা ছিলাম, এখন একটু চিকন হচ্ছি আরকি। আর এই ঈদে রোজার দরুন শুকানোর অজুহাত তো আছেই।
তারপরেও ঈদে শুভেচ্ছা মেসেজ আসে- (বেশি করে খা-মোটা হয়ে যা), কিংবা খারে ভাই নাইলে কেউ তোরে ডাক্তার বলে পাত্তাই দিবেনা। ঈদের পরে তারা যখন আমার অকৃত্রিম অবস্থা দেখে হতাশ। তাদের জন্য উত্তর রেডি। “বুঝছিস আমার না ঈদের আগের দিন থেকে ডান পাশের দাত টা নড়তেছে, তাই বেশি মাংস খাইতে পারিনাই রে”
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭