কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের প্রভাব
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৬ দশমিক ৬৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুরে বিস্তৃত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। কয়লা খনি ও বিদ্যুৎ-কেন্দ্র সংলগ্ন শেরপুর, চৌহাটি,হামিদপুর বাগড়া,ডাগপাড়া,মজিদপুর, চককবির,ইসবপুর,রামভদ্রপুর,মধ্যদূর্গাপুর,জিগাগারি, কালুপাড়া,বাঁশপুকুর, বলরামপুর ও শাহাগ্রামসহ আশেপাশের এলাকার বসবাসরত শতাধিক গ্রামের অসংখ্য মানুষের জীবন আজ বিপন্ন।
আমাদের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণে কয়লা খনির প্রভাবসমূহ
• পরিবেশগত প্রভাব
বড়পুকুরিয়ার মাঠ পর্যায়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গেলে সবার প্রথমে বলতে হয় পরিবেশের উপর কয়লা খনির বিরূপ প্রভাব।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,যা আমরা উপলব্ধি করেছি তা হচ্ছে,বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি আশেপাশের এলাকার তাপমাত্রা দিনাজপুরের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় তুলনামূলক অনেক বেশি। এর একটি কারণ হতে পারে খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে প্রচুর পরিমাণ কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। এই কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার জন্য উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
ভূমিধ্বস
বড়পুকুরিয়া লং ওয়াল মাইনিং পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হয় যার প্রভাবে মাটির নীচে ভূগর্ভস্থ কয়লা উত্তোলনের পর সেই ফাঁপা জায়গায় কোন ভিত্তি থেকে না,এর ফলে ভূমিধ্বস ঘটে। এই ভূমিধ্বসের প্রত্যক্ষ ফলাফল আমরা পাই হামিদপুর ইউনিয়নের জিগাগাড়ি গ্রামে। এই গ্রামের চিত্র খুবই ভয়ংকর। এই গ্রামের পূর্বের চিত্র বর্ণনা করলের জনৈক আব্দুল মজিদ নামের একজন বাসিন্দা। তিনি বলেন,এই গ্রামে প্রথমে ৬০-৭০ টি ঘর ছিল, যা এখন নেমে এসেছে ৫-৭টিতে।
এই গ্রামের সুবিস্তৃত ঈদগাহ্ মাঠ তলিয়ে গেল মাটির নিচে। এছাড়াও গ্রামের রাস্তা, ধানক্ষেত সবই বিলীন হওয়ার পথে।
ভূমিধ্বসের কারণে ডুবে যাওয়া ঈদগাহ ময়দান ছবি- মো. আশিকুর রহমান
দেবে যাওয়ায় বাড়িঘরে ওঠা পানি ছবি- ফারহানা রহমান তন্বী
দেবে যাওয়ায় বাড়িঘরে ওঠা পানি ছবি- ফারহানা রহমান তন্বী
ভূমিকম্প
খনি থেকে কয়লা উঠানোর জন্য ভূগর্ভস্থে বোমা ফাটানো হয়। এর কারণে এসব অঞ্চলে ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতার মাত্রা এতই বেশি যে কোন না কোন বাড়িতে ফাটল ধরেই।
পানি দূষণ
কয়লা থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ দৃশ্য যা হচ্ছে তা হল সরাসরি কয়লা ধোয়া পানি। নালার মাধ্যমে ধানক্ষেতে ও সংলগ্ন নদী পুকুরে যাচ্ছে এবং উক্ত যায়গার পানি কয়লা ধোয়া পানি দ্বারা মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও পানি কুচকুচে কালো রং ধারণ করছে। এর প্রভাব কি ভয়ংকর হতে পারে তা ভাবাই ভয়ংকর। খনি থেকে কয়লা ওঠানোর পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছার আগে কয়লা ধোয়া হয় যা সরাসরি নালা দিয়ে ঐসব জায়গায় পৌছায়। যার প্রভাবে এসব এলাকায় খাবার পানি,পশুপাখি নদী-নালা মাছ ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দূষিত নোংরা পানি পাশের নালায় মিশছে ছবি- হিরামন বিশ্বাস
ফলন হ্রাস
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী ও পার্বর্তীপুর অঞ্চল অত্যন্ত ফলনশীল। কয়লা উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৬৪৫ একর জমির মধ্যে ৪৮৬ একর তিন ফসলি জমি। এই তিন ফসলি জমি হতে বছরে প্রধান তিন ধরণের ফসল আলু,ধান ও ভুট্টা উৎপাদন করা হত। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীরা জানায় আগের মত এখন আর ফলন হয় না। জনৈক এলাকাবাসী বলেন তার মোট জমির পরিমাণ ২৫ শতক। যা থেকে তিনি পূর্বে ২৫-৩০ মণ ধান পেতেন তা এখন নেমে এসেছে ১৪-১৫ মণ এ।
• জনজীবনের উপর প্রভাব
বসতবাড়ি হারাচ্ছে মানুষজন
ভূমিধ্বসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ তাদের বসতবাড়ি হারাচ্ছে। তাদের জন্মস্থান এবং তাদের বহু পরিচিত এলাকা জমির নিচে দেবে গেছে। এজন্য তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গ্রামের ছোট বড় সবাই আতংক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনযাপন করছে।
স্থাপনায় ফাটল
কৃষক নায়েব কুদ্দুসের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে,তার বাড়ির তিনটি ঘরের দেওয়ালেই বড় বড় ফাটল। বাঁশ সিমেন্ট দিয়ে দেওয়ালগুলো টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি বাড়ির ছাদেও রয়েছে ফাটল। কুদ্দুস বলেন,খনির কাজ শুরু হওয়ার ৪/৫ বছর পর থেকে বাড়ির ফাটল ধরা শুরু করেছে। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাত দুইটার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দে সহ বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। শব্দ শুনে ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে তিনি দেখেন,তার দক্ষিণ ভিটার ঘরের একটি দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। তার মত অনেকেরই বাড়িঘর ভেঙে গেছে বা ফাটল ধরেছে। বড়পুকুরিয়ার মোখলেছুর রহমান জানান, তার ২০ একর চাষের জমি ছিল। ১২ একর জমি দেবে গেছে,বাকীগুলো ফাটল বা এবড়ো-থেবড়ো অবস্থায় আছে।
বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ছবি- শ্যামলী রাণী শীল
কবর স্থানের দেওয়ালে ফাটল ছবি-জেনিফার রহমান
বিশুদ্ধ পানির অভাব
বড়পুকুরিয়া এলাকায় বিশুদ্ধ বা সুপেয় পানির বড়ই অভাব। কয়লার বিষাক্ত পানি নদীর পানিতে মিশে খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে,তাছাড়া পানির কলগুলিতেও পানি উঠছে না। এলাকার প্রায় ২ শতাংশ সুপেয় পানি রয়েছে।
কয়লা মিশ্রিত ব্যবহার অযোগ্য পুকুরের পানি ছবি- মো. আশিকুর রহমান
যাতায়াত সমস্যা
বড়পুকুরিয়া থেকে কালুপাড়া যেতে প্রধান রাস্তাটির ৩০ একর জমির ৬ থেকে ৮ ফুট দেবে যায়। ওই স্থানে গিয়ে দেখা গেছে,দূর্গাপুর,চৌহাটি,মৌপুকুর,বারগা,রসুলপুর,কালুপাড়াসহ আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা বড়পুকুরিয়া বাজারে আসা যাওয়ার জন্য কালুপাড়ার ভেতর দিয়ে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা ছিল এই দেবে যাওয়া এই রাস্তাটি। এখন সেখানে স্থান ভেদে ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত পানি, দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিশাল এক বিল।
এলাকাটি দেবে যাওয়ার পর গ্রামবাসীর চাপে রাস্তাটিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দেয়।
গ্রামবাসীরা জানায়,বিসিএমসি কর্তৃপক্ষ বিকল্প যে রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিল সেটাও দেবে গেছে। পরে তারা বলেছিল গ্রামের স্কুলের ছাত্রদের জন্য স্কুলে যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে, কবরস্থান করে দেবে,কবরস্থান দেবে যাওয়ায় দাফনের ব্যবস্থা নিয়েও পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। কবর দেওয়ার জন্য যেতে হচ্ছে অনেক দূরের কোন গ্রামে। গ্রামবাসীদের কেনার জন্য জমির খোঁজ করতে বলেই দায়িত্ব শেষ খনি কর্তৃপক্ষের।
কয়লা উত্তোলনের কারণে দেবে যাওয়া রাস্তায় চলাচলে দুরবস্থা ছবি-জেনিফার রহমান
স্বাস্থ্যগত সমস্যা
কয়লাখনির কয়লা ধোয়া পানি পুকুর নদী ইত্যাদিতে যাচ্ছে যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য ও আবহাওয়ার উপর প্রভাব একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। কিন্তু ইতোমধ্যে আমরা কিছু কয়লা শ্রমিকের সাথেও কথা বলি। তাদের মধ্যে একজন আরিফুল ইসলাম (২৮) যিনি কয়লা খনিতে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে শ্বাসকষ্টে ভোগেন। সাধারণত কয়লা খনিতে জিওলজিক্যাল এবং হাইড্র-জিওলজিক্যাল নীতি অনুসারে কয়লা খনির তাপমাত্রা যেখানে কমপক্ষে ৩০-৩৩ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনা উচিৎ, সেখানে তাপমাত্রা প্রায় সবসময়ই ৪০-৪২ ডিগ্রি থাকে। যার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি অনেক বেশি।
• সামাজিক প্রভাব
উদ্বাস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আশ্রয়হীনতায় ভুগছে। বসতবাড়ি কৃষিজমি হারিয়ে এখন তারা উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। একজন অল্প শিক্ষিত অথবা অশিক্ষিত মানুষ যখন ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেয়েছে,সে টাকার যথার্থ ব্যবহার করতে পারেনি। যারা খেটে খাওয়া কৃষক-শ্রমিক ছিল তারা এমন অনেকেই অন্য শহরগুলোতে বাঁচার আশায় অনিশ্চয়তায় জীবন কাটাচ্ছে।
ভূমিহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি
বড়পুকুরিয়া সংলগ্ন এলাকার মানুষজন দিন দিন ভূমিহীন হয়ে পড়ছে। ঘরবাড়ি মাটির নিচে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মানুষজন ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন প্রায় ভূমিহীন। ৩১৮ টি ভূমিহীন পরিবার এখনো পুনর্বাসিত হয়নি। চার বছর পার হয়ে গেছে,কিন্তু সরকার এখনো কথা রাখেনি।
কেউ ভূমিহীন, কেউ ভূমিহীন হওয়ার অপেক্ষায়! ছবি- মো. আশিকুর রহমান
শিক্ষার অবনতি
আমরা বড়পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এলাকার শিক্ষার হার ধ্বসের এক ভয়াবহ চিত্র খুঁজে পাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম. এ. মজিদ শিক্ষাহার হার কমে যাওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,এই বিদ্যালয়ে ২০১২ সালে ৩৫০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী ছিল,কিন্তু ২০১৩ সালে তা কমে গিয়ে ২৬১ জনে পরিণত হয়। বর্তমানে অর্থাৎ ২০১৪ সালে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা মাত্র ১৯২ জন। তিনি আরও কারণ অনুধাবন করেন যে,এই বিদ্যালয়ের আশেপাশে মোট ৪টি গ্রাম রয়েছে,যা কয়লা খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও মানুষজন প্রায় ভূমিহীন। তারা জীবনযাপনের নূন্যতম যোগান দিতে পারছে না,তাই ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহ হারাচ্ছে।
গ্রামের অস্তিত্ব বিলীন
কয়লা খনি প্রকল্পের কারণে প্রায় চারটি গ্রাম বিলীনের পথে। ভূগর্ভে নিমজ্জিত এসব গ্রাম বসবাসের অযোগ্য। ভূমিধ্বসের ফলে পানি উপরে উঠে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষে গৃহপালিত পশুপাখি,হাঁস-মুরগী গরুছাগল পালন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যেখানে আগে ছিল বিস্তীর্ণ গ্রাম, তা আজ জলাশয় ছবি- হিরামন বিশ্বাস
• অর্থনৈতিক প্রভাব
জীবনযাত্রার নিম্নমান
কয়লাখনি প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে অনেক অবস্থা সম্পন্ন কৃষক আজকে কর্মহীন ও বেকার। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত করুণ।
ভূমিহীনদের দলে যারা,তারা মাত্র ২ লক্ষ টাকা পায় এবং যেসব চাষীরা বর্গা নিয়ে চাষ করত,যাদের ১০ শতক বা তার নিচে বসতবাড়ি ছিল তারা আজ অসহায়। যারা গরীব ছিল তারা আরও গরীব হচ্ছে। অবশ্য যারা অবস্থা-সম্পন্ন ছিলেন তারা ভিটে মাটি হারালেও ঠিকই ভালমতো খেয়েপরে বেঁচে থাকার আশ্বাসটুকু পেয়েছেন।
কর্মসংস্থানের অভাব
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা লক্ষ্য করি,সরকার আশ্বাস দিয়েছিল যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে,বেকারত্ব কমবে। কিন্তু স্থানীয়রা বলেন,কয়লা খনিতে খুব বেশি এলাকার মানুষ কাজে নেওয়া হয়নি। মোট জনসংখ্যার খুব কম জনই কয়লা খনিতে চাকরি করে,তাও সেই চাকরি স্থায়ী নয়। আর স্থানীয় কোন ব্যক্তি উচ্চ পদে নেই বললেই চলে। যারা চাকরি পেয়েছে তারা শ্রমিক পর্যায়ের। কথা ছিল,প্রত্যেক পরিবারের কমপক্ষে একজন বা দুইজনের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে,কিন্তু তা কথাই রয়ে গেছে।
কয়লা শ্রমিকদের তুলনামূলক কম বেতন
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (২৮) এর সাথে কথা বলে জানা যায়,শ্রমিকরা ঘণ্টা হিসেবে টাকা পায়,তাদের জীবন ও চাকরি কোনটারই নিশ্চয়তা নেই। তাদের কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। কয়লা খনিতে কাজ করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে সে শ্বাসকষ্টে ভোগে। ৬ দিন না গেলে চাকরি চলে যায়। ৩০ দিনই যেতে হয়। গত দুই বছর ধরে ঈদের ছুটি ৩ দিন করে।
একজন কয়লা শ্রমিকের মাসিক বেতন ২০০২ সালে ছিল ১২০০ টাকা। ঘণ্টা হিসেবে টাকা দেওয়া হয়,সময়কাল সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। পরে আন্দোলন করে আরও কয়েক-দফা বেতন বাড়ানো হয়,২০০৬ সালে ৪৫০০ টাকা,২০০৮ সালে ৮৫০০ টাকা এবং ২০১২ সালে পুরো মাস উপস্থিত থাকলে ৯০০০ টাকা। যা তাদের পরিবারের ব্যয়ভার চালাতে যথেষ্ট নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৪