আজ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতে ছিটমহল বলতে কিছু নেই।
প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পেয়েছে তাদের ঠিকানা, তাদের পরিচয়।
১৯৪৭ সালের অমীমাংসিত সমস্যা বলি হয়েছিলেন ছিটমহলের মানুষজন।এটা আমাকে বড়ই অবাক করে, এত বড় বড় দেশের বিভাজন করা সম্ভব হয়েছে, আর অল্প কিছু প্রভাবশালী লোকের গোঁড়ামির জন্য ছিটমহলের এই অংশগুলোকে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে মিলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি! আসলে তখন এতে সদিচ্ছার অভাব ছিল।
যাইহোক, আমি ভাবছিলাম ছিটবাসীর কথা, তাদের অস্তিত্ব থেকেও যেন ছিল না। এই আধুনিক যুগে এসেও তাদের মৌলিক অধিকারই ছিল না! আজব!
এই 'আজব' ব্যাপারটা ঠিক করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী অবশ্যই কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য, আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।
আর যিনি তা অস্বীকার করেন, তার বাংলাদেশী জাতীয়তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে!
এমন মহতি উদ্যোগ সফল করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর অনেক অনেক সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
কথাগুলো মন থেকেই আসছে, যখন আমি চিন্তা করি একজন ছিটমহলবাসী ব্যক্তির মত করে......আমার দেশ থেকেও নেই, আমার বেড়ানোর অধিকার নেই, আমার চাকরি করার অধিকার নেই, বলা যায় ‘আমি থেকেও নেই.........
আজ ১ আগস্ট ২০১৫, শনিবার, এটা শুধু ছিটমহল ইতিহাসের সমাপ্তির দিনই নয়, এটা বাংলাদেশের “দ্বিতীয় বিজয় দিবস”।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৫