আমার উচ্চমাধ্যমিক ছিল রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে। সেখানে থাকতাম কলেজেরই হোস্টেল, শামসুদ্দিন ছাত্রাবাসে।
সেখানে কাটানো স্বর্ণালী দিনগুলোর মাঝে রয়েছে অনেক স্মৃতি।
তেমনই একটি বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা।
হোস্টেলে তেমন কোন সমস্যা ছিল না, তবে মাঝে মাঝে পানি থাকত না
একদিন এক বড় ভাই টয়লেটে যাওয়ার পর পানি শেষ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ সেখানেই তাকে অবস্থান করতে হয়েছিল। সেখানে বসে ভাবতে ভাবতেই তিনি পানির স্বল্পতা নিয়ে একটি কবিতা তৈরি করেন, যা পরে রুমে এসে লিখে হোস্টেলের দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে দেন।
এরপর ঐ পানি সমস্যা নিয়েই আরও কয়েকজন......
আমিও লিখেছিলাম। :v
আমি আজ আমার লেখা সেই কবিতাটা ব্লগে প্রকাশ করছি, উৎসর্গ করছি আমার কলেজের সকল বন্ধু-বান্ধবীকে।
বি.দ্র. ফান হিসেবে নিলেই ভাল হয়।
“জানালা করি পার”
আশিকুর আপেল
এসএসসির পর নিউ ডিগ্রিতে ভর্তি হলাম,
শামসুদ্দিন ছাত্রাবাসে সিটও পেলাম।
সাতহাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে উঠলাম,
দুঃখ কষ্টের আজ অবধি শেষ না দেখলাম!
অন্য কথা বাদই দিলাম...পানির কথাই ধরি,
হোস্টেলে ভাই পানি নিয়ে যত কাড়াকাড়ি!
বলছি ভাই আপনাদের একদিনের ঘটনা,
শুনলে পরে আপনারাও পাবেন বেদনা!
একদিন সকালে আমি ঊঠেছি ন’টায়,
তখন দেখি তলপেটে "বড়টা" চাপ দেয়!
কি যে আজ হবে আমার সৃষ্টিকর্তাই জানে,
সাবান হাতে দৌড় দিলাম ছোটঘরের পানে।
ছোটঘরে গিয়ে দেখি পানির চিহ্ন নাই,
পানির জন্য অন্য ব্লকে আবার দৌড় লাগাই।
গিয়ে দেখি সে ব্লকেও পানির আভাস নাই,
বাধ্য হয়ে অবশেষে নিচের দিকে যাই।
দুইজন সিরিয়ালের পর বদনাটা ভরাই,
নিচের ব্লকের ছোটঘরে দরজাটা লাগাই!
কোনমতে লুঙ্গি তুলে বসতে চেষ্টা করি,
হায় একি! লুঙ্গিতে মোর বড়টার ছড়াছড়ি!!
পানি দিয়ে যখন আমি লুঙ্গি ধুতে চাই,
তখন দেখি বদনাটাতে আবার পানি নাই!
সেদিন থেকে ছোটঘরে যাই না আমি আর,
পলিথিনে সেরে আমি, জানালা করি পার!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৩