বিকালের দিকে নুরুন্নবী হাসিব ভাইয়ার ফোন, এ বি সি (৮৯.২) তে তো শো টা হবে, তোমরা রেডি থাকবা। সাড়ে আটটায় থাকার কথা, আমি একটু আগেই উপস্থিত। এ বি সি’র অফিসে ঢুকতে খুব হালকা ভলিউমে এ বি সি রেডিও’র কোন প্রোমো কানে গেলো। সারা অফিসটা জুড়েই খুব লো ভলিউমে রেডিও শুনা যাচ্ছে। ঐ খানে বসেই কিছু বন্ধুদের জানায়ে দিলাম, শো’র কথা।
আমরা ভাবছিলাম, রস কস বিহীন কোন কঠিন আরজে (রেডিও এ বি সি তে আরজে বলে কিছু নাই অবশ্যে, সবাই কথাবন্ধু)থাকবে আমাদের সাথে। ঠাস ঠাস করে করে প্রশ্ন করবে আর উত্তর দিতে গিয়ে আমাদের কাপাকাপি শুরু হয়ে যাবে। পরে শুনলাম যে, সোনার কাঠি রুপার কাঠি শোর শৈলী আপু। চা খেতে খেতে আপুর সাথে কিছু কথা বার্তা বলে কিছুটা ফ্রি হয়ে নিলাম। অন্তত এইটা বুঝতে পারলাম যে আমরা যেমন ভাবছিলাম তেমন শো না। যাক!
৯.২৫ এর দিকে মনে হয় আমরা অন এয়ার রুমের দিকে গেলাম। সবচেয়ে মজা লাগলো, অন এয়ার রুমের দরজার উপর লিখে আছে “বমু আর কমু”। মজার বিষয় এখান থেকে। হালকা নার্ভাসনেস ছিলো,এই “বমু আর কমু” দেখে পরে আর একটুও ছিলো না। এ বি সি রেডিও যে অনেক অনেক বেশি ফ্রেন্ডলী তখন বুঝতে পারলাম।
ভাবছিলাম যে শুরুটা কিভাবে করা যায়। যাক, আমাদের সেটা নিয়ে আর চিন্তা করতে হয় নি, শৈলী আপুই চমৎকার ভাবে আমাদের শোটা শুরু করে দিলো। চমৎকার একটা ইনফোরমেটিভ আড্ডা দিলাম। শো র মাঝে মাঝে আমাদের পছন্দের গান আর অনেক অনেক এস এম এস (এস এম এস বলে ও এ বি সি তে কিছু নাই, সব ক্ষুদে বার্তা)।
অনেক অনেক নতুন মানুষের সাথে পরিচয়, অনেক নতুন বন্ধু হয়ে গেলো। মিল্টন ভাই, শৈলী আপু, তারপর আমাদের শো’র ডিরেক্টর সব মিলিয়ে এ বি সি রেডিও’র সবাইকে খুবই ভালো লাগলো। আর সবচেয়ে ভালো লাগলো এ বি সি’র অনুষ্ঠানের এই ভিন্নতা।
--
মজার ব্যাপারঃ আমাদের শোর কথাবন্ধু শৈলী আপু প্রতিদিন চার ঘন্টা দাড়ায়ে দাড়ায়ে শো করে। আমাকে কেউ শাস্তি হিসেবেও যদি এই প্রতিদিন চারঘন্টা দাড়ায়ে থাকতে বলে, আমি পারবো না। বসলে নাকি ওনার ঘুম আসে
যারা বুঝতেসেন না আমরা রেডিও তে কেন গেসি, তাদের জন্য, ঐ আমি আর সনেট ভাই নগর বালক নিয়ে সামান্য গুতাগুতি করতো এই জন্য ডাকলো আর কি
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৩