ঈদ চলে আসছে এই ব্যাপারটা আমি প্রথম অনুভব করি, রূপচাঁদা আর গ্রামীনের বিজ্ঞাপন দেখে। অসাধারন ...! যাই হোক ঈদ আসার আগেই আমাদের কত মাতামাতি। ঈদ আসলো, গেলো, আবার আসবে এর মধ্যে বিশেষ কি আছে? সি এন জি ওয়ালা সেই সে সি এন জি চালাচ্ছে, ঈদের দিন ও গলির সামনে প্রতিবন্ধি বাচ্চাটাকে আজকেও তো দেখা যাচ্ছে, সেই ৯১ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা আজও ইট ভেঙ্গে যাচ্ছে। এই দিকে আমরা ও পাজেরো দিয়ে রেইস করে নিজে ও মরতেসি, আর একজনকে ও মারতেসি। চমৎকার! আমি যখন আরো ছোট ছিলাম, তখন ও ব্যাপার গুলা বুঝতাম, কিন্তু কাকে বলবো? আমি নিজেই বা কি করতে পারবো? একটু বড় এখন, নিজের ছোট খাটো স্বাধীনতা বলতে কিছু আছে। চাইলে নিজেই করতে পারি কিছু। এদের কে নিয়ে লিখে লিখে তো অনেক দিন পার হয়ে গেলো। মানুষটা (এক জন বীর মুক্তিযোদ্ধা) ৯১ বছর বয়সে ও ঈদের দিনে ঈট ভাঙ্গে গেলো, রিপোর্টার ছবি নিলো, কথা বললো। আমরা দীর্ঘ এটা শ্বাস ফেললাম আর রিপোর্টারের ক্যারিয়ারের কিছু উন্নতি হলো। ঈদের এই তো স্পেশাল ব্যাপার। এই সমবেদনা ও এখন আমাদের কাছে রুটিনের মত। ব্যাপার না। সবাই ঈদটাকে তাদের কাছেই অর্থবহ করে ধরছে যাদের কাছে আগেও ছিলো, যাদের কাছে ঈদ বলে তেমন কিছুই নাই আলাদা তাদের ঈদটা রঙ্গিন করার জন্য কেউ কিছু করে না।
আমি, আমার বন্ধু নাইম আর মোশাররফ।
আরে ব্যাটা, পাউরুটির মধ্যে মাংস দিয়া এমনে খাইলে মজা লাগবো (শিখাইতেসে আরন)
ও ভাই, এইডা খাইতে তো সইত্যই মজা
এই ঈদটায় অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিলো মন যা চায় তাই করবো। ঈদের দিন সব বন্ধুরা একত্রিত হলাম, উত্তরায়। নতুন কিছু ছোট ছোট বন্ধু পাওয়া গেলো। সারাটা দিনই প্রায় ছিলাম ওদের সাথে। পকেট কিছুটা গরম ছিলো সবারই, ইচ্ছা মত খাইলো, কয়েকজন মারামারি ও করলো (পরে বুঝায়ে বললাম ঈদের দিন মারামারি করতে হয় না)। বলতে গেলে রেস্ট্রুরেন্টে আমরাই ছিলাম সারা দিনের কাস্টোমার। নাইম নামের একটা ছেলে ছিলো, ঐ পিচ্চিটাই মূলত ওর বন্ধুদেরকে নিয়ে আসে। সবাই মিলে মোটামোটি ভালো রকমের মজায় ছিলাম সারা দিন। খাওয়া দাওয়ার পর সাবাই এমনিতেই নাচানাচি করলো। মূহুর্তগুলো ক্যামেরা বন্দি করে রাখলাম। আরো একবার মনে হইলো, নাহ চাইলেই পৃথিবীটাকে অনেক সুন্দর করা যায়। শুধু দরকার সুন্দর কিছু মন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮