somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিবাদ করতে কি মানা আছে?

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি সব সময় যে বাসে করে স্কুলে যাই, (স্বকল্প) সেটার প্রথম তিন সারীর ৯ টা সীটের উপর লেখা আছে শিশু/মহিলা/প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরোক্ষিত আসন। তো সাধারনত এই নিয়মটা মানা হয় না। তো আমি ও এক দিন এই রকম সংরোক্ষিত সীটে বসে ছিলাম। এক মহিলা এবং তার মেয়ে উঠলো। তো আমার কাছে আমার মায়ের বয়সী একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে বিষয়টা খারাপ লাগলো। আমি উঠে গিয়ে উনাকে বসতে দিলাম। আমার পাশের লোকটার ও একটা রিএ্যকশন থাকা দরকার যে, মহিলার জন্য সংরোক্ষিত সীটে বিন্দাস বসে বসে চলে যাচ্ছে আর অন্য এক জন মহিলা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আমি ভদ্রলোক কে বললাম আঙ্কেল এটা তো মনে হয় শিশু/মহিলা/প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরোক্ষিত আসন, তো এটা আপনাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত না? আমার কথায় কোন পাত্তাই দিলো না। কিছুক্ষন পর একটু বয়স্ক একজন উঠে মেয়েটাকে বসার জায়গা করে দিলো।

নারীকে তার প্রাপ্য দিলে দেশ ও দশের সুফল মেলে। এই সামান্য প্রাপ্যটা আমরা দিতে পারি না আর কিভাবে দেশের উন্নয়ন উন্নতি আশা করি। আমি একজন একটা লোককে বললাম যে নিয়মটা কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছে, এটা তো মানা উচিত আপনার। আশেপাশের দশটা মানুষ যদি দুই তিনটা ঝাড়ি দিতো ঠিকই এই ছোট খাটো নিয়ম গুলো মানা শুরু করতো মানুষ। আর এই সব ছোট খাটো নিয়ম মানতে মানতেই দেশের প্রতি দেশের নাগরিকে একটা আনুগত্য চলে আসতো। আর ঐ মেয়েটা ও তো একবার ও বলল না, যে দেখেন ঐখানে স্পস্ট লেখা আছে এগুলো সংরোক্ষিত আসন। এভাবে চুপ করে থাকলে নারীরা তো আর প্রাপ্য পাবে না। দেশ চালাচ্ছে নারীরা আর কাজের লোক, ক্ষুদ্র ঋণ, রাস্তাঘাটে প্রত্যকেটা জায়গায় নারী কি তার প্রাপ্য পায়? নারী অধিকার নিয়ে খালি বড় বড় বিজ্ঞাপন দিলে কি নারী তার প্রাপ্য পাবে? আমার মনে হয়, ঐ বাসে সবাই যদি ঐ দিন একটু করে ও কথা বললো তাইলে ঐ নিয়মটা ভংগ করার সাহস পেত না ঐ লোক গুলো। বাংলাদেশের মানুষ কথা বলতে এত ভয় পায় কেন? কথা বললে কি জরিমানা করবে নাকি কেউ? স্বাধীন নাগরিক না আমরা? যত দিন না আমাদের ভিতর থেকে এই জিনিষ গুলো উঠে আসবে তত দিন দেশ ও দশ সুফল পাবে না। এই ছোট ছোট নিয়ম গুলো মানতে মানতে আয়করের মত বড় বড় নিয়ম মানতে শিখবে। আওয়াজ কেউ তুলতে চায় না...! কিন্তু কথা তো বলতে হবে। অন্যায় কিছু দেখলে আমরা যদি প্রতিবাদ করি তাহলে অন্যায়কারীরা সহস পাবে না তো।

এটা তো কালকের পোস্ট, আজকেও আমি একি ভাবে এক লোককে বললাম যে এটা তো ভাইয়া সংরোক্ষিত আসন....! তো লোকটা কথা কানে না লাগানোর একটা ভাব নিলো। সাথে সাথে যে মেয়েটা দাড়ায়ে ছিলো তীব্র প্রতিবাদ।
- আপনি কেন ঐ সীট গুলাতে বসবেন? আপনি না শিশু না প্রতিবন্ধি?
- এই সব নিয়ম এখন আর নাই। এখন নারী পুরুষ সমান সব।
-দেখেন ভাই, আপনাকে কে বলসে নারী পুরুষ সমান? নারী পুরুষ যদি সমান অধিকার দিয়ে সৃষ্টি করতো তাহলে দুই লিংগের মানুষ সৃষ্টি করতো না আল্লাহ। সব হয় ছেলে বা সব হয় মেয়ে হইতো। এত কথা বইলেন না...আপনি দয়া করে সীট ছেড়ে দেন।
(এই রকমই ছিলো প্রায়)

তারপর নিয়ম অনু্যায়ী লোকটা ছেড়ে দিলো। এই তো নারীকে তার প্রাপ্যটা আদায় করে নিতে হবে....সবক্ষেত্রে..! ঠিক কিনা ?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
১৫টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×