চোর সন্দেহে ঢাবিতে একজনকে পিটিয়ে মেরেছে।
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও আগেরদিন সাবেক ছাত্রলীগের কর্মীকে খুন করা হয়েছে।
সাধারণ ছাত্রদেরতো এই কাজটা করার কথা না। ওরা থাকে পড়াশোনা, সংস্কৃতি চর্চা, প্রেম ভালবাসা নিয়ে।
তাহলে নিশ্চই রাজনৈতিক দলের কেউ মেরেছে। ছাত্রদল, যুবদল, শিবির, এমনকি ছাত্রলীগও হতে পারে, তাই না?
কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও কি কম ভয়ংকর? গণপিটুনিতে হত্যাতো আমাদের দেশে অতি সাধারণ ঘটনা। যে লোকটা ৯-৫টা অফিস করে, যে অফিসে বসের ঝাড়ি খায় আর বাসায় বৌয়ের, যে বাড়িতে ফিরেই নিজের বাচ্চাদের কোলে তুলে চুমু খায়, সেও রাস্তায় গণপিটুনির ঘটনা দেখলে তেড়ে যায় দুয়েকটা কিল বসিয়ে দিতে। “পদ্মা সেতুর জন্য মাথা বলি চাচ্ছে, তাই ছেলেধরা বেড়ে গেছে" এমন এক গুজবে বিশ্বাস করে দেশের জনতা বাড্ডা এলাকায় এক মহিলাকে মেরে ফেলেছিল। মহিলার বাচ্চা স্কুলে পড়তো, এবং উনার মানসিক ভারসাম্য ঠিক ছিল না। ওকেতো এই সাধারণ জনতাই খুন করেছিল। যারা কথায় কথায় বলে “দেশ রসাতলে যাচ্ছে, এমন দেশে থাকা যায়?” এই এরাই সম্মিলিতভাবে মানুষ মারে।
সেই বাচ্চাটা কেমন আছে?
হয়তো সে মা হারা হয়ে অনেক বড় হয়ে গেছে।
দেশের মানুষ কিন্তু এতটুকু বদলায়নি। ওরা এখনও পিটিয়ে মানুষ খুন করে।