কথা ছিল মাধবী বাবা-মার ঠিক করা ছেলেকেই বিয়ে করবে, এর মধ্য যদি আমি যব যোগার করতে পারি মাধবী সাংসার রেখেই চলে আসবে । কিন্তু যব আর ম্যানেজ হলো না, বছর তিন হয়ে গেল ! ওদিকে মাধবীর স্বামী মাধবীকে সন্তান ধারণ করার জন্য চাপ দিচ্ছে । পর মাধবীকে বুঝালাম কিন্তু মাধবী আর বুঝতে চাইলো না , পর মাধবীকে বলেছিলাম যব ম্যানেজ করলেই তো তুমি আমার কাছে চলে আসবে ,তাহলে আমার পাম নিয়েই জন্ম দিতে পারো , যখন চলে আসবে সন্তান নিয়েই চলে আসবে তাতে আর পিছুটান থাকবে না । মাধবী বললো:- এত ঠকাতে পারবোনা কোন মানুষকে ! যে খাওয়াচ্ছে,যার সাথে থাকচ্ছি একটা দায়বন্ধতা বলেও কথা থাকে তাই না ? তোমাকে তো ভালোবাসলাম - কি হয়েছে তাতে? উল্টো স্বামীর কাছে বায়না করে টাকা নিয়ে তোমাকেই দিতে হয় খরচ করার জন্য । দেখ -আমি আর কিছুদিন দেখবো ধরো দু'মাস তারপর আর মানতে পারবো না আমি সন্তান নিয়ে নিব , আর সন্তান নিলে এক বছরের মধ্য মুভ করতে পারবো না । দু'মাসে যব যোগার করতে পারিনি, মাধবী সন্তান নিয়ে নিল এরপর যেদিন ওর সন্তান হলো তারপর দিনি আমার যব হলো । আমারর যবের খবর দেয়ার পর মাধবী আর আমার ফোনই ধরছে না , দু' মাস নানাভাবে চেস্টা করেছি ওর সাথে যোগাযোগ করার জন্য , ও আর যোগাযোগই করলো না । পর ওর ক্লোজ বান্ধবীর মাধ্যমে ওকে যোগাযোগ করতে বাধ্য করি , ওদিন ও আমার সাথে খুব বিরক্ত নিয়েই দেখা করলো কথাতে কোন আন্তরিকতা ছিল না ! বিয়ের পরও যে মেয়েটা আমার সাথে চলে আসার জন্য একপায়ে রাজি ছিল, তারই আজ এত পরিবর্তন ! মাধবীকে অনেক বুঝালাম তোমার সন্তান আমার জন্য আশিবার্দ চলো এবার বিয়ে করি, আমাদের তো এমনই কথা ছিল ? মাধবী কোন মতেই যেন রাজি হচ্ছিলো না-শুধু বার বার ওর সন্তানের কথাই বলছিল ! আর ওর স্বামী নাকি সন্তান হওয়ার পর ওকে আরো বেশি ভালোবাসছে । মাধবী বললো: -আমাকে ভুলে যাও মানুষ , মনে করো আমি তোমার কেউ নেই ! যদি আমার ভালো চাও কোনদিন কোন অধীকারে আমার সাথে যোগাযোগ করোনা , আমি আমার স্বামী সন্তান নিয়ে ভালো আছি ।
আমি: কিন্তু আমি? আমার তো কেউ আর নেই ।
মাধবী: যব হয়েছে, মেয়েও পাবে ?
আমি: যাকে ভালোবেসেছি অন্তর থেকে ?
মাধবী: অনেক দেরি হয়ে গেছে তোমার । অনেক সময় দিয়েছিলাম তোমাকে ।
আমি: মাধবী তোমাকে যেতে দিব না এখান থেকে ।
মাধবী: যদি ভালোবাস জানি কখনো জোর করতে পারবে না ।
আমি: ভালোবাসার মধ্য জোর নেই?
মাধবী: আছে হয়তো , কিন্তু তুমি মুছে যেতে যেতে একেবারে মুছেই গেছ ।
আমি: ও ।
মাধবী: আর ছবি,ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিও , আমি মনে করি তুমি আমাকে কোনদিন অপমান করবে না বা অপমানজন কিছু হয় এমন কিছু , আমি তো তোমার কাছে এসেছিলাম তখন বিশ্বাস নিয়েই ।
আমি: বিশ্বাস করতে পারো , ছবি ছাড়া কিছুই নেই আর ছবি এখনো ডিলিট করতে পারবো না কিছু যাক, যোগাযোগ না করতে করতে এমনিই ভুলে যাবো মাধবী । ওকে তুমি সুখে থাক ।
মাধবী: আমি যাই ।
আমি: যাও, তবে কখনো যদি মনে হয় প্রয়োজন আমার চলে এসো ।
মাধবী: প্রয়োজন হবে না হয়তো ।
আমি: কেন?
মাধবী: আমার সন্তান আছে না, ওই আমাকে দেখবে ।
আমি: এত আশবাদী? দেখবে তোমার ছেলে বড় হয়ে বিয়ে করে তোমাকে ভুলে গেছে ! হাহাহা ।
মাধবী: ভুলবে না, আমার সন্তান ও ।
আমি: তোমার সন্তান তো, এজন্যই বলেছি , যে ভালোবাসকে ভুলতে পারে ।
মাধবী: আমি যাই , তোমার সাথে কোন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না ।
আমি: ইচ্ছে ? সখ? আশা ? সময়ে জন্ম হওয়া মাত্র । ভালো থেকো তুমি ।
মাধবী: আমি যাই ,
আমি: একটা রিকুয়েস্ট করবো তোমাকে ।
মাধবী: কি ?
আমি: শেষ বারের মত একটি চুমু খাব ।
মাধবী: না না , আমি এখন অন্যর বধু পারবো না ।
আমি: কেন বিয়ের পর কত চুমু খেয়েছিলে তো ?
মাধবী: জোর করবে আমাকে ?
আমি: শেষবার শুধু ।
মাধবী: না ।
আমি: এতই ঘৃর্ণা করো আমাকে ।
মাধবী: আমার স্বামীকে অনেক ঠকিয়েছি আর পারবো না ।
আমি: শেষবারের জন্য, একটু না হয় ঠকাও ।
মাধবী: না , পারবো না । আমি যাই ।
আমি: এত নিষ্টুর তুমি ।
মাধবী: আমি নিষ্ঠুরই , ভুল হয়েছিল আমার তোমার সাথে প্রেম হয়ে ।
আমি: ভুল?
মাধবী: আমি যাই, ও বিষয়ে আর কিছু বলবো না ।
আমি: যাও ।
মাধবী: আমার প্রতি রাগ করোনা , শরীরের যত্ন নিও । আমি যাই ।
আমি: যাও ।
এরপর মাধবী চলে গেল ! আমি শূর্ন্য হয়ে কিছুক্ষন ঘুরে বাসায় চলে এলাম । আসলে নারী এবং টাকা কারো হাতে গেলে আর ফিরে আসে না , দাদা বলেছিল তাহা আজ অক্ষরে অক্ষের সত্য হলো ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:৪৪