আজ সকালে আমার প্রাক্তন প্রেমিকা এসে হাজির ! ওর নাম শৈমিতা । ওকে চেয়েছিলুম দরজা থেকেই গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিব কিন্তু পারলুম না ও দরজা ঢেলে ভেতর ঢুকে গেল । ঘরে ঢুকেই বললোঃ মানুষ তোর কাছে খুব প্রয়োজনে এসেছিরে , তুই তো আমাকে এখনো খুব ভালোবাসিস ! মনে আছে তুই আমার জন্য একবার ছাদঁ থেকে ফালিয়ে পড়তে চেয়েছিলি ? তখনই বুঝেছিলাম তুই আমাকে কতটা ভালোবাসিস , তুই নিশ্চয় চাস তোর পছন্দের মানুষটি সব-সময় সুখে থাকুক ।
আমি বললুমঃ হুম চাই ।
শৈমিতাঃ এজন্যই তোর কাছে এসেছি জানি তুই অনেক মহৎ মনের মানুষ ! তুই আমাকে ফেরাবি না ।
আমিঃ কি চাই বল ।
শৈমিতাঃ তুই তো জানিস আমার সাংসার একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যক্তি আমার স্বামী , ওর দু'টো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে ! তুই যদি তোর একটা কিডনি ওকে দান করিস খুব উপকার হয় , ওর কিছু হলে ছেলে-পুলে নিয়ে একেবারে পথে বসতে হবে আমার । আর তুই তো কোনদিন বিয়ে করবি না পন করেছিস, তুই একা মানুষ দু'টো কিডনি নিয়ে কি করবি ? তোর বিয়ে-টিয়ে হলে হয়তো আসতাম না তোর ভবিষৎ-এর কথা চিন্তে করে ।
আমিঃ অন্যকিছু নয় একেবারে কিডনিই চেয়ে বসলি ? তোর স্বামী তুই দে বা তোর স্বামীর আত্মীয়দের দিতে বল ।
শৈমিতাঃ আমি দিলে তো সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যাবে , নাহলে দিতাম স্বামীর জন্য কি এতটুকু করতে পারতাম না আর বাকিদের তো সাংসার আছে ।
আমিঃ না আমি পারবো না , অন্যথায় দেখ তুই ।
শৈমিতাঃ মানুষ, তুই কি চাস না আমি পৃথিবীতে বেচেঁ থাকি ? একটা কিডনি দিলে তো আর মরে যাবি না । তাছাড়া তুই যা চাস আমি তা দিব তোর কিডনির পরিবর্তে ।
আমিঃ কি দিবি?
শৈমিতাঃ প্রেম করার সময় আমার সাথে কত শুতে চেয়েছিল ! একরাত যদি তোকে দিই ?
আমিঃ বাহ, একরাতের পরিবর্তে আমার একটা কিডনি নিয়ে নিবি !
শৈমিতাঃ ভেবে দেখ, এমন সুযোগ সব-সময় আসে না ।
আমিঃ সত্যিই তো চিন্তার বিষয় ।
শৈমিতাঃ প্রেম তো অনেক করেছিলি, কাউকেই বশ মানাতে পারিস নি! দু'দিনেই অন্যরা চলে গেছে ,আর আমি সেধে তোর কাছে এলুম ।
আমিঃ হুম কাছে এলি তবুও বিনিময় প্রথার মাধ্যমে । না দিব না কিডনি তোর স্বামী মরুকগে , মরলে চলে আসিস ছেলে-পুলে নিয়ে যদি পথে দাড়াতে লর্জ্বা পাস ।
এরপর শৈমিতা একটা কিডনির জন্য মায়া কান্না কাদঁছিল ! কি আর করবো -বাধ্যহয়ে গাঢ় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতেই হলো ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৫