প্রথম থেকেই আমাদের যেকোন কাজে অনেক অনেক বাধা আসছিল , আমাদের মধ্যেই অনেকেই ভয় পাচ্ছিলাম দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিতে । কিন্তু তখনই নিলয় ভাই বলেছিল আমাদের নামই রিফলেক্ট করে আমরা কেমন । আমরাই হলাম শহীদ রুমীর উত্তরসুরী আর জাহানারা ইমাম এর সন্তান । শহীদ রুমী যেমন তার জীবনের শেষ দিন অব্দি দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন , আমাদের শপথনামাতেও আছে সেই চেতনা ।
শহীদ রুমী স্কোয়াড গণজাগরণ মঞ্চের সম্পূরক একটি কর্মসূচী পালন করছে । আজকে কেন আমরা কয়েকজন মিলে এই অনশন শুরু করলাম ? গত ২১শে ফেব্রুয়ারী গণজাগরন মঞ্চের অনেকগুলো কর্মসূচীর মধ্যে একটি আল্টিমেটাম ছিল জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে ২৬শে মার্চ এর ভেতর ।
আজকে ২৭শে মার্চ । কোথায় গেল সেই আল্টিমেটাম ? গণজাগরন মঞ্চ গড়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের অংশগ্রহনে । আমরা সবাই এক হয়েছিলাম এবং এক হয়েই আছি । কিন্তু কেন এক হয়েছিলাম ? আমাদের ৬ দফা দাবীর কি হল ? কেন গণজাগরন মঞ্চে সাধারণ মানুষের আসা কমে গেল ?
আমাদের সাথের অনেক মানুষকে দেখেছি গণজাগরন মঞ্চের উপর হতাশ হয়ে এই মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে । কিন্তু আমাদের মধ্যেই অনেককে এই হতাশা গ্রাস করতে পারে নাই । আমরা শহীদ রুমী স্কোয়াডের কয়েকজন তাদের মধ্যেই আছি । গণজাগরন মঞ্চ যেমনি ভাবে অহিংসভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আমরা কেবল তারই সাথে সম্পুরক রেখে সর্বোচ্চ অহিংসভাবে আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি । আমরা চাই না ২০ বছর পর আমাদের দেশ পাকিস্তান , আফগানিস্তান হয়ে যাক । তাই আমরা আমাদের সর্বোচ্চ ভালোবাসা , শক্তি , সংগ্রামী চেতনা নিয়ে আমরণ অনশনে বসে আছি ।
গত ১৫ ঘন্টা যাবত শহীদ রুমী স্কোয়াডের ৭ জনসহ এবং আজ সকালে আরো নতুন দুজনসহ ৯জন মিলে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে । আমাদের ভেতর যারা অনশনে বসেছেন তাদের নাম গুলো-
নিলয় (শহীদ রুমী স্কোয়াডের সমন্বয়ক) ,শুভ্র ,আনন্দ , দ্বীপ ,সাফি , মানিক , আলিফ , নীল, আকাশ । মুখপাত্র হিসেবে আছে নদী । এছাড়া অন্যান্য কাজে আছি আমি ।