গতকাল মাছরাঙ্গা টেলিভশনের টক শো তে উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার কবীর (সাংবাদিক),রাকিবুল বাসার রাকিব (ব্লগার অনলাইন এক্টিভিস্ট),সরকারের আমলা (নাম মনে নেই)। তাদের বক্তব্য গুলো আমার কাছে দারুন লেগেছে । বিশেষ করে শাহরিয়ার কবীর রীতিমত বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন । এবং জ্বালাময়ী কথা বললেন ।তার বক্তব্য আমি তুলে দিচ্ছি ।
শাহরিয়ার কবীর ঃ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কেন সাক্ষী লাগবে ? কাদের মোল্লার বিচারের যাবজ্জীবন হয় তার কারন আমাদের ট্রাইবুনালের গঠনে নমনীয়তা রয়েছে , বিচারের সময় সবগুলো দোষ প্রমাণ না হওয়ার কারন সাক্ষী আসতে পারে নি সাক্ষী দিতে জামাত-শিবিরের হুমকির কারনে , আর একজন সাক্ষী দুই জায়গায় দুইরকম সাক্ষী দিয়েছেন ।দুইরকম সাক্ষীর ব্যাপারটা এরকম ছিল যে হত্যার সময় কাদের মোল্লা কি রঙের পোশাক পরে ছিল । ৪২ বছর আগে দেখা একটা পোশাকের রঙ মনে রাখা কি সম্ভব সবার পক্ষে ?
আইন মন্ত্রী গতকাল এক টেলিভিশনে বলেন ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার পরিকল্পনা এখন সরকারের নেই ।অপরদিকে তথ্য মন্ত্রী বলেন অতি শিঘ্রয়ী জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার আইন আসছে ।এই কথা বলার পরে সরকারের আমলা তন্ত্র থেকে উপস্থিত ব্যক্তিটি বলেন জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা এত সহজ হবে না এটা নিছক আপনাদের খুশি করার জন্য বলেছেন ।
ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি যদি বন্ধই না করা হয় তাহলে জামাত-শিবির নতুন নাম নিয়ে আরো ভয়ঙ্করভাবে উপস্থিত হবে ।এজন্য আমাদের চাই ৭২ এর সংবিধান । এই ৭২ এর সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল ।
জামাত-শিবিরের শুধু মাত্র বাংলাদেশেই ২০০০ কোটি টাকার ব্যবসা ।তারা বাংলাদেশে তাদের পক্ষ নিয়ে এক একটা ব্লগ লেখার জন্য ১০,০০০ করে টাকা দেয় ।এটা একেবারে মাঠ পর্যায়ে পরে ।জামাত-শিবির বিদেশে গিয়ে সেই দেশের আমলা তন্ত্রে ভুল তথ্য দিয়ে আসে ,এবং তাদের এতই টাকা যে তারা আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থাও কিনে ফেলতে পারে যারা জামাত-শিবিরের পক্ষ নিয়ে কথা বলবে ।এমনকি তারা আমেরিকার এমন দুটি সংস্থা কিনেছেও ।শাহরিয়ার কবীর যখন বিদেশে যান তখন লর্ড কার্লাইল এর সঙ্গে তার কথোপকোথন হয় ।লর্ড কার্লাইল বলেন তোমরা ট্রাইবুনাল করেছ ইন্টারন্যাশনাল অথচ বাইরের দেশের কোন বিচারপতি নেই, কোন লইয়ার নেই । তখন শাহরিয়ার কবীর বলেন আপনি বুঝতে ভুল করেছেন আমাদের ট্রাইবুনালের পুরো নাম “ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম’স ট্রাইবুনাল ” ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমের কিন্তু ট্রাইবুনালটা শুধুমাত্র দেশের জন্য । তো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমের হলে আমাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন ? তখন শাহরিয়ার কবীর বলেন আপনারা দেবেন আপনাদের দেশে কোন বিচার হলে আমাদের দেশের কোন লইয়ার কে সেখানে যেতে।
এভাবেই জামাত-শিবির তাদের মৃত্যুর ভয়ে আগে থেকেই সব জায়গায় তাদের বিষাক্ত বীজ বপন করে চলেছে এখন ।
আমেরিকা ,সৌদি বলছে তোমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কর কিন্তু কোন সংগঠনের বিচার করতে পারবেনা ।কেন আমরা তা পারবোনা তোমরা যদি নাৎসী বাহীনি সহ আরো চারটি সংগঠনের বিচার করতে পার আমরা কেন পারব না ।বাংলাদেশের সরকারের কেন আমেরিকার কথা শুনতেই হবে ১৯৭১ এ আমরা যদি আমেরিকা,সৌদির কথা শুনতাম তাহলে আমরা কি দেশকে স্বাধীন করতে পারতাম ?