ভিসা তো পেয়ে গেলেন, টিকেট ও কাটা শেষ। এবার শুরু করুন ব্যাগ-পাতি গোছানো, আর দিবা-স্বপ্ন দেখতে থাকেন মালয়েশিয়ার। যারা পেশাদার পর্যটক তাদের এয়ারপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন সম্পর্কে ভাল ধারনা আছে, যারা একেবারে নতুন, তাদের জন্য হালকা কিছু টিপস, এয়ারপোর্ট গিয়ে প্রথমেই চেকিং শেষ করে বোর্ডিং পাস নিয়ে নিন, এরপর ইমিগ্রেশন অফিসার আপনাকে হালকা কিছু প্রশ্ন করবে, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া দুই এয়ারপোর্টেই আপনাকে সমস্যা করতে পারে, বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে সমস্যা করার কারন আপনি নতুন মক্কেল, যদি কিছু ধান্দা করা যায় আপনার কাছ থেকে? আর মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে সমস্যা করবে, কারন অনেক বাংলাদেশী ট্যুরিষ্ট ভিসায় মালয়েশিয়া গিয়ে অবৈধ ভাবে কাজ করে, সেটা প্রতিরোধেই মূলত তারা কিছু সমস্যা করে,
তবে আমার এই পোষ্ট ফলো করলে আশা করি বাংলাদেশ আর মালয়েশিয়া কোথাও হয়রানি হবার সম্ভাবনা নেই
আপনি যদি ফ্যমেলি সহ বেড়াতে যান তবে তেমন কোন সমস্যা নেই, (বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে করলেও কিছু ঝামেলা করতে পারে), আর যদি একা যান তবে বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে একটু স্মার্টলি কথা বলুন, পারলে ফটাফট দু-একটা র্যাপ স্টাইলের ইংরেজী ছেড়ে দিন, দেখবেন ব্যাটা ঘাবড়ে গিয়ে পাস দিয়েছে (ব্যক্তিগত অভিগ্গতা), তবে ভুলেও ত্যড়ামি করবেন না, তাইলে খবর আছে। আর মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে এধরনের ফালতু সমস্যাগুলো পোহাতে হবেনা, সেখানে যা দেখবে তা হল আপনার সাথে পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে কিনা? এক্ষেত্রে আমি বলব আপনারা যদিও এক মাসের ভিসা পাবেন, তবে টিকিট করবেন এক সপ্তাহের, মানে রিটার্ন ডেট ফ্লাই ডেটের এক সপ্তাহের বেশী যেন না হয়, আপনি যদি এক সপ্তাহের বেশী বেড়াতে চান তবে ফ্লাই ডেট চেন্জ করা যাবে, আর ভিসা তো এক মাসের পাচ্ছেনই। এরপর মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন আপনার ডলার দেখতে চাইলে ফট করে ডলারগুলো দেখিয়ে দিন আর বেরিয়ে চলে আসুন(কারো কাছ থেকে হাওলাত করে হলেও ৫০০ ডলার ম্যনেজ করার চেষ্টা করুন, আপনার যা দরকার তা খরচ করে বাকীটা ফেরত নিয়ে যাবেন, আর যদি মনে করেন থাকলে খরচ হয়ে যাবে, তবে বাড়তি টাকা ব্যাংক বা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠিয়ে দিবেন,)। তবে ডলারের চেয়ে ভাল হয় যদি মালয়েশিয়ান রিংগিত বাংলাদেশ থেকে কিনে নিয়ে আসেন, কারন দেশ থেকে ডলার কিনে সেই ডলার আবার রিংগিতে বিক্রী করলে বেশ কয়েক টাকা লোকসান হয়ে যাবে।
ইমিগ্রশনে ১ ঘন্টা সময় লাগতে পারে, এর চেয়ে বেশী বা কম ও হতে পারে, অনেক সময় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দশ মিনিটেও ক্লিয়ারেন্স পেতে পারেন,
আহহহহহ........... ঝামেলা যা সব শেষ, এবার শুধু দেখার আর উপভোগের পালা। যেহেতু প্লেনে তেমন কিছু খেতে পারেননি, খেয়ে নিতে পারেন হালকা কিছু, মালয়েশিয়ার খাবার বাংগালীদের খেতে ভালোই লাগে, স্বাদে বাংলা রান্নার কাছাকাছি, শুধু ঝাল কিন্চিৎ কম এই আর কি। তবে পেটে ক্ষুধা নিয়ে রিস্ক নেবার দরকার নেই, অন্য কিছু খেতে পারেন, আমার অভিগ্গতায় দেখেছি দেশ থেকে যারা আসে বেশীর ভাগই পছন্দ ম্যকডি / কে.এফ.সি। ৭-১০ রিংগিত দাম দিয়ে খেয়ে নিতে পারেন পেট পুরে। খাওয়ার পর্ব শেষ, পেট পুরে খাওয়ার পর সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বাইরে আসুন, আর অভ্যাস না থাকলে ভেতরটা একটু ঘুরে দেখুন, দুয়েকটা ছবি তুলুন,
এবার এয়ারপোর্ট থেকে রাজধানী কে.এল চলে আসুন(এয়ারপোর্ট রাজধানী হতে খানিক দুরে অবস্থিত, আমাদের দেশের মত ভাবলে ভুল করবেন)। নতুন ভ্রমনকারী অনেকেই দৌড় দেয় ট্যক্সি নিতে, আপনি চাইলে বাসেই আসতে পারেন এক্ষেত্রে ভাড়া ১০ ভাগের এক ভাগ পড়বে, (ট্যক্সি=৫০-৭০ রিংগিত, বাস=৭-৮ রিংগিত)। চোখের সামনে বাস না দেখলে একটু ঘুরে হলেও খোজ নিন, আসেপাশেই পাবেন।
বাসে উঠে পড়ুন আর বেরিয়ে আসুন মালয়েশিয়ার রাজপথে।
আস্তে আস্তে এগিয়ে যান আর দেখতে থাকুন নয়নাভিরাম পাহাড় আর পাম বাগানের অপুর্ব দৃশ্য, ধীরে ধীরে প্রবেশ করুন রাজধানী কে.এল এর দিকে
আসল মজা আইতাসে.................
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১০