সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন বাংলা সাংবাদিকতার গগণে এক উজ্জল নক্ষত্র
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আবুল কালাম শামসুদ্দীন
আবুল কালাম শামসুদ্দীনঃ
আবুল কালাম শামসুদ্দীন বিশ শতকের বিশের দশকে বাংলা সাংবাদিকতার ভূবনে আবির্ভাব হয় সাংবাদিকতার দিকপালদের গগনের অন্যতম নক্ষত্র আবুল কালাম শামসুদ্দীন। কুসংস্কার ও গোঁড়ামীর বিরোধী এবং মানবতাবাদী এই সাংবাদিক ছিলেন পাকিস্তানের শাসকদের স্বৈরাচারি চরিত্র ও দুর্নীতির আকুণ্ঠ প্রতিবাদি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি দু’য়েকটি গল্প-উপন্যাস লিখলেও তিনি ছিলেন মূলত প্রাবন্ধিক এবং সূক্ষ্মদর্শী ও নির্ভীক সাহিত্য সমালোচক। তাঁর সুদীর্ঘ সাহিত্যিক ও সাংবাদিক জীবনে তিনি মাতৃভাষা বাংলায় সাহিত্য ও সাংবাদিকতা চর্চায় আত্মনিবেদিত প্রাণ ছিলেন ।
জন্ম ঃ
সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে জন্ম গ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন ঃ
আবুল কালাম শামসুদ্দীন ১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আই.এ পাস করার পর কলকাতার রিপন কলেজে বি.এ শ্রেণীতে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯২০ ও ১৯২১ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে তিনি তাতে যোগ দেন এবং বি.এ পরীক্ষা অংশ নিতে ব্যার্থ হন। পরে তিনি ১৯২১ কলকাতার গৌড়ীয় সুবর্ণ বিদ্যায়তন থেকে উপাধি পরীক্ষা পাস করেন।
কর্মজীবন ঃ
আবুল কালাম শামসুদ্দীনের গোটা কর্মজীবন জুড়েই আগে বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা আর লেখা-লেখি। বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতার পাশাপশি সাহিত্য চর্চা এবং গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ইত্যাদি ছিল তার জীবিকার চালিকা শক্তি। এর পাশাপাশি কিছুকাল রাজনীতি ও পাকিস্তানের পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন।
সাংবাদিক জীবন ঃ
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হলেও, আবুল কালাম শাসমুদ্দীন পেশা ও জীবিকার উপায় হিসেবে সাংবাদিকতাকেই অবলম্বন করেন এবং তাঁর পৌনে এক শতাব্দীরও অধিককালের সাংবাদিক জীবনে বৃটিশ আমলে ও বিভাগ পূর্বকালে ১৯২২ সালে মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক হিসেবে তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরূ হয়। এরপর তিনি একে একে সাপ্তাহিক মোসলেম জগৎ, দি মুসলমান, দৈনিক সোলতান, মাসিক মোহাম্মদী প্রভৃতি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯৩৬ সালে দৈনিক আজাদে যোগদান করেন এবং পরবর্তিতে তিনি ১৯৪০ সালে এর সম্পাদক হিসেবে যোগদান করে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন সুনিপুন ভাবে। সর্বশেষ তিনি ১৯৬৪ সালে ‘প্রেস ট্রাস্ট অব পাকিস্তান’ পরিচালিত দৈনিক পাকিস্তানের সম্পাদক নিযুক্ত হয়ে তিনি ১৯৭২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন ঃ
মূলত সাহিত্যিক-সাংবাদিক হলেও, আবুল কালাম শামসুদ্দীন ছিলেন রাজনীতি সচেতন, স্বদেশ ও স্বজাতিপ্রেমিক, এবং মাতৃভাষা বাংলার প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ। প্রথম জীবনে এবং ছাত্রাবস্থায় কংগ্রেসের রাজনীতি এবং অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে অংশ নিলেও, পরবর্তীকালে ১৯২৭ সালে আবুল কালাম শামসুদ্দীন মুসলিম লীগ ও ও পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হন। ১৯৪২ সালে কলকাতায় পূর্বপাকিস্তান রেনেসাঁ সোসাইটি গঠিত হলে তিনি এর সভাপতি রুপে পাকিস্তান আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি ময়মনসিংহ থেকে কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য (এমএলএ) নির্বাচিত হন। কিন্তু ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা-আন্দোলনকালে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে তিনি এমএলএ থেকে পদত্যাগ করেন। তৎকালীন গভর্ণরের কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেছেনঃ “বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী করায় ছাত্রদের উপর পুলিশ যে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে তাহার প্রতিবাদে আমি পরিষদের আমার সদস্যপদ হইতে পদত্যাগ করিতেছি। যে নুরুল আমীন সরকারের আমিও একজন সমর্থক-এ ব্যাপারে তাহাদের ভূমিকা এতদূর লজ্জাজনক যে, ক্ষতমায় অধিষ্ঠিত থাকিতে এবং পরিষদের সদস্য হিসাবে বহাল থাকিতে আমি লজ্জাবোধ করিতেছি।”
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা ঃ
মাতৃভাষা প্রেমিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন দৈনিক ‘আজাদ’-এর সম্পাদক হিসেবে বিভাগ-পূর্বকাল এবং সাবেক পাকিস্তান আমলে ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে অত্যন্ত সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারী ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং কয়েকজনকে হত্যার প্রতিবাদে আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দেন এবং তিনিই ২৬শে ফেব্রুয়ারী প্রথম শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
সাহিত্য চর্চা ঃ
সাহিত্যিক-সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সাহিত্য-চিন্তা ও দৃষ্টিকোণের পরিচয় তাঁর বিভিন্ন রচনায় স্বাক্ষরিত। অর্ধ-শতাব্দীরও অধিককালের সাংবাদিক ও সাহিত্যজীবনে তিনি সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে বহুসংখ্যক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর ‘কাব্য সাহিত্যে বাঙালি মুসলমান’, ‘মহাশ্মশান কাব্য’, ‘সাহিত্যে সাম্প্রদায়িকতা’, ‘আমাদের সাহিত্য’, ‘বাংলা ভাষায় নয়া শব্দ’, ‘সাহিত্য গুরুর বাঙালি প্রীতি’ এবং ব্যঙ্গ্য রচনা ‘একটি জনসভার রিপোর্ট’ সময়কালিন সময়ে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ছাত্রজীবনে আবুল কালাম শামসুদ্দীন বিদেশী সাহিত্যের-বিশেষত ইংরেজি ও রুশ সাহিত্যের অনুরাগী পাঠক ছিলেন।
নজরুল সমালোচক ঃ
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক জীবনের সূচনাতেই তিনি একজন সাহিত্য রসবোদ্ধা ও গভীর অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন সাহিত্য সমালোচক হিসেবে খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। মুসলিম বাংলা সাহিত্যের নব-মূল্যায়নে বিশেষ করে নজরুল কাব্যের মূল্যায়নে তাঁর ভূমিকা ও অবদান সেকালেই স্বীকৃতি লাভ করে। এ প্রসঙ্গে ১৩৩৩ সালের দ্বিবার্ষিক সংখ্যা ‘সওগাত’ পত্রিকায় বলা হয়ঃ ‘‘তিনি (আবুল কালাম শামসুদ্দীন) এই তরুণ বয়সেই বাংলার মুসলমান সাহিত্যিক সমাজে অদ্বিতীয় কাব্যরসগ্রাহী প্রতিভাশালী সমালোচকের স্থান দখল করিয়াছেন। ‘সাহিত্য’, ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’, ‘সওগাত’, ‘প্রতিভা’ প্রভৃতি সাময়িকপত্রে তাঁর বহু প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে।....ফলত সমালোচক হিসেবে উত্তরকালে তিনি বাংলা সাহিত্যে যে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিবেন কইতেই তাহার পরিচয় পাওয়া যাইতেছে।” উল্লেখযোগ্য যে, আবুল কালাম শামসুদ্দিন বিশ শতকের বেশের দশকে অর্থাৎ ১৯২৭ সালেই নজরুল-কাব্যের আলোচনা প্রসঙ্গে বিদ্রোহী কবিকে বাংলার জাতীয় কবি এবং মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা সাহিত্যের তৃতীয় যুগ-¯্রষ্টা কবিরূপে আখ্যায়িত করেন। নজরুল যে ভবিষ্যতে তাঁর প্রাপ্যসাহিত্য-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবেনÑসেই ভবিষ্যতবাণীও করেন। [‘কাব্য সাহিত্যে বাঙালি মুসলমান’ সওগাত, ১৩৩৩-৩৪]
সম্মাননা ও প্রদক ঃ
আবুল কালাম শামসুদ্দীন বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্মাননা ও প্রদক প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি তৎকালিন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ১৯৬১ সালে সিতারা-ই-খিদমত এবং ১৯৬৭ সালে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ উপাধিতে ভূষিত হন। কিন্তু ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুশুানের সময় ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এর সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমর্থনে সরকার তিনি সরকার প্রদত্ত এ দা’টি খেতাব বর্জন করেন। ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক প্রাপ্ত হন ।
প্রথম শহীদ মিনার
প্রকাশিত গ্রন্থ ঃ
আবুল কালাম শামসুদ্দীন রচিত ও অনূদিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো ঃ
রুশ-ঔপন্যাসিক তুর্গেনিভের ‘ভার্জিন সয়েল’-এর অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করেন দু’দফায়। প্রথমে ‘পোড়োজমি’ এবং পরবর্তিকালে ১৯৩৮ সালে ‘অনাবাদী জমি’ নামে।
ত্রিস্রোতা প্রকাশকাল ১৯৩৯
খরতরঙ্গ প্রকাশকাল ১৯৫৩
দৃষ্টিকোণ প্রকাশকাল ১৯৬১
নতুন চীন নতুন দেশ প্রকাশকাল ১৯৬৫
দিদ্বিজয়ী তাইমুর প্রকাশকাল ১৯৬৫
ইলিয়ড প্রকাশকাল ১৯৬৭
পলাশী থেকে পাকিস্তান প্রকাশকাল ১৯৬৮
অতীত দিনের স্মৃতি প্রকাশকাল ১৯৬৮ ইত্যাদি।
এছাড়া বাংলা আত্মজীবনী হিসেবে ‘অতীত জীবনের স্মৃতি’ তাঁর উৎকৃষ্ট রচনা। দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর এ গ্রন্থ প্রত্যক্ষদর্শীর দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাংলা একাডেমী কর্তৃক ৩ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে শামসুদ্দীনের ‘রচনাবলী’।
মৃত্যু ঃ
১৯৭৮ সালের ৪ মার্চ ঢাকায় বাংলা সাংবাদিকতা জগতের এই দিকপালের মৃত্যু হয়।
সমাপনি ঃ
সাহিত্যিক সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সাহিত্য চিন্তা ও দৃষ্টিকোণের পরিচয় তাঁর বিভিন্ন রচনায় স্বাক্ষরিত। অর্ধ-শতাব্দীরও অধিককালের সাংবাদিক ও সাহিত্যজীবনে তিনি সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে বহুসংখ্যক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। সাহিত্য, সমাজ-সংস্কৃতি ও জাতীয়তা বিষয়ে চিন্তামূলক প্রবন্ধ রচনা ছাড়াও সাহিত্যকর্মের একটা প্রধান অংশ জুড়ে রয়েছে সাহিত্য সমালোচনা। উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক-সাংবাদিক হওয়া সত্ত্বেও আবুল কালাম শামসুদ্দীন অহমিকাবোধে কখনো আচ্চন্ন হননি, অত্যান্ত সরল ও সাদাসিধা জঅবন যাপন করেছেন, যশ ও খ্যাতির পেছনে কিংবা বিত্ত বৈভব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কখনো প্রচেষ্টা চালাননি।
তথ্য সূত্র ঃ
১। রেখাচিত্র যাঁদের হারিয়ে খুঁজি - মোহাম্মদ মাহ্্ফুজউল্লাহ
২। বাংলাপিডিয়া
৩। উইকিপিডিয়া - বাংলা
৪। উইকিপিডিয়া - ইংরেজি
৫। দৈনিক ইত্তেফাক
৬। হবংি৯৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সত্যি বলছি, চাইবো না
সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখস্থান.....
শেখস্থান.....
বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন