বাংলা সাংবাদিকতার দিকপাল মওলানা আকরাম খাঁ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সমাজ-সংস্কারক, ধর্মশাস্ত্রবিদ ও সুপ-িত। বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা-আন্দোলনের অন্যতম নেতা, অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের এক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, কংগ্রেস ও মুসলিম লীড়ের নেতা, এবং পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম পুরধা মওলানা আকরাম খাঁ মুসলিম বাংলা সাংবাদিকতার জনক এবং বাংলা মুসলিম নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত হিসেবে খ্যাত।
প্রথিযশা সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁর আগে এবং তাঁর সমসাময়িককালে উল্লেখযোগ্য অনেক মুসলমান খ্যাতিমান লেখক-সাংবাদিকগণ মাসিক, ত্রৈমাসিক, দৈনিক ইত্যাদি পত্রিকা প্রকাশ করলেও সেগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মওলানা আকরাম খাঁ তাঁর প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে মুসলিম বাংলা সাংবাদিকতা একটা দীর্ঘস্থায়ী ভীত রচনা করেন, তাঁর প্রকাশিত ‘দৈনিক আজাদ’ (১৯৩৬-১৯৯২) ও মাসিক ‘মোহাম্মদী’ বৃটিশ আমলে আত্মপ্রকাশ করে সুদীর্ঘকাল টিকে থাকে এবং পাকিস্তান আমল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরও কিছুকাল এই পত্রিকা দু’টির অস্তিত্ব বর্তমান ছিল। মুসলিম বাংলার নবজাগরণে, বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে, সামাজিক সংস্কারে, লেখক সৃষ্টিতে ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় এবং ১৯৮৪ ও ১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলনে দৈনিক আজাদ ও মাসিক মোহাম্মদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জন্মঃ
মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ ১৮৬৮ সালের ৭ই জুন পশ্চিম বঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার হাকিমপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পারিবারিক পরিচয়ঃ
মওলানা আকরাম খাঁর পিতার নাম সৈয়দ আবদুল বারী এবং পিতামহ তোরাব আলী খাঁ সৈয়দ হাজী নিসার আলী তিতুমীরের সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষরা ব্রাহ্মণ ছিলেন। ইসলাম ধর্মে আকৃষ্ট হয়ে পনের শতকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৮৬৯ সালে তাঁর বয়স যখন এক বছর বয়স মাতা-পিতা মারা যান।
শৈশবকাল: মওলানা আকারাম খাঁর শৈশবকাল সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে শিশুকালে বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম অবস্থায় আত্মীয়ের তত্ত্ববধানে মানুষ হওয়ার কারনে হয়তো অন্য সাধারণ শিশুদের মত স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে উঠেছেন তিনি।
শিক্ষাজীবনঃ
শিশুকালে পিতা-মাতাকে হারানোর পর আত্মীয়ের তত্ত্ববধানে তিনি বেড়ে ওঠেন। অতপর তিনি লালিত আত্মীয়-স্বজনের প্রচেষ্টায় লেখাপড়া চালিয়ে যান। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তাঁর খুব বেশি ছিল না। তৎকালীন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জটিল পরিস্থিতিই ১৯০০ সালে কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে এফএম পাস করেন।
কর্মজীবনঃ
কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে পাস করার পর মওলানা আকরম খাঁ কর্মজীবনে অবতীর্ণ হতে বাধ্য হন। কর্মজীবনের শুরুতেই তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেচে নিন। খুব অল্প বয়সেই আহলে হাদীস ও মোহাম্মদী আকবর পত্রিকার মাধ্যমে তাঁর সাংবাদিকতা পেশায় হাতেখড়ি হয়।
সাংবাদিকতা জীবনঃ
আহলে হাদীস ও মোহাম্মদী আকবর পত্রিকায় সাংবাদিকাতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করার পর মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ ১৯০৮ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত দি মোহাম্মদী ও আল-ইহসান পত্রিকার স¤পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯২০ সাল থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত সময়ে কলকাতা থেকে জামানা ও সেবক পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৩৬ সালের ৩১শে অক্টোবর তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং এটির সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪০ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনকে এর সম্পদনার দায়িত্ব দিয়ে তিনি অবসর জীবনে চলে যান।
সাহিত্য কর্মঃ
মওলানা আকরাম খাঁ সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, ধর্মশাস্ত্রবেত্তা, সুপ-িত ব্যক্তি এবং শক্তিশালি গদ্যলেখক হিসেবে খ্যাতিমান। বাংলার মুসলমান সমাজের নবজাগরণ তথা রেনেসাঁর তিনি অন্যতম পথিকৃৎ। মওলানা আকরাম খাঁ রচিত গ্রন্থাদি, বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সম্পাদকীয় রচনা একজন সুপ-িত ব্যক্তি, চিন্তাশীল ও মননশীল লেখক এবং শক্তিমান গদ্যশিল্পীকেই চিনিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময়ে তাঁর একাধিক প্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যা পাঠক শ্রেণী ও বোদ্ধামহলে বেশ প্রশংসিত ও খ্যাত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল,-
*** সমস্যা ও সমাধান
*** আমপারার বাংলা অনুবাদ
*** মোস্তফা-চরিত
*** মোস্তফা-চরিতের বৈশিষ্ট্য
*** বাইবেলের নির্দেশ ও প্রচলিত খ্রীষ্টান ধর্ম
*** মুসলীম বাংলার সামাজিক ইতিহাস
*** তাফসীরুল কোরআন (১-৫ খন্ড, অনুবাদ)
*** টীকা-ভাষ্য (অনুবাদ)
মৌলিক রচনা ছাড়াও তাঁর বাংলায় অনুদীত গ্রন্থগুলো প্রমাণ করে তিনি যে একজন দক্ষ অনুবাদক এবং সুপ-িত ব্যাক্তি।
রাজনৈতিক জীবনঃ
মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে রাজনীতি শুরু করেন। মওলানা আকরাম খাঁ ছিলেন ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম লীগের একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
১৯১৮ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত তিনি খেলাফত এবং অসহযোগ আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯২০ সালে ঢাকার আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি নিখিল ভারত খেলাফত আন্দোলন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এই সম্মেলনে খেলাফত আন্দোলনের অন্যতম নেতা মওলানা আবুল কালাম আজাদ, মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদি এবং মওলানা মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আকরাম খাঁর দায়িত্ব ছিল তুর্কি খেলাফত থেকে ফান্ড সংগ্রহ করা। ১৯২০-১৯২৩ সময়ের মধ্যে তিনি বাংলার বিভিন্ন স্থানে জনসভা বা সম্মেলনের আয়োজন করে খেলাফত আন্দোলন এবং অসহযোগ আন্দোলন গতিশীল করার চেষ্ঠা করেন।
হিন্দু মুসলিম ভাতৃত্বের ক্ষেত্রে ১৯২২ সালে আকরাম খাঁ চিত্ত রঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টির পক্ষ নেন। এবং ১৯২৩ সালের বাংলা সন্ধির সময়ও তিনি একই পক্ষে ছিলেন। ১৯২৬-১৯২৭ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং অন্যান্য সমসাময়িক রাজনৈতিক ঘটনাবলীর কারণে আকরাম খাঁ ভারতীয় রাজনীতিতে তার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন এবং তিনি স্বরাজ পার্টি এবং কংগ্রেস থেকে সরে দাঁড়ান।
১৯২৯ থেকে ১৯৩৫ সালের মধ্যে তিনি গ্রাম্য রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৩৬ সালে তিনি গ্রাম্য রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে সক্রিয় ভাবে মুসলিম লীগের সাথে যুক্ত হন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের পর তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন এবং ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকাঃ
মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ শুধু বাংলা ভাষায় সুদক্ষ লেখক এবং শক্তিমান গদ্যশিল্পীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মাতৃভাষা প্রেমিক, আজীবন এই ভাষার সেবক। ১৯৮৪ ও ১৯৫২ সালের মহান ভাষা-আন্দোলনে ছিল তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ। বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা যে বাংলা এবং বাংলা ভাষঅ ছাড়া যে অন্য কিছুই না, সে বিষয়ে ১৩২৫ বঙ্গাব্দেই মওলানা আকরাম খাঁ লিখেছিলেনঃ
“দুনিয়ায় অনেক রকম অদ্ভুত প্রশ্ন আছে, ‘বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা কি? উর্দু না বাংলা? এই প্রশ্নটা তাহার মধ্যে সর্বাপেক্ষা অদ্ভুত। নারিকেল গাছে নারিকেল ফলিবেনা, বেল?... বঙ্গে মুসলিম ইতিহাসের সূচনা হইতে আজ পর্যন্ত বাংলা ভাষাই তাদের লেখ্য, কথ্য ও মাতৃভাষা রূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে এবং ভবিষ্যতেও মাতৃভাষারূপে ব্যবহৃত হইবে।” [বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা, মাঘ, ১৩২৫]
তিনি ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা-আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং কয়েকজনকে হত্যার প্রতিবাদে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যপদ (গখঅ ঝযরঢ়) ত্যাগ করেন এবাং তিনিই ২ শে ফেব্রুয়ারী প্রথম শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করেন।
দৈনিক আজাদের একটি সংখ্যার অংশ বিশেষ।
জেল জীবনঃ
মওলানা আকরাম খাঁ অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনসহ সে সময়কার প্রতিটি আন্দোলনের সঙ্গেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ইংরেজদের কাছ থেকে মুসলমান প্রজাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য তিনি ‘বঙ্গ প্রজা সমিতি’ গঠন করেছিলেন। হতাশাগ্রস্ত মুসলমানদের মধ্যে আত্মজাগৃতি সৃষ্টি করতে হলে যে তাদের চিন্তার দুয়ারে প্রথম কড়া নাড়া দিতে হবে। মওলানা আকরাম খাঁ তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এ জন্যই তিনি লেখনির অস্ত্রকে বেছে নিয়ে প্রথমে বাংলা ভাষায় ‘সেবক আল ইসলাহ’ ও উর্দু দৈনিক ‘জামানা’ পত্রিকা বের করেন। সেবক পত্রিকায় ‘অগ্রসর! অগ্রসর!!’ শিরোনামে উত্তেজনাপূর্ণ স¤পাদকীয় প্রবন্ধ লিখার কারনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং পত্রিকার জামানত বাতিল করা হয়।
শেষের দিনগুলিঃ
লিখা-লিখি, সাহিত্য চর্চা এবং ধর্ম-কর্মতেই কাটে মওলানা আকরাম খাঁর জীবনের শেষের দিনগুলো। “ঢাকেশ্বরী রোডের ‘আজাদ’ অফিসের সামনে বিশাল প্রঙ্গণে কখনো কখনো বিকালে মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁকে ইজিচেয়ারে শায়িত অবস্থায় দেখা যেতো। অনেক সময় কবি-সাংবাদিক-সাহিত্যিকরাও তাঁকে ঘিরে বসতেন, এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনাও হতো। আমিও দু’য়েকবার ঐ ধরনের সভায় যোগ দিয়েছি। একবার ‘আজাদ’ অফিসের দক্ষিণ পাশে মওলানা সাহেবের বাসভবনের নীচের তলায় তাঁর সুবৃহৎ পাঠাগারে কয়েকজন সাহিত্যিক-সাংবাদিককে তিনি তাঁর জীবন-কথা বলছিলেন। আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। মনে পড়ে, তিনি মাদ্রাসার ছাত্র এবং আরবী ভাষায় উচ্চ-শিক্ষিত হয়েও বাংলা ভাষা কিভাবে শিখেছিলেন এবং আয়ত্তে এনেছিলেন, সে-কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন যে, তিনি বাংলায় পোস্টকার্ডের সামান্য চিঠিও লিখতে পাড়তেন না, নিজের চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে পড়ে বাংলা ভাষা আয়ত্তে এনেছেন।” [যাঁদের হারিয়ে খুঁজি, মোহাম্মদ মাহ্্ফুজউল্লাহ, পৃ. ১৪]
সম্মাননা ও প্রদক ঃ
মওলানা আকরাম খাঁ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা প্রভৃতি থেকে নানা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে সম্মান জনক পুরষ্কারটি হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮১ সালে তাঁকে বাংলদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার (মরনোত্তর) স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদান করেন।
মৃত্যু
মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ ১০১ বছর বয়সে ১৯৬৯ সালের ১৮ আগষ্ট রাজধানী বংশালে আহলে হাদীস মসজিদে নামাযরত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
সম্মানা ও প্রদক
শেষকথাঃ
বহুমূখি প্রতিভার ও কর্মক্ষমতার অধিকারী মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ সাহিত্য, সমাজ-সংস্কৃতিতে, এবং বাংলার মুসলিম জাগরণের ক্ষেত্রে যে ব্যাপক ভূমিকা ও অবদান রেখে গেছেন তার উল্লেখ, আলোচনা ও মূল্যয়ন এই স্বল্প-পরিসরে নিবন্ধে সম্ভব নয়। তাঁর অবদান ও কৃতিত্ব সবিস্তারে জানতে হলে তাঁর ব্যাপারে আরো অধিক পঠন ও গবেষণা করতে হবে।
তথ্য সূত্রঃ
১। বাংলা ইউকিপিডিয়া
২। যাঁদের হারিয়ে খুঁজি
৩। বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা
৪। মাওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ বাংলা সাংবাদিকতার পথিকৃৎ -মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম
৫। সর্বত্র জাতীয় পরিচয় বজায় রাখার অতন্দ্র প্রহরী মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ -জুলফিকার আহমদ কিসমতী
৬। বাংলা একাডেমী
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সত্যি বলছি, চাইবো না
সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখস্থান.....
শেখস্থান.....
বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন