সমকালসহ দেশের আরও কিছু জাতীয় দৈনিক পড়ে যা বুঝলাম তাতে আমাদের অনুমান সত্য প্রতীয়মান হচ্ছে। ইলিয়াসের গুম হওয়াকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে 'উদ্ধার' নামে সরকারি নাটক মঞ্চস্থ হবার বিষয়ে দেশবাসী কিছু অনুমান করেছিলেন। পত্রিকাগুলো সে সম্ভাবনাকে সত্য করে তুলেছে। সরকার তিন বা ১০ যে ক'টি শর্তই দিকনা কেন দেশবাসীর শর্ত কিন্তু একটা...দেশে স্থিতিশীল অবস্থা....
হরতাল অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর...বুদ্ধিজীবীরা এ কথা যতো গলাবাজিই করে প্রচার করুন না কেন যাদের ক্ষতি বলে তারা দাবি করেন তারা কিন্তু হরতাল পেলে খুশিই হন। সপ্তাহে দু'দিন ছুটিতে যেমন মানুষ খুশি হয় হরতালেও তেমনি খুশি তারা। কিন্তু বিভ্রাট অন্যখানে....একদল হরতালবিরোধী রোখ অন্য দের স্বাধীনতা হরণ করে চাকরি হারাবার ভয় দেখিয়ে তাদের অফিসে আসতে বাধ্য করে। গোলমালটা সেখানেই। এমন যদি হতো যার খুশি সে স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করবে তাহলে হরতালে এতো বিশৃঙ্খলা বা হয়রানী সৃষ্টি হতো না।...হরতালে যারা নিজের ব্যবসা বা ব্যাংক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখেন তাতে তাদের যে পরিমাণ লাভ তার চেয়ে বন্ধ রাখলে ক্ষতি কম হতো। বেঁচে যেতো অনেক শ্রমিক-কর্মকর্তা অযথা হয়রানী থেকে।...সে যাই হোক অর্থনীতির কথা ভেবে হরতাল না দেয়াই ভালো। তবে হরতাল না দেয়ায় কি আমাদের অর্থনীতি খুব ভালো'র দিকে? তাতো নয়। এ সরকারের আমলে প্রায় সাড়ে তিন বছরে হরতাল হয়েছে ৮-১০ দিন। কিন্তু অর্থনীতি? দ্রব্যমূল্য? শেয়ারবাজার? বিদ্যুত-জ্বালানি? কোন খাতে সরকার সাফল্য দেখাতে পেরেছে? বরং তারা নিজেরাই হরতাল করেছে একাধারে তিনদিন। পত্রিকাগুলো লিখেছে সাধারণ মানুষ বলেছে সরকারি দল হরতাল ডাকে এই প্রথম দেখলাম...। এরপরও হরতালকে অর্থনীতির শত্রু হিসেবেই চিহ্নিত করতে হয়। তবে এর জন্য বিরোধীদলকে যেমন একতরফা দায়ী করা হয় এবার তা সম্পূর্ণভাবে করা যায় না।....হঠাৎ কেন হরতালের ইস্যু তুলে দেয়া হয় বিরোধীদলের হাতে?...সে প্রশ্নটি সবার। এখন কেন শর্তের বেড়াজালে হরতাল হয়রানী জারি রেখেছে সরকার? বিরোধীদলের চেয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়ায় ধর্মঘট অবরোধ কর্মসূচি বেশি পালিত হয়েছে...তার মানে হরতাল রাজিনৈতিক যতোটা নয় তার চেয়ে জনদাবি বেশি।....