বাবা মার কাছে আব্দার করে যতটুকু পেতাম ততটুকই ছিল আনন্দ। বেশি পেলে বেশি, কম পেলে কম...কিন্তু ঈদতো হতো। আর আজ? কাগজের পর কাগজ ছিড়েঁ ফেলেও হিসেব মেলে না। বউ-ছেলে, মা বাবা, ভাইগ্না-ভাগ্নি, ছোট ভাইবোন এবং নিজের...বলুন কার দাবি পূরণ করবেন? কারটা বাকী রাখবেন?
আগে যেমন পেলে আনন্দ হতো সময়ের বিবর্তনে এখন দিলে- দিতে পারলে আনন্দ! কিন্তু না এ আনন্দ আর সমূলে ভোগ করতে পারি না। এর নাম চাকরিজীবী।
নতুন কিছু পাওয়ার আনন্দ সবাই চায়, পায় কজনা। তবু যারা কিছুই পেত না তারা অন্তত ঈদেরদিন বাবা-মাকে নিয়ে আনন্দেই থাকত...আর আজ? বুড়ো বাবা-মা গ্রামের বাড়ি ভাইয়া মিরপুরে, আপু বোরহানুদ্দিনে আমি হতভাগা বনশ্রী নামক গাঁয়ে...জানি সকালে উঠে ছেলেটা রেডি হয়ে থাকবে বাবার সাথে নামাজে যাবে বলে...কিন্তু আমি থাকবো অফিসে...রাতে যখন ফিরবো ছেলে তখন ঘুম...বাবা এভাবেই হবে ঈদমোবারক? মা ফোনে জানতে চাইবে কেমন কাটলো দিনটা? ফোনে ট্রাই করতে করতে...ঢুকতে পারি না নেট বিজি...বাবা বলবে আমার দাদুমনিকে নিয়ে নামাজে গেছিলা বাবা? ভাইয়া বলবে কীরে বাসায় আসলি না?
সময় পেলাম কই?
নাকি অহনাকে কিছু দেয়ার ভয়ে আসিসনি?
ছোটভাইটা বলবে জাবিরকে দেখতে আসতে চেয়েছিলাম...রাস্তায় গাড়িই পেলাম না। ঈদে এই বাসগুলো বন্ধ থাকে। সিএনজির যা ভাড়া....তাও ভাগ্যে যদি জোটে...একটার পেছনে শতশত মানুষ।
অতপর: ঈদ কাটবে ফেসবুকে...টিভির অনুষ্ঠান দেখে স্যরি বিজ্ঞাপন দেখে...
তবুও জানাই ঈদ মুবারক। প্রার্থনা জানাই হে প্রভূ যদি আনন্দের দিন হিসেবে পালনের উদ্দেশ্যেই যদি দিয়ে থাকো দিনটি তবে সবাইকে খুশি করার দায়িত্বও কি তোমার নয়? তুমিই পারো ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে সবার ঘরে ঘরে...