অভিযোগ : শিক্ষক কর্তৃক অভিভাবকের অপমান মেনে নিতে না পেরে ভিকারুন্নেসার এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আরো শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাকি শিক্ষার্থীদের কোন অপরাধের কারনে টি সি দিযে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।
প্রশ্ন হলো কতটা অপমানিত করা হয়েছে ঐ সম্মানিত অভিভাবককে ? অভিযোগ করা হয়েছে যে, অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন কিন্তু সি সি টিভির ফুটেজে তেমন কিছু দেখলাম না।
যেখানে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে আসাই নিষেধ সেখানে ঐ পরীক্ষার্থী মোবাইল দিয়ে নকল করছিল। সুতরাং শিক্ষক ঐ কারনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতেই পারেন। টি সি দিয়ে বের করে দেয়া হবে যদি এমন কথাও বলে থাকেন তাহলেও আমি এতে অন্যায় কিছু দেখি না। শাসন করা জন্য বাবা-মা রাও এধরনের অনেক কথা বলে থাকেন যা বাস্তবে করেন না। শিক্ষকরাও শাসন করার জন্য অনেক সময় এধরনের কথা বলে থাকেন তবে প্রকৃত পক্ষে সেটা করেন না।
আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমাদের শিক্ষকরা আমাদের বেত দিয়ে মারতেন বা অনেক বকাবকিও করতেন আমরা সেটাকে শিক্ষকের আর্শীবাদ হিসাবে দেখতাম। কিন্তু বর্তমানের ছাত্র-ছাত্রীদের অপমানবোধ এতোই বেশী যে আত্মহত্যা করতেও দ্বিধা করেনা।
ভিকারুন্নেসার শিক্ষার্থী আত্মহত্যার কারন কী শুধু শিক্ষরাই নাকি আরো কোন কারন থাকতে পারে সেটা খোজার দুঃসাহস ও কেউ করবে না, কারন সবাই এখন আবেগে দিশেহারা। সকল মিডিয়া, পত্র পত্রিকা, সুশীল সমাজ আজ শিক্ষদের দায়ী করছেন। সরকার প্রধান শিক্ষক সহ ৩ জন শিক্ষক কে বহিস্কার করেছে, তদন্ত কমিটি হয়েছে, শুনলাম মামলাও নাকি হয়েছে।
এধরনের ঘটনার পরও কি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কোন অপরাধের কারনে শাসন করার দঃসাহস পাবে কিনা বুঝতে পারছিনা।
তবে একটা প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছি না সামান্য একটা বিষয়ে অভিমান করে মেয়েটির আত্মহত্যা করেছে এজন্য তার পরিবার কী কোনভাবেই দায়ী না ????