সচেতনতামূলোক পোষ্ট আশাকরি কিছু হলেও জানতে পারবেন এবং ভালো লাগবে।
আমরা অনেকেই /অনেক পেজ থেকে লিখি বা শেয়ার করি যে ,অমুক ফকির ভিক্ষা করে জমানো টাকা দিয়ে ১০ বস্তা সিমেন্ট দান করছে ।কিংবা তমুক ফকির এত টাকা বা এই জিনিষ দান করছে।
আমরা এখানে শুধু ফকিরের দান করা দেখি ;একবার ও কোরান হাদীসের কথা দেখি না ,একবার ও মনে প্রশ্ন আসে না যে ভিক্ষা করে যে দান করলো তা কি যায়েজ ? আবার ভিক্ষার অর্থ দান করা যাবে কি না ?
আমরা তা দেখি না ,আমরা শুধু দেখি যে ফকির /ভিক্ষুক দান করছে (বড়ই মহানুভবতার কাজ করছে!অনেক ধনী যা করে না তাই) করছে ।
কিন্তু একবার মনকে প্রশ্ন করে দেখুন ----ভিক্ষা করা কে ইসলামের দৃষ্টি কেমন চোখে দেখা হয়েছে, কারা ভিক্ষা করতে পারবে, আর কারা ই বা ভিক্ষা পাবার উপযুক্ত ।
উত্তরগুলো জেনে রাখুন ;যে বা যার কাজ করার ক্ষমতা আছে ,বা আহার যোগার করার মত শক্তি অর্থ বা দৈহিক বল আছে তাদের জন্য ভিক্ষা করা হারাম ।রাসুল(সঃ) ভিক্ষুক কে অভিসম্পাত করেছেন ।বলা হয়েছে যার কাজ করার ক্ষমতা নেই, কিন্তু পরদিন পর্যন্ত রুটি কেনার টাকা আছে তার জন্য ভিক্ষা করা হারাম ।তাহলে যদি ওই ভিক্ষুক দিনের পর দিন টাকা জমায় তাহলে তার ভিক্ষা করা দৈনিক হারাম হয় ,অতএব তার জমানো পয়সা ও হারাম ।আর হারাম টাকার দান তো কবুল হবার কোনো প্রশ্ন ই ওঠে না ।এম্নিতেই তো ভিক্ষা (অন্যের দান) গ্রহন করছে ,তা থেকে আবার দান এমনি তো যায়েজ নাই এবং হস্যকর ।
আর আমরা কিছু 'মুর্খরা' আমাদের পেজে বা ওয়ালে বড় করে ছবি দিয়ে পোষ্ট করি ,আবার আরেক দল মুর্খ তা হল্লা করে শেয়ার করে কমেন্ট করে সুবাহানাল্লাহ,মাশাল্লাহ ইত্যাদি ।একবার ও নিগূড় বাস্তবতা বুঝতে চেষ্টা করে না ।
এসব বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।