ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামের বাড়িতে যেতে চান তাদের জন্যই ব্লগটা লিখছি। মূলত ট্রেনের যাত্রিদের জন্য তথ্য গুলো কাজে লাগবে। যেটা নিয়ে কথা বলব
সেটা হয়তো অনেকেই জানেন। যারা জানেননা তাদের জন্য তথ্যটি কাজে লাগবে আশা করি।
মূলত ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট যেন কাঙ্খিত সোনার হরিণ। অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও টিকিট পাননা। তাই এ অসুবিধা দুর করতেই গ্রামীনফোন এনেছে মোবিক্যাশ সার্ভিস। যার মাধ্যমে খুব সহজেই বাড়িতে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। নিম্নে কিভাবে এ সুবিধা উপভোগ করবেন তা বর্ণনা করা হল:-
বুকিং:
আপনি কিছু নির্ধারিত রুটের টিকেট বুক করতে পারবেন। কিন্তু বুক করার ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার টিকেট কিনতে হবে, না হলে বুক করা টিকেটটি অন্যরা কিনে ফেলতে পারে।
বুকিং পদ্ধতি:
ফোন থেকে *131*1# ডায়াল করুন
Answer বাটন চেপে যাত্রার তারিখ টাইপ করুন এবং Send প্রেস করুন (আপনার যাত্রার তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 15, ০৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 05)।
Answer বাটন চেপে আপনার যাত্রা শুরুর স্টেশনের পাশে নম্বরটি টাইপ করে Send প্রেস করুন
আপনার গন্তব্য স্টেশনের প্রথম তিনটি অক্ষর টাইপ করুন। আপনার সামনে বেশ কয়েকটি স্টেশনের নাম দেখা যাবে। Answer বাটন চেপে আপনার কাঙিক্ষত স্টেশনের নামের পাশে নম্বরটি দিয়ে Send প্রেস করুন
আপনার ট্রেনটি বেছে নিন (কাঙিক্ষত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
টিকেটের ক্লাস বেছে নিন (কাঙিক্ষত ট্রেনের ক্লাসের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
প্রয়োজন অনুযায়ী টিকেট অপশন বেছে নিন (কাঙ্ক্ষিত টিকেট অপশন কম্বিনেশনের পাশে নম্বরটি বসান)
বুকিং কনফার্ম করার জন্য 1 চাপুন (বাতিল করার জন্য 2 চাপুন)
বুকিং কোড ও টিকেটের দামসহ আপনি একটি এসএমএস পাবেন
বুকিং-এর পরের পদক্ষেপ:
যেকোন গ্রামীণফোন সেন্টার বা বিলপে চিহ্নিত আউটলেট থেকে বুকিং দেয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার মোবিক্যাশ রিফিলে প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা রিফিল করে নিন।
ফোন থেকে ডায়াল করুন *131*2#
আগের এসএমএস-এ প্রাপ্ত বুকিং কোডটি টাইপ করুন
আপনার PIN নম্বর দিন
কনফার্ম করার জন্য 0 চাপুন
এসএমএস-এর মাধ্যমে আপনি একটি ই-টিকেট নম্বর পাবেন। ই-টিকেট নম্বরটি সেইভ করুন। রেল স্টেশনের নির্ধারিত মোবিক্যাশ বুথ থেকে বা কাছের গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-টিকেটটি দেখিয়ে মূল টিকেটটি সংগ্রহ করুন। দয়া করে যাত্রা করার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে টিকেটটি সংগ্রহ করুন।
সরাসরি ই-টিকেট কিনুন:
আপনার মোবিক্যাশ ব্যালেন্সে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যেই থাকলে আপনি বুকিং না দিয়ে সরাসরি ই-টিকেট কিনতে পারেন। আপনার যদি ট্রেনের টিকেটের দাম জানা থাকে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার মোট কত টাকা দিতে হবে। গণনা করার সময় প্রতি সিটের জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ ধরে নেবেন।
সরাসরি কেনার পদ্ধতি (বুকিং ছাড়া):
ফোন থেকে *131*3# ডায়াল করুন
PIN নম্বর দিন
Answer বাটন চেপে যাত্রার তারিখ টাইপ করুন এবং Send প্রেস করুন (আপনার যাত্রার তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 15, ০৫ সেপ্টেম্বর হলে টাইপ করুন 05)।
Answer বাটন চেপে আপনার যাত্রা শুরুর স্টেশনের পাশে নম্বরটি টাইপ করে Send প্রেস করুন
আপনার গন্তব্য স্টেশনের প্রথম তিনটি অক্ষর টাইপ করুন। আপনার সামনে বেশ কয়েকটি স্টেশনের নাম দেখা যাবে। Answer বাটন চেপে আপনার কাঙিক্ষত স্টেশনের নামের পাশে নম্বরটি দিয়ে Send প্রেস করুন
আপনার ট্রেনটি বেছে নিন (কাঙিক্ষত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
টিকেটের ক্লাস বেছে নিন (কাঙিক্ষত ট্রেনের ক্লাসের পাশে নম্বরটি বসিয়ে Answer বাটন চেপে Send প্রেস করুন)
প্রয়োজন অনুযায়ী টিকেট অপশন বেছে নিন (কাঙ্ক্ষিত টিকেট অপশন কম্বিনেশনের পাশে নম্বরটি বসান)
বুকিং কনফার্ম করার জন্য ১ চাপুন (বাতিল করার জন্য ২ চাপুন)
এসএমএস-এর মাধ্যমে আপনি একটি ই-টিকেট নম্বর পাবেন। ই-টিকেট নম্বরটি সেইভ করুন। রেল স্টেশনের নির্ধারিত মোবিক্যাশ বুথ থেকে বা কাছের গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-টিকেটটি দেখিয়ে মূল টিকেটটি সংগ্রহ করুন। দয়া করে যাত্রা করার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে টিকেটটি সংগ্রহ করুন।
লক্ষ্য করুন:
মোবিক্যাশ টিকেটিং সার্ভিস ব্যবহার করে কেনা প্রতিটি টিকেটের জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
একজন গ্রাহক একটি মোবাইল নাম্বার থেকে মাসে ২টি ট্রানজেকশন করতে পারবেন।
>> প্রতি ট্রানজেকশনে গ্রাহক ১-৪টি সিট বরাদ্ধ নিতে পারবেন।
>> একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য গ্রাহক মাসে একটিই ট্রানজেকশন (১-৪টি সিট) করতে পারবেন। উদাহরণসরুপ, একজন গ্রাহক যদি ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার টিকেট কিনেন, একই মাসে উল্লেখিত গন্তব্যের জন্য আর কোন টিকেট কিনতে পারবেন না। কিন্তু গ্রাহক চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অথবা অন্য কোন গন্তব্যে যাওয়ার টিকেট কিনতে পারবেন।
এখন থেকে ভ্রমন তারিখের ৩ দিন আগে টিকেট কেনা যাবে। যেমন, আপনার ভ্রমন তারিখ যদি ২০শে ফেব্রুয়ারী হয়, ১৭ই ফেব্রুয়ারীতে আপনার টিকেট ইস্যু করতে পারবেন।
টিকেট কেনার সময়ঃ সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা
মোবিক্যাশ টিকেটিং সার্ভিসের মাধ্যমে কেনা টিকেট হস্তান্তরযোগ্য নয়। এই সার্ভিসটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে কতগুলো টিকেট আছে, তার ওপর নির্ভর করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে যেকোন সময় টিকেটটি বাতিল করার অধিকার রাখে। এক্ষেত্রে তাঁদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে বিবেচ্য হবে। টিকেট রিফান্ডের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মকানুন কার্যকর হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
আপনাকে যাত্রা শুরুর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে রেল স্টেশনের নির্ধারিত বুথ থেকে কাগজের মূল টিকেটটি সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও এই টিকেট নির্দিষ্ট কিছু গ্রামীণফোন সেন্টার থেকেও সংগ্রহ করা যায়। গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করার সময় আপনার ট্রেনের সময় এবং গ্রামীণফোন সেন্টারের সময় (সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা) খেয়াল করবেন।
যাত্রা শুরুর সর্বোচ্চ ৩ দিন আগে মোবিক্যাশ টিকেটিং সার্ভিস ব্যবহার করে টিকেট কেনা যায়। যাত্রা শুরুও ১২ ঘন্টা আগে টিকেট বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে তবে আপনি যাত্রার ৬ ঘন্টা আগে পর্যন্ত বুকিং ছাড়া সরাসরি টিকেট কিনতে পারবেন। যাত্রার ৬ ঘন্টা আগে থেকে আর মোবাইলের মাধ্যমে ই-টিকেট কেনা যাবে না।
যদি মোবিক্যাশ ব্যালেন্স ই-টিকেট কেনার সময় ব্যবহার না করা যায়, তবে সেক্ষেত্রে ব্যালেন্সটি বিল পে, ফ্লেক্সিলোড ও পরবর্তীতে ট্রেন টিকেট কেনার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
যেসব গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে প্রিন্ট করা টিকেট সংগ্রহ করা যাবে, সেগুলো হচ্ছে:
ঢাকা:
মতিঝিল, গুলশান, ফার্মগেট, মিরপুর ও ধানমন্ডি গ্রামীণফোন সেন্টার
চট্টগ্রাম:
আগ্রাবাদ ও জিইসি মোড় গ্রামীণফোন সেন্টার
রাজ়শাহী:
রাজশাহীর নাটোর রোডের গ্রামীণফোন সেন্টার
সিলেট:
সিলেটের এয়ারপোর্ট রোড, আম্বরখানার গ্রামীণফোন সেন্টার
পরিশেষে সবার ঈদ আনন্দময় ও সুখময় হোক এই প্রত্যাশায় এখানেই শেষ করছি।