'তোমাদের নবী সা: এর জীবনেই রয়েছে সর্ব্বোত্তম আদর্শ।'-আল কুরআন।
'নবী রক্তে মাংসে গড়া, দোষে গুণে ভরা।'- গোলাম আযম।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ২৫ মার্চ ’৮১ প্রদত্ত বক্তৃতায় বলেন, ‘স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্যে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের মানুষ আবার অস্ত্র তুলে নেবে’ এবং ‘কতিপয় লোক স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের আমরা ভালভাবে চিনি। ১৯৭১-এ স্বাধীনতা বিরোধীরা কিছুই করতে পারেনি, আজ যারা বিদেশী অনুপ্রেরণায় স্বাধীনতাকে দুর্বল করতে চাচ্ছে তারাও কিছু করতে পারবে না, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ধ্বংস করে দেবে।’
জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মৌদুদী খোদ পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় চার হাজার মানুষ হত্যার নির্দেশ দানের দোষে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ফাঁসির রায় পাবার পরও বৈদেশিক চাপে ছাড়া পেয়ে যায়।
৭১ সালে জামাত ঢাকায় মহা ঘটা করে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন করে। এ দিন জামাতের তরফ থেকে বলা হয় : ২৪ বছর পাকিস্তানের আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তাই আজ পূর্ব পাকিস্তানের ঘরে ঘরে পাকিস্তানের দুশমন সৃষ্টি হয়েছে
মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানের শত্রু দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যায়িত করেন জামাত প্রধান মওলানা আবুল আলা মওদুদী। ১০ জুলাই ’৭১ লাহোরে
১৯৭৩ সাল। লন্ডনে এ সময় জড়ো হতে থাকেন ১৯৭১-এ পালিয়ে যাওয়া জামায়াতের নেতা ও কর্মীরা, পূর্ব পাকিস্তান জামাতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম সাপ্তাহিক হিসেবে লন্ডনে প্রকাশিত হয়।
১৯৭৩-এ পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টো পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বাংলাদেশের স্বীকৃতির প্রশ্নে মতামত আহ্বান করেন।
এ উপলক্ষে পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর মজলিশে সূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুধু দুজন সদস্য মওলানা আবদুর রহীম ও চৌধুরী রহমতে এলাহী বলেন স্বীকৃতি দেয়া যায়। বিরোধিতা করলেন অধ্যাপক গোলাম আজম ও অন্যান্য নেতারা।
১৯৮১ সালের ২৯ মার্চ আব্বাস আলী খান এক সাংবাদিক সম্মেলনে আবার ’৭১ এ আমরা যা করেছি ঠিকই করেছি’ এবং ‘একাত্তরে বাংলাদেশের কনসেপ্ট সঠিক ছিল না’বলে।
গোলাম আজমের উদ্যোগে ১৯৭২ সালে পাকিস্তানে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার সপ্তাহ’ পালিত হয়। জামাতে ইসলাম ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত 'বাংলাদেশ নামঞ্চুর' আন্দোলন করে।
কোন সাধারণ মুসলিম কি এই কথা মেনে নিতে পারে? তারা দলীয়ভাবে একাত্তরে রাজাকারি করেছে তা তারা নিজেরাই স্বীকার করে।
যে কোন মানুষ তাদের সমর্থন করা মানেই বাংলাদেশের বিরোধীতা করা।
আপডেট
ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর বোমা হামলা। স্প্লিন্টারে আহত একাধিক সাংবাদিক। বায়তুল মোকাররমে ২০০-৩০০ জামাত শিবির নেতাকর্মী অবস্থান করছে। 'ব্লগার' দের জবাই করার ঘোষণা দিচ্ছে। গলি গলিতে অবস্থান করছে। সাত সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ। চট্ট্রগামে প্রেসক্লাবে ও নিউজ চ্যানেলে আগুন। সহকর্মীদের অবস্থা দেখে কাঁদছেন সাংবাদিকরা। পুলিশ ও র্যাবের উপর বারবার হামলা। চট্টগ্রাম থেকে জয়পুরহাট, খুলনা থেকে রাজশাহী একই চিত্র। প্রজন্ম চত্বরের নিরাপত্তার পুলিশ মতিঝিলে লাশ। ফেণী ও সিলেটে ভেঙেছে শহীদ মিনার। আবার একাত্তুর। আবার শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দেয়া। আবার বুদ্ধিজীবী হত্যা। আবার ইসলামের দোহাই দিয়ে মুসলিমদেরই গণহত্যা শুরু।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯