‘কোনো ভালো মুসলমান তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থক হতে পারে না।’- গোলাম আযম, ৭১ সালের ৩১ আগস্ট।
'কোন ভালো মুসলমান তথাকথিত শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থক হতে পারে না।'- জামায়াতে ইসলামী, ২০১৩।
চট্টগ্রামে প্রেসক্লাবে হামলা। নিউজ চ্যানেলের অফিসে হামলা। পুলিশ এখনো সাধারণ মুসল্লিদের বেরুনোর পথ করে দিচ্ছে।
প্রজন্ম চত্বর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যর লাশ মতিঝিলে। সাংবাদিকদের গুলি করার রিভলভার কাদের? হঠাৎ একাত্তর, হঠাৎ চোদ্দই ডিসেম্বর।
গাজীপুর, টঙ্গী, রাজশাহীতে ভেঙে গেছে গণজাগরণ মঞ্চ। বাঙালীর বুক ভাঙেনি। একাত্তর নেমে এসেছে বাঙালির বুকে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি মুহূর্তে অপপ্রচার করে উত্তেজিত করা হয়েছে। জামাত শিবির আড়ালে থেকে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তুলেছে। অথচ এই গণজাগরণ ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। এই মঞ্চগুলো থেকে কখনো মহানবী হজরত মোহাম্মদ ( সা: ) কে অবমাননা করা হয়নি।
গণজাগরণ বাংলার সকল ধর্মের সকল মতের সকল দলের মানুষের। এই জাগরণ একাত্তরের শত্রুদের বিরুদ্ধে। জামাত শিবির আর ইসলাম কখনো এক নয়। একাত্তরে জামাত শিবির যে ত্রিশ লাখ মানুষ মেরেছিল তাদের বিশ লাখেরও বেশি মুসলমান। যে দুই লাখ নারীকে অবমাননা করা হয় তার চার ভাগের তিনভাগ মুসলমান।
একাত্তরে জামাত শিবির যুদ্ধ করেছিল আমাদের বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশের নব্বই ভাগ মানুষ মুসলমান। নব্বই ভাগ মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। বাংলাদেশের মুসলমান আজকে ইতিহাস ভুলতে পারে না। শত্রু পক্ষকে নিজের পক্ষে নিতে পারে না।
চট্টগ্রামে আহত পাঁচ সাংবাদিক।
ঢাকায় ভেঙে দেয়া হয়েছে সব সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা। পেটানো হয়েছে সাংবাদিকদের। সাংবাদিক কার গুলিতে গুলিবিদ্ধ হলেন ঢাকায়?
ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে জামাত শিবির। নিজেদের নাম আড়াল করে নানা ব্যানার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে।
বাংলাদেশ রক্ষা কর। একাত্তর সালে আট বছর বয়েসি মুসলমান গেরিলা মাটি হাতে নিয়ে বলেছিল, আমি কিছু বলব না। গুলি খেয়ে মারা যাব। এই মাটি আমার মা। মায়ের বুকেই কবর হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩