প্রতিবন্ধীরা কি আসলেই প্রতিবন্ধী, কিছু কিছু প্রতিবন্ধী আছে যাদের বুদ্ধিমত্তা অসাধারন। আমরা সুস্থ থেকে যে ব্যাবহার তাদের সাথে করি ওরা প্রতিবন্ধী হয়েও অসাধারন কাজ দেখিয়ে যায়। আমার উনি একটি প্রতিবন্ধী স্কুলে চাকরি করে, উনার সুবাদে স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের কিছু কিছু ঘটনা জানতে পারি।
প্রতিবন্ধীদের কিছু ঘটনা এখানে তুলে ধরলাম
১। এক বাচ্চার কথা বলার সমস্যা, ওর বাবা ওকে নিয়ে গেছে সিংগাপুরে এক পরিচিত বন্ধু ডাক্তারের কাছে
ডাক্তার : কেমন আছ আব্বু
বাচ্চা : Good
ডাক্তার : তোমার নাম কি
বাচ্চা : মেরা নাম ..........
ডাক্তার : তুমি কি স্কুলে যাও
বাচ্চা : হাঁ
ডাক্তার হাসতে হাসতে বলল ওর তো কথা বলার কোন সমস্যা নাই, ওর প্রতিভা তো বিভিন্ন ভাষায়
২। বাচ্চাদের খেলার সময়, সব বাচ্চারা যে যেমন পারে খেলে, কেউ দোল খায়, কেউ স্লিপারে উঠে, কেউ দৌড়াদৌরি করে।
এরকম এক বাচ্চা স্লিপার থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে গাছের পাতা ছিড়ে আবার স্লিপারে উঠতেছিল।
সেটা দেখে আরেক বাচ্চা তাকে গাছের পাতা ছিড়তে মানা করল।
কিন্তু কে কার কথা শোনে, তাই বাচ্চাটি আমার উনার কাছে নালিশ দিতে আসল
বলল মিস দেখ দেখ ও না বার বার গাছের পাতা ছিড়ছে, তুমি ওকে মানা করে দাও, গাছের পাতা ছিড়লে আল্লাহ গুনাহ দিবে না!
৩। একুশে ফেব্রুয়ারি, বাচ্চারা এবং শিক্ষক-শিক্ষীকা সবাই মিলে মাইক্রোবাসে করে শহীদ মিনারে যাচ্ছে ফুল দিতে। সকালের নাস্তা স্যান্ডউইচ। আমার উনি এক বাচ্চাকে স্যান্ডউইচ খাইয়ে দিচ্ছিল (বাচ্চাটা কোন কিছু চাবিয়ে বা চুষে খেতে পারেনা, শুধু মাত্র লিকুইড গিলে খেতে পারে) কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও এক টুকরো স্যান্ডউইচ খাওয়াতে পারলোনা, যত বারই স্যান্ডউইচ মুখে দিতে গেল না চাবাতে পারার কারনে তা বের হয়ে আসতে লাগল, অবশেষে বাচ্চাটি ইসারাতে বলল সে খাবেনা।
এর পর আইসক্রিম খাওয়ার পালা, সবাই মজা করে আইসক্রিম খাচ্ছে, আমার উনি বাচ্চাটিকে বলল তোমাকে আইসক্রিম খাইয়ে দেই, সে ইসারাতে তার মুখ দেখিয়ে বলল খেতে পারবেনা
নিচের অসাধারন সপিং ব্যাগটি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে
আমরা যারা সুস্থ-স্বাভাবিক তাদের কিছু কিছু দায়িত্বহীনতার কারনে প্রতিবন্ধীদের মা-বাবারা তাদের সন্তানদের নিয়ে অসস্তিতে পরেন, আমাদের কি এতটুকুও দায়িত্ব নেই ওদের প্রতি একটু সহানুভূতির হাত বারিয়ে দেওয়া। আমাদের কারনে আর কতদিন প্রতিবন্ধীদের মা-বাবারা তাদের সন্তানদের নিয়ে বাইরে যেতে ভয় পাবে।