গৌতম বুদ্ধের মুলমন্ত্র হচ্ছে,
"জীব হত্যা মহাপাপ "
কিন্তু মানুষ যে জীবের মধ্যে পড়েনা,
সেটা আমার জানা ছিল না।।
.
আমি ছোটবেলা থেকেই
বোদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেখলে
ভাবতাম তারা অনেক নিরীহ আর
কোমল মানসিকতার।
অন্য ধর্মাবলম্বী হলেও তাদের প্রতি
একটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করতো।
কেবল বোদ্ধই নয় হিন্দু কিংবা খ্রিস্টান
সব ধর্মের মানুষকেই আমি সমান চোখে দেখি।
.
আমি বিশ্বাস করি ধর্ম যদি না থাকে
তাহলে মানুষের ন্যায় অন্যায়ের আর কোন
বাধ্যবাধকতা থাকে না।
কারন পৃথিবীর আদালতে সব অপরাধ ধরা পড়েনা।
আর সব অপরাধের বিচার ও হয়না।
কিন্তু ধর্ম আমাদেরকে একটি পথ দেখায়।
কিছু অনুসাশন, সীমাবদ্ধতা, দায়বদ্ধতায় আবদ্ধ করে।
আর সে ক্ষেত্রে একেক জনের বিশ্বাস
বা ধারনা এক না হওয়াটাই স্বাভাবিক।
.
আর স্থান, কাল, পাত্র ভেদে
এক এক জায়গায় একেক
ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা একেক রকম হয়।
আমাদের দেশে খৃষ্টানদের সংখ্যা হাতেগোনা।
অথচ ইউরোপ আমেরিকায় অধিকাংশই খ্রিস্টান।
আমাদের দেশে ইহুদি নেই ই,
কিন্তু ইসরাইলের শতভাগ ই ইহুদী।
আমাদের দেশে শতকরা নব্বইভাগ মুসলিম,
কিন্তু ভারতে জনসংখ্যার গড়ে
মুসলিমের সংখ্যা অনেক কম ।
.
কোনো দেশে যে জনগোষ্ঠী বেশি
ওরা যদি ভাবে সংখ্যালঘুদের আমাদের সাথে থাকার কোন অধিকার নেই। সেটা নেহায়েত মুর্খতা।
আমি যদি এখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সাথে ভাল ব্যাবহার করি, তাহলে অবশ্যই কোন না কোন জায়গায়
সংখ্যালঘু মুসলিম একটা ভাইকে আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করবেন।
.
মিয়ানমারে যেভাবে মুসলিম জাতি গোষ্ঠীর উপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে তেমনি করে যদি
বাংলাদেশে থাকা বোদ্ধদের মেরে ফেলা শুরু করে
তাহলে মায়ানমারের আগে বাংলাদেশর মিশন ই
সাকসেস্ফুল হবে।
কারন এখানে বোদ্ধদের সংখ্যা হাতেগোনা।
কিন্তু এটি তো কখনই উচিত নয়।
.
ভারতে একটি হরিণ হত্যার দায়ে
বলিউডের কিং,খ্যাতিমান নায়ক,
VVIP #সালমান খানকে প্রায় একযুগ ধরে
কোর্টে হাজিরা দিয়ে, অবশেষে
দুই বছরের জেল খেটে তারপর মুক্তি পেতে হয়েছে।
অথচ সেই ভারতেই গোমাংস ভক্ষনের দায়ে
যখন একজন মানুষকে হত্যা করা হয়,
আইনের চোখ তখন টিনের চশমা পরে।
.
যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী অং চান সুচি
বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখার জন্য
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান,
সেদেশেই অগনিত মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে,
গলাকেটে, কুপিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
নারীদের ধর্ষণপুর্বক জঘন্যভাবে খুন করা হয়।
রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য
সন্তান প্রজনন নিষিদ্ধ করা হয়।
এরপর যদি কোন শিশুকে পাওয়া যায়
তাকেও কীট পতঙ্গের মত মেরে ফেলা হয়।
তারপরও এখনো প্রায় আট লক্ষাধিক রোহিঙ্গা
প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
.
তোর শান্তিতে প্রাপ্ত এমন নোবেল প্রাইজের উপর
আমার মলত্যাগ করতে ইচ্ছে করে।
.
জীব হত্যা যদি মহাপাপ ই হয়ে থাকে,
তাহলে মানুষ হত্যা কোন ধরনের পাপ হতে পারে?
সে মুসলিম, হিন্দু, খ্রীস্টান কিংবা বোদ্ধ
যা ই হোকনা কেন, সেও একটা জীব।
শুধু জীব ই নয় রক্তে মাংসে গড়া মানুষ।
.
মানবতা বলতে সত্যিকারার্থে কিছু নেই।
সব লোক দেখানো ভাওতাবাজি। সব ভন্ডামী।
.
বাংলাদেশে যাকে শান্তির জন্য নোবেল দেওয়া হয়েছে,
তার কারনে কত নারীর পরনের শাড়ি পর্যন্ত খোলা হয়েছে, তার ইয়াত্তা নেই।
কিস্তির টাকা যথাসময় না দিতে পেরে
অফিসারের কাছে কত নারীকে
দেহ পর্যন্ত দিতে হয়েছে তার ও হিসেব নেই।
ঘরের চালের টিনও খুলে নিতে দেখেছি।
চক্রবৃদ্ধি ঋণের দায় টানতে টানতে
সর্বশান্ত স্বামীকে নিজের বউকে
অন্য পুরুষের কাছে বিক্রি করতে দেখেছি,
নিজের চোখে......
অতঃপর এরাই শান্তিতে নোবেল পায়।
.
শান্তির স্বপ্ন দেখতে দেখতে
নিরব হয়ে হয়ে গেছেন অনেকেই।
তবুও স্বপ্ন দেখি সুন্দর একটি পৃথিবীর,
সুন্দর একটি আগামীর।
জাত, ধর্ম, বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে
মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে।
.
ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার কামনায়
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১