আমাদের মধ্যে কিছু কিছু
আধ্যাত্মিক টাইপের হাইব্রীড
ধর্মবিশ্লেষক আছেন।
যারা কোরআনের সবগুলো হরফও হয়তো
ঠিকমতো জানেননা বা চিনেননা।
কোরআন তাফসীর তো থাক,
কোনদিন ইসলামী দু একটা বই ও
ঘেটেছেন কি না বলতে পারবেন না।
শুক্রবার ছাড়া হয়তো মসজিদে
আর অন্য সময়ে আছাড় ও খাননা।
.
কিন্ত ধর্ম নিয়ে উনারা বেশ লম্বা লম্বা
বয়ান,বানী,লেকচার দিতে পারেন অনর্গল।
জানিনা এসব জ্ঞান কই পান উনারা?
এই যুগে কি উনাদের কাছে কোন ফেরেশতা ওহী নিয়ে আসেন কি না
আল্লাহ ই ভাল বলতে পারবেন।
.
ফেরেশতা না আসলেও তাদের কাছে
যে শয়তান বা ভুতেরা এসব ঐশীবাণী
নিয়ে আসেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
কারন তাদের যুক্তি, ব্যাখা, বিশ্লেষন
এতই চমৎকার যে, এগুলো শুনলে
মাঝে মাঝে আপনার হঠাৎ করেই
যে কোন সময় টয়লেটের চাপ ও দিতে পারে। মাথা ঘুরা বা বমিও হতে পারে।
.
এরা নিজে জ্ঞান অর্জন তো করবেই না।
তার উপর আপনি যদি কারও কাছ থেকে
জ্ঞান অর্জন করতে চান,
সেটাও করতে দিবে না।
.
এরা বলবে...
আপনি আরেক জনের দেওয়া
লেকচার/বয়ান কেন শুনতে যাবেন?
তিনি ধর্মের অপব্যাখ্যা করেন,
তিনি কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা দেন।
তিনি তো আমাদের মতই মানুষ।
আপনি কোরান পড়েন, হাদিসের বই পড়েন।
জাকির নায়েক, ফাকির নায়েকের
লেকচার কেন শুনবেন??
.
তাদের কথা শুনে আপনারও মনে হবে
হ্যাঁ তাইতো, জাকির নায়েকের মত
লোকের লেকচার আমি কেন শুনবো?
আসলেই তো তার কথায় যুক্তি আছে।
.
হ্যাঁ এটা আমিও মানি।
তবে আমাকে ও আগে এসব বিষয়ে
জ্ঞান অর্জন করতে হবে,
গবেষণা করতে হবে।
তারপর আমিও পারবো।
.
এরচেয়ে ভাল লেকচার হয়তো
ঐসব বুদ্ধিজীবীরাও দিতে পারেন।
আর সেজন্যই ওনাদের জ্বলে।
ওনারা ভাবেন যে, জাকির মিয়া একজন
বাংলা শিক্ষিত, আমিও বাংলা শিক্ষিত।
জাকিরের লেকচার লোকজন শুনে
আমার লেকচার শুনেনা কেন??
.
আরে মিয়া তফাৎটা এ জায়গাতেই।
হাতি আর চামচিকার লাদা (পায়খানা)
কখনোই সমান হবেনা। ইহজগতে ও না।
চামচিকা কোৎ মারতে মারতে যদি
পশ্চাৎদেশ ছিঁড়ে ও ফেলে কাজ হবেনা।
.
মৌমাছির থুতু(মধু)আমরা চড়া দামে কিনি।
যেটা সর্বরোগের ঔষধ।
আবার মাছির থুতু কিনা তো থাক,
ওটা কোন খাবারে বসলেও ঐ খাবার
দুষিত হয়ে যায়।
অথচ দুটাই একই রকম মাছি আর মৌমাছি।
.
আপনাকে আগে জ্ঞান অর্জন
করতে হবে জাকিরের মত,
কোরআন, হাদীস, তাফসীর
পারলে আন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ ও।
তারপর বকবক করুন।
তারপর আপনার বুলিও পাবলিক খাবে।
মধুর মত......
.
নচেৎ মাছির মত অবস্থা হবে।
আপনি যে পাত্রে বসবেন,সে পাত্রই
নোংরা, নাপাক বা দুষিত হবে।
কারন ইসলাম কেবল যুক্তি দিয়ে চলেনা।
ইসলাম দলিল চায়।
.
মিয়া কিছু না জেনে না বুঝেই
ফতোয়া দিতে চান??
কয়দিন কোরআন হাদিস নিয়া
ঘাঁটাঘাটি করছেন বলতে পারবেন?
প্রায় সবাই ই আমরা এরকম।
আমাদের দৈনন্দিন ব্যাস্ততার কারনে
হয়তো ইচ্ছে থাকলেও হয়ে উঠেনা।
আর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে
জ্ঞানী ব্যাক্তিদের কথাগুলো থেকে তাই আমরা কিছু নিতে চেষ্টা করি।
সেখানও বামহাত।
.
মিয়া... বিরোধিতা করার আর জায়গা পান না?? ধর্মীয় বিষয়গুলোতেই কেবল এলার্জি কেন আপনাদের?
এখানেই কেন আজগুবী ফতোয়া দেন?
.
ফতোয়া দেন ভাল কথা,
কবে করজোড়ে অনুরোধ করবো,
আগে নিজে কিছু জানুন,
তারপর অন্যদের বয়ান দিয়েন।
না হয় চুপ থাকেন।
যেটা জানিনা, ওটা নিয়ে
বকবক করবো কেন?
.
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩