ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাফল্য ও অবদান নিয়ে আমরা গর্বিত হতে পারি। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। যারা ড. ইউনূসের বিপক্ষে আছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন থাকে: তার থেকে আস্থাভাজন ব্যক্তি এদেশে আর কে আছেন? তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কোনো লাভ নেননি এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিও অর্জন করেননি। গ্রামীণ ব্যাংকের সমস্ত টাকা দরিদ্র নারীদের অধিকারভুক্ত এবং ড. ইউনূস নিজে মাত্র সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন।
ড. ইউনূসের জীবনে অসাধারণ সাফল্য রয়েছে। তিনি নোবেল পুরস্কারসহ বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন। নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ইউনূসের অন্যান্য বড় পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে:
১। নোবেল।
২। অ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড।
৩। মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড।
ইতিহাসে মাত্র ১২ জন ব্যক্তি এই তিনটি পুরস্কারই পেয়েছেন এবং ড. ইউনূস তাদের মধ্যে একজন।
ড. ইউনূসের কৃতিত্বের মাত্রা বোঝাতে কিছু উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে:
২০২০ সালের জাপান অলিম্পিকের মশাল বাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন।
প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকের মূল থিম ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত প্রতিযোগিতা অলিম্পিক গেমসের টাইটেল পেজে তার ছবি।
ড. ইউনূসের ব্রেইন চাইল্ড তিনটি প্রধান তত্ত্ব: ক্ষুদ্র ঋণ, সামাজিক ব্যবসা, এবং থ্রি জিরো। যদিও ক্ষুদ্র ঋণের সুদ ভিত্তিক পদ্ধতির সমালোচনা থাকতে পারে, কিন্তু সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি জিরো তত্ত্বগুলি জনহিতকর এবং বিশ্বব্যাপী গৃহীত হয়েছে।
বর্তমানে জীবিত লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের তালিকায় ড. ইউনূস সবসময় শীর্ষ ৫ এর মধ্যে থাকেন। তার মতো আস্থাভাজন, সৎ ও জনহিতকর ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। তাই যারা তাকে চাচ্ছেন না, তাদের কাছে প্রশ্ন: ড. ইউনূসের চেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তি আর কে?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২