somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাণিজ্য-উদারীকরণের বিশ্বায়নের গজব: হুমকির মুখে পড়বে দেশের নিজস্ব উৎপাদন কাঠামো

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাণিজ্য-উদারীকরণের বিশ্বায়নের গজব এবার বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদন কাঠামোতে
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’র নিওলিবারেল পলিসি বাস্তবায়ন যে বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশের উৎপাদন কাঠামোকে ধ্বংস করে এদেশকে বহুজাতিক কোম্পানির বাজারে পরিণত করবে তা অনেক আগেই আমরা বলে আসছিলাম। ডব্লিউটিও’র এই বাণিজ্য-উদারীকরণের বিশ্বায়নের গজব এবার বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদন কাঠামোতে এসে পড়ছে! বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধি-বিধান মেনে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ১২শ’ আমদানি পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হচ্ছে ( দৈনিক যুগান্তর, ১৯ মে, ২০১৪)। অর্থাৎ বর্তমানে যেসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা আছে, তার ৯৬ শতাংশেই এ শুল্ক থাকবে না। এছাড়া রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেছেন, “ আগামী ২০১৫ সালের জুলাই থেকে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ব্যবস্থা থাকছে না। এছাড়া ১৪৭টি বাদে বাকী পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক (্এসডি) ব্যবস্থাও থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতি অনুযায়ী এই দুটি শুল্ক ব্যবস্থা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। ফলে দেশীয় শিল্প রক্ষার নামে আমদানি পণ্যের উপর একটি নির্দিষ্ট সীমারেখার বাইরে শুল্ক চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এর ফলে দেশীয় শিল্প প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। এই চাপ সহ্য করার জন্য এখন থেকেই তাদের প্রস্তুত হতে হবে” ( দৈনিক ইত্তেফাক, ২৮ এপ্রিল, ২০১৪) । আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বর্তমানে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৮০০ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে শুরু করে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে। স্থানীয় শিল্পের সংরক্ষণ এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করতেই আরোপ করা হয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) এবং সম্পূরক শুল্ক (এসডি)।

ডব্লিউটিও এবং আইএমএফ এর আগ্রাসী নীতি
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অর্থনৈতিক দর্শন হচ্ছে নিওলিবারেল পলিসি যার যার মূল কথা হচ্ছে বাণিজ্য উদারীকরণ এর মাধ্যমে মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে উন্নত বিশ্ব কর্তৃক (Core state) অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের (Periphery) বাজার দখল করা। ডব্লিউটিও’র গ্যাট (জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড এন্ড ট্যারিফ) অথবা গ্যাটস (জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিসেস) এর অন্যতম উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক খাতকে বৈশ্বিক ভাবে উদারীকরণের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং সংস্কারের নামে বাণিজ্য সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণশীল বাধা সমুহ দূর করে অনুন্নত দেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য পাকাপোক্ত করা। আর বাণিজ্য সম্পর্কিত রাষ্ট্রীয় বাধাসমূহের মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক । ফলে ডব্লিউটিও চায় এসব শুল্ক প্রত্যাহার। ডব্লিউটিও কর্তৃক দরিদ্র দেশগুলোকে আমদানি শুল্ক কমানো অথবা প্রত্যাহার করতে বলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এসব দেশের বাজার বহুজাতিক কর্পোরেশনের পণ্যে সয়লাব করা এবং স্থানীয় উৎপাদন কাঠামো ভেঙ্গে ফেলে নিরঙ্কুশ অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা সৃষ্টি করা । ডব্লিউটিওর এই নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যায় দাতা সংস্থা আইএমএফ। আইএমএফ সাহায্যের জন্য শর্ত হিসেবে বাণিজ্য উদারীকরণকে ব্যাবহার করে থাকে যার একটি নীতি হচ্ছে আমদানি শুল্ক কমানো। আইএমএফের ঋণ সহায়তার শর্ত মানতে গিয়েই নাকি ১২শ’ আমদানি পণ্যের ওপর কার্যকর সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হচ্ছে।


এখন দেশের এই বিপুল আমদানি পণ্যের উপর শুল্ক প্রত্যাহারের বিরূপ প্রভাব কি হবে?

১] বাংলাদেশের বাজার বাইরের কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করার জন্য এই নীতি চালু হলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ রুদ্ধ হবে, ভেঙ্গে পড়বে জাতীয় উৎপাদন কাঠামো!
১২০০ পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে ম্যানুফাকচারিং এবং সার্ভিস খাতসমূহে উন্নত দেশসমূহের উৎপাদিত পণ্যের কঠোর প্রতিযোগিতার মুখে দেশি পণ্যকে ঠেলে দেয়া কেননা বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশের শিল্প, কৃষিসহ সামগ্রিক অর্থনীতিকে বহুজাতিক কোম্পানিসহ উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক আগ্রাসন থেকে রক্ষার অন্যতম রক্ষাকবচ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণমূলক ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। বিদেশি কোম্পানির পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাধা আরোপ করে বাংলাদেশ তার নিজের বাজার ও শিল্পের বিকাশ করতে পারে। কিন্তু এই ট্যারিফ বাধা অপসারণ করলে এদেশ বাইরের কোম্পানির পণ্যের একচেটিয়া বাজারে পরিণত হবে! ফলে ডব্লিউটিও আর আইএমএফ এর দোহাই দিয়ে ১২০০ পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার হবে দেশীয় শিল্পের জন্য এক অশনি সংকেত কেননা এতে করে আমদানি পণ্যের কাছে ভীষণ মার খাবে স্থানীয় শিল্প। কম দামে আমদানি পণ্যে বাজার ছেয়ে যাবে। দেশের শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির জন্য এই নীতি একটা বড় প্রতিবন্ধক আকারে কাজ করবে! ডব্লিউটিও’র নয়া উদারনৈতিক পলিসি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল উন্নয়ন কমে যাবে। আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কমে গেলে ফলস্বরূপ বেকারত্বও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের মত যেসব দেশ এখনও শিল্পখাতে খুব একটা অগ্রসর হতে পারে নাই তাদের ক্ষেত্রে এটা আরও ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।

যুগান্তর এর রিপোর্টেও বলা হয়েছে, “ ট্যারিফ কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্রও স্বীকার করেছেন, সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইনে এই শুল্ক যেসব পণ্যে থাকবে না সেসব পণ্যের স্থানীয় উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।“

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরই এক সিনিয়র সদস্যের মন্তব্য হচ্ছে, ১২০০ পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার হলে ম্যাসাকার হয়ে যাবে। কম দামের আমদানি পণ্যে বাজার ছেয়ে যাবে। স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। স্থানীয় শিল্পের সংরক্ষণে আর কোনো ব্যবস্থাই থাকবে না। সম্পূরক শুল্কের ক্ষতি পোষাতে ডব্লিউটিও কাউন্টারভেইলিং, এন্টি ডাম্পিং এবং সেফগার্ড শুল্কের অপশন রাখলেও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় তা খুব একটা কাজে আসবে না বলেই অনেকেই মনে করেন। এ ছাড়া তথ্য-প্রমাণাদি দিয়ে এ শুল্ক আরোপের যৌক্তিকতা বোঝাতে হয় হয় বলে তা অনেক জটিল প্রক্রিয়া।

২] বিপুল পরিমাণ ট্যারিফ লসঃ
অনেক উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব আয়ের একটা বড় অংশ আসে ট্যারিফ থেকে। আমদানি ও স্থানীয় উৎপাদন স্তরে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পূরক শুল্ক আদায় হচ্ছে। কিন্তু ৯৬ শতাংশ আমদানি পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে এ খাত থেকে আদায় অর্ধেকে নেমে আসবে। ( দৈনিক যুগান্তর, ১৯ মে, ২০১৪)। এই বিপুল পরিমাণ ট্যারিফ লস পুষিয়ে ফেলতে গিয়ে বাজেটে বিপজ্জনকভাবে বাড়ানো হবে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) আওতা এবং সর্বস্তরের জনগণের ওপর বাধ্যতামূলকভাবে চাপিয়ে দেয়া হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক সদস্য জানান, ভোক্তা জনগণের ওপর এর ফল হবে আত্মঘাতী। কারণ সর্বস্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করা হবে। ফলে পণ্য মূল্য বেড়ে যাবে রাতারাতি।

৩] অনুন্নত দেশগুলোর পলিসি নির্ধারণের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে উদার বাণিজ্যনীতি
বিরাষ্ট্রীয়করণ, বিনিয়ন্ত্রণ, উদারীকরণ ও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে ডব্লিউটিও যে বাণিজ্য নীতি বাস্তবায়ন করতে চায় তা অনুন্নত দেশগুলোর পলিসি নির্ধারণের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। উদার বাণিজ্যনীতির ফলে বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশগুলো স্বাধীনভাবে জাতীয় উন্নয়ন নীতি নির্ধারণ করতে পারছে না। এটাই সবচেয়ে বড় ধরণের ক্ষতি ডেকে আনবে। দেশের নিজস্ব পণ্যের উপর শুল্ক প্রত্যাহারে বাধ্য হওয়া মানে জাতীয় উন্নয়নের জন্য নীতি প্রণয়নে সরকারের হাত পা বেঁধে দেয়া। ডব্লিউটিও’র দোহা চুক্তির ফলে বাংলাদেশ তার নিজস্ব প্রয়োজন অনুসারে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি প্রদানের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হারায়। দোহা এজেন্ডা অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষিতে ৫% এর বেশি ভর্তুকি দিতে পারছে না অথচ যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান নিজেই কৃষিতে ৩০% এর বেশি ভর্তুকি দিয়ে তাদের কৃষি ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে ডব্লিউটিও’র বাণিজ্য নীতিতে আমাদের লাভের পরিমাণ সামান্যই, কিন্তু ক্ষতি বিস্তর!
আবার বাণিজ্য উদারীকরণের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর দ্বৈতনীতি হতাশাজনক। অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিজ এর মতে, "পশ্চিমা দেশসমূহ বাণিজ্য উদারীকরণের নীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, কেননা এর মাধ্যমে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির অধিকতর সুযোগ অর্জন করার পরিস্থিতি পেয়েছে। সেইসঙ্গে তারা তাদের সেইসব ক্ষেত্রগুলো প্রতিযোগিতামুক্ত রাখতে তৎপর, যেসব ক্ষেত্রগুলোতে উন্নয়নশীল বিশ্বের পণ্য এসে তাদের প্রতিযোগী হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে তাদের অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে না যায়। ডব্লিউটিও'র বাণিজ্য-সম্পর্কিত সমঝোতার বেলায় শিল্পজ সামগ্রীর বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা শিথিল করা হয়েছিল, যেখানে ছিল অটোমোবাইল থেকে যন্ত্রাংশ; এসবই কিন্তু উন্নত বিশ্ব থেকে রপ্তানি হয়ে থাকে। একই সাথে ও সময়ে উন্নত দেশের সমঝোতাকারিরা তাদের নিজেদের দেশের কৃষিজ পণ্যের উপর আরও ভর্তুকি দেয় এবং টেক্সটাইল সামগ্রির জন্য তাদের দেশের বাজার বন্ধ করে দেয়, কেননা এক্ষেত্রে অনেক উন্নয়নশীল দেশের সংশ্লিষ্ট সামগ্রি রপ্তানি হয়ে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল"।


কর্পোরেট ক্যাপিটালিজমের মধ্যে উন্নয়ন ধারণা এখন আর রাষ্ট্রের ব্যাপার না বরং বৈশ্বিক পুঁজির ক্রমাগত পুঞ্জীভবনের জন্য রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ থেকে অর্থনীতিকে মুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বহুপাক্ষিক চুক্তির লক্ষ্যই হচ্ছে রাষ্ট্রকে গ্লোবাল কর্পোরেট পুঁজির বিকাশের একটা প্রান্তিক এজেন্সিতে রূপান্তরিত করা। ফলে রাষ্ট্র এখন আর তার দেশের জনগণের উন্নয়ন নীতি নিয়ে স্বাধীনভাবে ভাবতে পারে না, রাষ্ট্র তার নিজস্ব শিল্প ও সেবা খাতের সুরক্ষা না দিয়ে গ্লোবাল কর্পোরেশনের জন্য নিজের বাজার উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। রাষ্ট্রের কাজ গ্লোবাল কর্পোরেশনের বিজনেসের জন্য তার উৎপাদন খাতকে ধংস করে দিয়ে হলেও সুযোগ করে দেয়া। মুক্তবাজার অর্থনীতির আড়ালে ডব্লিউটিও’র গ্যাট/গ্যাটস মূলত বিশ্বব্যাপী এমন এক একমাত্রিক বাণিজ্য নীতি চালু করতে চায় যা তথাকথিত ট্রেড বাধাসমুহ দূর করে গ্লোবাল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসমূহের মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

ডব্লিউটিও কিংবা আইএমএফ এর এই নিওলিবারেল নীতি কোনক্রমেই মানা যাবে না। নিওলিবারেল পলিসি দরিদ্র দেশগুলোর স্বকীয় উন্নয়ন ধারণা এবং সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে ‘কর্পোরেট উন্নয়ন’ আগ্রাসন চালায় যে উন্নয়ন মানেই বহুজাতিক কোম্পানির মুনাফা সর্বোচ্ছকরণ। আমদানিকৃত পণ্যের উপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক এবং ১২০০ পণ্যের উপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করে দেশের উৎপাদন কাঠামো ধ্বংসের প্রচেষ্টা কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমরা মনে করি দেশের উৎপাদন খাতকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে ডব্লিউটিও কিংবা আইএমএফ এর নীতি অনুসরণ হবে আত্মঘাতী। অবিলম্বে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানাই।
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×