বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক ইস্যুতে তরুণদের সক্রিয় করে এখানে Manufactured movement বা কালারফুল আন্দোলনে ফুয়েল যুগিয়ে বাংলাদেশের উপর মার্কিন আধিপত্য নিরঙ্কুশ করার নতুন ফন্দি আঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্বের ক্ষমতায়ন ও সুশীল সমাজের উন্নয়নে ৬ লাখ ডলার বাজেট নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিভিল সোসাইটি এর সাথে সাম্রাজ্যবাদীদের রয়েছে সম্মতির সম্পর্ক । সাম্রাজ্যবাদীদের আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্র প্রস্তুতসহ দেশে দেশে তরুণদের এই আধিপত্য মেনে নেওয়ার সম্মতি আদায়ের আয়োজন ও প্রচারণা চালায় এই তথাকথিত সুশীলগণ ! বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রজেক্টে বাজেট ধরা হয়েছে ৩ লাখ ডলার। এছাড়া তরুণ নেতৃত্ব’র ক্ষমতায়নে বাজেট ধরা হয়েছে আরো ৩ লাখ ডলার।এই খাতে কাজ করতে বেসরকারি সংগঠনগুলোর কাছ থেকে প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রস্তাব চেয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গণতন্ত্র, মানবাধিকার বিষয়ক ব্যুরো। [ খবরঃ Click This Link
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক সরকারি নোটে ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নাগরিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর’ লক্ষ্যে আগ্রহীদের প্রকল্প প্রস্তাব, ধারণাপত্র ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা উল্লেখ করে আবেদন করার আহবান জানানো হয়েছে। সুশীল সমাজ ও সংগঠনগুলোকে আরো শক্তিশালী করতে নজরদারি, জবাবদিহিতা এবং বৃহত্তর পরিসরে অহিংস পন্থায় পর্যবেক্ষণের উদ্যোগের কর্মসূচি সম্বলিত আবেদন চাওয়া হয়েছে ব্যুরো’র পক্ষ থেকে।
প্রস্তাবের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক ইস্যুতে কমিউনিটিকে এগিয়ে যেতে সমর্থনের উদ্যোগে নেতৃত্ব দিতে এবং সিভিল সোসাইটির সভা সমাবেশ করার সক্ষমতা তৈরি করতে হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
দেশে দেশে তরুণদের কাজে লাগিয়ে এবং সুশীল সমাজকে শক্তিশালী করে Manufactured revolution করার মার্কিনী পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা জানি! গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আড়ালে এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্যই থাকে বিদ্যমান পরিস্থিতিকে মার্কিন স্বার্থ অভিমুখী করা। ইউক্রেনের অরেঞ্জ বিপ্লব, জর্জিয়ার রোজ(জবা) বিপ্লব, কিরঘিস্তান এর টিউলিপ বিপ্লব, থাইল্যান্ড এর রেড বিপ্লব- এসব কথিত রঙিন বিপ্লবে মার্কিন ইন্ধন, সহযোগিতা ছিল। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউএসএইড এর সাহায্য-সহযোগিতায় গণতন্ত্রের নামে এসব দেশে মার্কিন তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা কিংবা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ সুরক্ষাই ছিল আসল মোটিফ। দেখা যাক বাংলাদেশের সুশীল সমাজ এই বিশাল মার্কিন বাজেটে কি করতে পারেন। তবে এই ধরণের প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন তরুণ সমাজকে রুখে দাঁড়াতে হবে। মার্কিন অর্থে যে ইয়াং লিডারশীপ প্রোগ্রাম হচ্ছে/হবে তার মূল লক্ষ্যই হবে লিডারশীপকে সাম্রাজ্যবাদের এবং নয়াউপনিবেশবাদের স্বার্থে কাজে লাগানো!
Click This Link