১। দেশভাগ
কাঁটাতার ঠেলে, ঢুকে পড়ছে সকাল
নতুন বীজ থেকে জন্মানো লতা আর দীর্ঘশ্বাস।
সম্পর্ক পড়েছে ঢুকে আলোকবর্ষ পিছে ফেলে
ভিসাহীন কাক।
রাজস্ব নিয়মে-রাষ্ট্র পেতে রাখে প্রযুক্তি ফাঁদ
সব অস্বীকার করে নক্ষত্র ঢেলে দিচ্ছে আলো
অক্ষ বরাবর।
নদীপাড়ে কাঁদছে মা, দুই সন্তান
এপার ওপার....
২। সবগাছ আলো
আমার সাদা কাগজ নির্মোহ। আমি নিমপাতা।
যতটা হিংসায় তুমি তেড়ে আসবে হে মুখোস
হে উন্মত্ত রিরংসা মুখ। জানা আছে—
অভিব্যক্তি এনামেল আকাশ, তোমার অসুখ...
যুদ্ধশব তিরবিদ্ধ খেলা যতো হোক
আমি হাসি, শিরচ্ছেদ ঢেকে রাখি সযত্নে শোক।
তোমায় কী ভয় পাবো, অদৃষ্ট আমাকে দেখে হাসে
আমার যে সবগাছ ভালোবেসে আলো হয়ে গেছে।
৩। অস্তিত্বরেখা
কীযে মৌনতা, ভেতরে তীব্র তুই
আমি মাটিতে দাঁড়িয়ে তোর আকাশটা ছুঁই...
অবনত এই দীর্ঘ দেয়ালে স্বর, চাপা পড়ে আছে
আগুনের লেলিহান। আঙুলের ভাঁজে গুণছি সে ইতিহাস। তার স্বরলিপি—
আর কাটাকম্পাস, এঁকেছে নিখুঁত শেষ বাঁকটিও জানা।
মায়াপ্রচ্ছদ গাঢ় নীল আর জল, লবণসিক্ত
অভিন্ন এ আকাশ। ছায়াতলে তার লেখা বহুরাত, ঘূণ
সে অর্থ আজ পোস্টারে হাওয়াকলে—
জন্মের ছায়া আঁকে উজ্জ্বলভ্রুণ।
কী যে সকরুণ নরকের শুঁড়িখানা। বেজারবৃক্ষ চোখ তুলে তুলে চায়
আকণ্ঠ আগুন, পোড়া দাহ্যতা ছুঁই
কী আশ্চর্য ভেতরে তীব্র তুই!
http://www.kalerkantho.com/online/sahitya/2015/09/22/271719?fbclid=IwAR0EtCEJMiZ_ibrS0pBQyL1HMbK6ov2MUEaYdvIO93klB0CBraW_Erc0T-0