somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদৌও আমরা মুক্তি পাবো কি??

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ওয়ান-ইলেভেন এর পর থেকে দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হয়েছিল। কথা ছিল দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ন্যস্ত করে দিবে। কিন্তু বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড দেখে আমাদের মনে ভয় ঢুকে গেছে। আদৌও আমরা কি কোন গনতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে পাবো নাকি তথাকথিত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আমাদের বর্তমান সেনা শাসক মঈন ইউ আহমদ ও আইন উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন গংদের ক্ষমতার মসনদে থেকে যাবার স্থায়ী বন্দোবস্ত করতে দেখবো?

জানিনা কেন যেন আমার খুব ভয় হয়। ঘরপোঁড়া গরু সিঁদুরের মেঘ দেখলে ভয় পাবেই এটাই স্বাভাবিক। এটাও ঠিক যে, দেশে সেই সময়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল জরুরী অবস্থা জারী করা ছাড়া সেই সময়ে অন্য কোন উপায় ছিলনা। ড. ফখরুদ্দিন আহমদ এর নের্তৃত্বাধীন বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতিবাজদের ব্যাপকভাবে যে ধড়পাকড় শুরু করলেন আমরা এতে খুবই আশান্বিত ছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন দেখলাম এটা শুধুমাত্র বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দূর্বল করার কৌশল হিসেবে করা হচ্ছে তখন খুব আশাহত হই। আবার গত বিএনপি সরকারের অংশীদার জামায়াত ইসলামী এর কোনো নেতাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় আমাদের মনে নানা রকম সন্দেহের বীজ দেখা দেয়াটাই বোধহয় স্বাভাবিক। কিন্তু মাঝখানে প্রায় ১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সময় এসেছে দেশের জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করার। কিন্তু এই বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারদের আদৌও মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছেনা।

আবার আমাদের বর্তমান ক্ষমতাধর কতিপয় কর্তাব্যক্তির হম্বিতম্বি আমাদের মনে ভয়ের উদ্রেগ জাগ্রত করেছে। বিশেষ করে আমাদের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন সাহেবের কর্মকান্ড ও হুংকার তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শোনা যাচ্ছে তার সাথে ৭১’ এর ঘৃনিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর দহরম-মহরম সম্পর্ক। জানিনা ব্যাপারটা সত্যি হলে আমাদের সামনে যে শুধুমাত্র ভীষন বিপদ তাই নয় বাংলাদেশের অস্তিত্বও মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়বে। জানিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন সামন্য উপদেষ্টা হিসেবে মইনুল সাহেব এতো শক্তি পান কোথায়? হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ব্যাক আপ দিচ্ছে, আবার নাও হতে পারে। না হলেই ভালো।

জানিনা কি কারনে যেনো আমাদের মহামান্য আইন উপদেষ্টা ৭১’ এর স্বাধীনতা বিরোধী তথা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা শুনলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেন। সাবেক দুই প্রধান মন্ত্রী হাসিনা-খালেদা সহ মন্ত্রী-এমপিদের দূর্নীতির বিচার করতে পারেন কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে তার এত অনীহা কেন! ছোটো বেলায় বইতে পড়েছিলাম- কুইনিন জ্বর সারাবে বটে কিন্তু কুইনিন সারাবে কে। ব্যাপারটা কি সেদিকেই চলে যাচ্ছে নাকি?


আবার আমাদের বর্তমান সেনা শাসক মঈন ইউ আহমদ সাহেবকে দেখলে মনে হবে উনিই আমাদের দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। একজন সেনাশাসক/সেনাপতি হিসেবে উনি এতো দম্ভোক্তি দেখান কিভাবে? কোথা থেকে তিনি এতো জোর পান? তার ব্যাপারেও দুষ্টু লোকদের বলতে শোনা যাচ্ছে আমেরিকার সাথে তারও নাকি দহরম-মহরম সম্পর্ক।

জানিনা আমাদের দেশের ভবিষ্যত কি। ভাবতেও খুব ভয় হয়। যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই দেশটাকে পাকিস্তানীদের হাত থেকে স্বাধীন করা হয়েছে তার এক কানাকড়ি অংশও আজোও পূরন হয়নি। স্বাধীনতার প্রায় ৩৭ বছর পার হয়ে গেলেও আমরা অর্থনীতির সেই একই বৃত্তে আটকে আছি। স্বাধীনতা আগে শোষন করত পশ্চিম পাকিস্তানীরা আর এখন আমাদের স্বজাতিরাই শোষণ করছে আমাদের একইভাবে। জানিনা শোষনের এই ঘোরাটোপ থেকে আদৌও আমরা উদ্ধার পাবো কিনা??
-----------------------------

পুনশ্চঃ নিচের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখুন আমাদের মহামান্য আইন উপদেষ্টা স্বশরীরে উপস্থিত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের অনুষ্ঠানে!

এই লিংকটিতে ক্লিক করুনঃ http://www.youtube.com/watch?v=Zc2djYrzjoY
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২৫
১১টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×