পোস্ট টি ভাগ ভাগ করে দেয়া আছে । চাইলে স্কিপ করে পড়ার সুবিধা
আছে ।
নিবেদন - প্রিয় মানুষ ব্লগার মিসির আলি ভাইকে।
ন্যানো গল্প
১ ) কাঁক
বাচ্চা কাক তার মাকে বলে - আচ্ছা মা ! মানুষ আমাদের ঘৃণা করে কেন ?
মা ;- মানুষকে কাচকলা দেখিয়ে দিব্যি টিকে আছি ত তাই । শেষ করে দিতে পারলে দেখতি - জাদুঘরে রেখে সম্মান জানাত ।
২ ) ইতিহাস
পিপড়াকে ইতিহাস লিখতে বলা হল ।
জবাবে পিপড়া - ওরে বাবা ! ওটা বরং মানুষেরই থাক ।
৩ ) নিরামিষ তরকারির অভিযোগ :-
এত ভাল সহজপাচ্য উপকারি পাঁচমিশালি তবু লোকে আমায় নিরামিষই
ডাকে !
৪) ফেসবুক স্ট্যাটাস - আগে আমি ব্যবহৃত হতাম এখন আমি ব্যবহার করি !
৫ ) ধনী হবার রহস্য
ছেলে - বাবা ! তুমি কিভাবে ধনী হলে ?
বাবা হাসলেন । আমি ছিলাম আলিবাবার মত । ডাকাতের পিছন পিছন ঘুরতাম । শেষে শিখলাম চিচিং ফাঁক !
৬ ) সেরা
জনৈক সাহিত্যবোদ্ধা - সেক্সপিয়ার এর সবচেয়ে সেরা লিখা কোনটা বলে আপনার মনে হয় ?
সৈয়দ মুজতবা আলি - হ্যামলেট । ঐ একটাই পড়েছিলুম কিনা !
জনৈক সাহিত্যবোদ্ধা - সেক্সপিয়ার এর সবচেয়ে সেরা লিখা কোনটা বলে আপনার মনে হয় ?
আমি - জুলিয়াস সিজার । উনার লিখক জীবনের সেরা বাক্য হচ্ছে '' ব্রুট্টাস তুমিও ! "'
জনৈক সাহিত্যবোদ্ধা - সেকি ! কেন ?
আমি -মীরজাফরের দেশের লোক কিনা ! ওটাই সবচেয়ে বেশি বাজে !
৭ ) প্রয়োজন
- আচ্ছা আমেরিকা ! আপনি সবসময় শোষণ করেন কেন ?
- প্রয়োজনে !
- সেকি ! প্রয়োজনে কেউ শোষণ করে নাকি ! শোষণ মানেই ত অতিরিক্ত !
- আপনি আমাকে জিজ্ঞেস না করে পিপড়ার দিকে তাকালেই পারতেন ।
পিপড়া কেন ভবিষ্যতের জন্য খাবার সংগ্রহ করে ?
আমার জানা আছে ১) হাতি কাঁদায় পড়লে চামচিকাও লাথি মারে ।
২ ) গরীবের বউ সবার ভাবি হয় ।
৮ ) জীবন কি ?
- প্রথম ২৫ বছর পাগলামি , পরের ২৫ বছর সংগ্রাম , বাদ বাকি বছরগুলো অনুতাপ ।
৯ ) তালিকা
এক পোকা আরেক ভিন্ন জাতের পোকাকে জিজ্ঞেস করল , কেমন আছেন ?
- খুব ভাল ! এই ত কিছুদিন আগেই আমার এক পুত্রবধু শখানেক নাতির জন্ম দিল । আরেক পুত্রবধুও দিব দিব করছে । সব মিলিয়ে এখন আমার পরিবারের সংখ্যা ৫০০০। দোয়া রাখবেন ।
বছরখানেক পর আবার দুজনের সাক্ষাত হল । আগেই মতই পোকাটি জিজ্ঞেস করল - কেমন আছেন ?
- খুব খারাপ ! আমার পরিবারের কেবলমাত্র ৫ বাদে বাকি সবাই মারা গেছে । আমরাও কখন মরি কে জানে !
- বলেন কি ! এমন অবস্থা কিভাবে হল ?
- গতবার মানুষের উপকারি পতঙ্গের তালিকায় ছিলাম , এবার অপকারি
তালিকায় !
১০ ) আসল কথা
মাটিকে জিজ্ঞেস করা হল - আপনি এত হাসেন কেন ?
মাটি - হাসব না ? সবার কি বাহাদুরি অথচ কদিন বাদে আমার কাছেই
সবাই আসে !
১১ ) - ক্লাসিক সাহিত্য কাকে বলে ?
- যার নাম শুনলে সবাই নম নম করে কিন্তু কেউ পড়ে না ।
১২ ) প্রশ্ন - হিটলার কখন বিখ্যাত হবে ?
উত্তর - যখন জার্মানি ইতিহাস লিখবে ।
১৩ ) ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায় ?
- গানের ক্যাসেটে ।
১৪ ) বিশ্বকবি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ কি ফুটবল খেলতেন ?
- হ্যাঁ ।
কোন পজিশনে খেলতেন ?
- স্ট্রাইকার ।
কবি খেলার সময় প্রায়ই বলতেন ' বল দাও মোরে বল দাও ''
এতে কবির গোল করার নিমিত্তে আকুতি প্রকাশিত হইয়াছে ।
অণুগল্প
১ ) নাদুপটকার গল্প
এক যে ছিল নাদুপটকা ।সবাই নাঙ্গাকাল হতে বুড়ো , খোঁড়া ,মোটা নাদুপটকাকে দেখে আসছে । নাদুপটকা নাম কেন জানেন ? তার পেট টা ছিল ঢোলের
মত বিরা আআআআট বড় । প্রতিদিন সন্ধ্যেয় গ্রামের সবাই নাদুপটকাকে ঘিরে ধরত , ছেলে - বুড়া , কিশোর - যুবা , গোওও ও ও ল করে । অই যে শিক্ষিত সমাজ বলে না - জাদুবাস্তব , পরাবাস্তব , বাস্তব, আদিভৌতিক এমন সব গল্প রসিয়ে বানিয়ে ফুলিয়ে ফাপিয়ে ছেড়ে দিত । সবার হাসতে হাসতে চোখের পানি , নাকের পানি এক হত । এক গল্প শেষ ত , নাদুপটকা দম ছাড়ত হাআআ করে ।
নানা ! গল্প বলেন না ! ]
আর না নাতি ! শইল্যে যুইত পাই না !
দুয়েকবার খোসামুদ্দি করলে নাদুপটকা আবার গল্প বলত । সবাই হাসত । রাত হত ।গল্প সভা ভাঙত । আবার পরদিন সন্ধ্যেয় ।
হঠাৎ একদিন কেউ এলনা । পরের দিন , পরের দিন , একসপ্তাহ , দুইসপ্তাহ । ব্যাপার কি ! নাদুপটকা অস্থির হয় । খুড়িয়ে খুড়িয়ে ঘরের বাইরে বের হয় । রাস্তা ধরে হাটতে থাকে , কিছুদুর গেলেই বাজার ।
ওমা ! চায়ের দোকানে ভিড় কেন ? ঐ ত ওরা সবাই ! । নাদুপটকা
কাছে গিয়ে দেখে , চারকোনা একটা বাক্স , বাক্সের ভেতর একটা মেয়ের
মুখ , মুখ থেকে গলগল করে কথা বেরুচ্ছে । গাইছে - গান গাইছে । সবাই হা করে ওদিকে তাকিয়ে আছে , কোন কথা নেই , কেউ তার দিকে তাকাল পর্যন্ত না ।
নানাও হা করে অনেকক্ষণ বাক্সটার দিকে তাকিয়ে থাকে , ৮০ বছর বয়সের জীবনে কখনো এমন অবাক হন নি তিনি । কিভাবে এতটুকুন
বাক্সে এতবড় মেয়েটা ঢুকল , আবার গান ও গাইছে , কিভাবে ? খুব ভেবে ও তিনি এমন তেলেসমাতির কূলকিনারা ভেবে পান না।
অনেকক্ষণ পর নাদুপটকার দিকে এক বাচ্চা ছেলের চোখ গেল ।
- আরে নানা ! বসেন , বসেন !
- এইটা কিরে ? নানা জিজ্ঞেস করেন ।
- আল্লাগো ! চিনলেন না নানা ! এইটা টিভি । পনের দিন হইল হাশেম
ভাই আনছে । যেই সুন্দর সুন্দর সিনারি দেখায় নানা !
ও ! - কেন যেন নানার চোখে জল এল ।
সে রাতেই তিনি মারা গেলেন ।
অণুগল্প
২ )
রাস্তা হতে বেশ খানিকটা দূরে বড় একটা গাছের আড়ালে লোকটা দাঁড়িয়েছিল । হাতে পাথরের একটা টুকরা । বেশ কিছুক্ষণ পর
রাস্তা ধরে একজনকে আসতে দেখা গেল । তাকে দেখা মাত্রই গাছের আড়ালে দাঁড়ানো লোকটা নড়েচড়ে উঠল । আরেকটু কাছে আসুক সোজা কপাল বরাবর মারা যাবে - ভাবল লোকটা ।হঠাৎ
তার পাথর ধরা হাতটায় কারো স্পর্শ টের পেলেন ।
আরে আরে করেন কি ! পাথর দিয়ে মারবেন না - বলতে বলতে আগন্তুক
তার হাত থেকে পাথরটা কেড়ে নিল ।
হাতের নাগালে চলে এসেছিল ঠিক
মারার মুহূর্তেই ....... ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে ...লোকটার মেজাজ একদম চড়ে গেল ।
কে আপনি ? এমন করলেন কেন ? - কর্কশ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল লোকটা ।
- আপনি কখনো পাথর দিয়ে মারবেন না । পাথরকে পাথরের মত থাকতে
দিন ! আপনি কি জানেন মানুষের গায়ে পাথর লাগলে পাথর ব্যথা পায় ।
সন্দেহ নেই পুরাই পাগল । - লোকটা মনে মনে বলে এবং হেসে দেয় ।
- আপনি হাসছেন ? আপনি কি পবিত্র গ্রন্থে পড়েন নি পাথরের জীবন
আছে ? সেও কাঁদে !
তারপর আগন্তুক পাথরটা নেড়ে - চেড়ে দেখল অনেকক্ষণ , শেষমেষ হতাশ
হয়ে পাথরটা লোকটার হাতে দিয়ে বলে - না ! এটা না !
এতক্ষণ কি দেখলেন ? হীরে ভেবেছেন নাকি ? - লোকটার কণ্ঠে ব্যঙ্গ ।
- না ! আমি কাবিলের পাথর খুজছি ।
- মানে ? লোকটা অবাক ।
- কেন পবিত্র গ্রন্থে পড়েন নি কাবিল হাবিলকে পাথর মেরে হত্যা করেছিল ? কিন্তূ পাথরটার কি হল তার কোন উল্লেখ নেই । হঠাৎ কাঁদতে শুরু করে
আগন্তুক ,ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে -
আমি সেই পাথরটা খুজছি । এত খুজা খুজলাম তবু তারে পাই না ।
লোকটি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে ।
চোঙ্গা গল্প কি ?
ক্ষুদ্র অবয়বের হাল্কা , কৌতুকপ্রদ , ব্যঙ্গাত্মক গল্প । অন্তধর্মে হাসি ও ব্যঙ্গ
প্রধান , তবে হাসিটা উপরি ,ব্যঙ্গটাই আসল ।
প্রথম উদ্ভাবক চৌধুরী জহুরুল হক । প্রথম লিখা ১৯৬৬ সালে ।
‘চোঙ্গাগল্প’ নামটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অন্য যে দিকদর্শী ভাবনা লেখককে অসাধারণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল তাঁর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শব্দ ‘চুঁয়া’র (চোঙ্গার) বহুমুখী অর্থসৃজনী ক্ষমতা, বিশেষ করে ‘চুঁয়া (চোঙ্গা) ‘ফু দেঅনি চুঁয়া’ (ফু দেয়ার চোঁঙ্গা), চুঁয়াখেলা’ (চোঙ্গাখেলা), ‘ম্যাজিকের চুঁয়া’ (ম্যাজিকের চোঙ্গা) ও চোঙ্গা ফুঁকার অনুষঙ্গ।
লেখকের কথা:
১. চোঙ্গার মধ্য থেকে উদ্দিষ্ট বস্তুকে দেখতে হলে এক চোখেই দেখতে হয় আর সে দেখাটা হয় তীক্ষ্ম লক্ষ্যমুখী এবং তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিশেষ বৈশিষ্যের রূপ-প্রকৃতি। ‘চোঙ্গাগল্প’ হবে সমাজের এ জাতীয় নানা অসংগতি-ভান-ভন্ডামি-মূঢ়তা আর স্ববিরোধিতার খন্ড বৈশিষ্ট্যের পর্যবেক্ষণ-প্রত্যক্ষণের শিল্পত রূপায়ণ।
২. চোঙ্গা ঝিমিয়ে পড়া আগুনকে তাতিয়ে তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। ভেবেছিলাম, চোঙ্গাগল্পের কাজ হবে, সাহিত্যের বেদনা-ভারাক্রান্ত স্যাঁতসেঁতে আবেগ ও ভাবপ্রবণ সমাজভাবনাকে আঘাতে আঘাতে চকিত রা, তাতিয়ে তোলা- চাঙ্গা করা।
৩. মাইকের বহুল প্রচলনের আগে ‘চোঙ’ বা ‘চোঙ্গা’ ছিল বক্তব্যকে দূরে পৌছে দেবার বাহন। মনে করেছিলাম, চোঙ্গা গল্প হবে হাস্য-রঙ্গ-ব্যঙ্গ প্রবণ বক্তব্যবাহক কথাসাহিত্যের একটি নব আঙ্গিক।
৪. ‘চোঙ’ বা ‘চোঙ্গা’ কখনো কখনো ম্যাজিশিয়ানদের ম্যাজিকের বাহনও হয়। সেই ক্ষেত্রে ‘চোঙ’ বা ‘চোঙ্গা’ হয় রহস্যময় এক নাটকীয় চমকের আধার। অতএব, চোঙ্গাগল্প হবে কৌতূহল উদ্দীপক নাট্যকীয় চমক সৃজনের গল্প।
৫. টেডী অর্থে যা বোঝায় চোঙ্গা গল্প হবে অনেকটা সে ধরনের- টাইট টাইট মূলের উপর সামান্য মাত্র ভাষা এবং ভাব-ভাবনার প্রলেপ।
চোঙ্গাগল্প খর্বাকৃতি গল্প। বস্তুত ছোট না হলে চোঙ্গাগল্প হবে না।
সর্বনিম্ম ছোটত্বের সীমারেখা নির্ণয়ের জন্য চোঙ্গা প্যান্টের মুখের কথা ভাবুন। অথবা যদি হঠাৎ সৌভাগ্যক্রমে কোন চোঙ্গাকে দেখা যায় তবে একচোখে দেখে নিন।
চোঙ্গা গল্পের বিষয়বস্তু হবে সাধারণ হালকা। কৌতুকপদ অথবা ব্যাঙ্গাত্মক। দাঁত মুখ খিঁচিয়ে চিন্তা করার মতো বিষয় নিয়ে চোঙ্গাগল্প না লিখলেই ভালো।
কারণ এতে চোঙ্গাগল্পের স্বভাব ধর্ম নষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে।
উনার কিছু গল্প
১ ) শর্ত সাপেক্ষে
রাত্রে শোবার ঘরে শুয়ে শুয়ে খবরের কাগজ পড়ছিলেন ভদ্রলোক।
স্ত্রী বললেন: এই শুনছো? তোমাকে তো একটা কথা বলা হয়নি।
: কী কথা?
: ছোটোখাটো একটা বিপ্লব ঘটে গেছে।
: কোথায়? কখন?
: খবর পেলাম আজই। তোমার বন্ধুর বোন শায়লা কাপড়-চোপড় আর যাবতীয় স্বর্ণ অলংকারসহ চট্টগ্রাম চলে এসেছে। ও আর ঢাকায় যাবে না। বলেছে, পড়াশোনা করবে এখানেই এবং কখনোই শ্বশুড় বাড়িতে ফিরবে না। স্বামী যদি চাকরি নিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে তো ভালো, না হয় তাকেও ত্যাগ করবে।
: ওদের প্রতিক্রিয়া কী?
: এই সব কথা শুনে ওর শাশুড়ি সাফ বলে দিয়েছেন, শায়লাকে কোন অবস্থাতেই আর ওদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে না। কেউ যদি ওকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়- শায়লার শাশুড়ি আত্মহত্যা করবেন।
: ভারি মুশকিল তো। শায়লা কী বলেছে?
: বলেছে, ও নিজে থেকে যদি শ্বশুর বাড়ি যায় ওর শাশুড়ি সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করেন, তাহলে ও মত পরিবর্তন করতে পারে।
: তার মানে?
: ও আবার শ্বশুড় বাড়িতে ফিরে যাবে।
২ ) একাল-সেকাল
প্রথম পর্ব
“খোকন আমার, খোকন আমার, মুক্তো আমার হীরে”
প্রথম সন্তানকে কোলে নিয়ে সুর করে কবিতা আবৃ্ত্তি করেছিলেন জরিনা বেগম।
শেষ পর্ব
: হারামজাদা, শুয়োরের বাচ্চা, তোরা আমায় জ্বালিয়ে মারলি।
অষ্টম সন্তানকে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে বললেন ভদ্র মহিলা।
৩ ) সম্বোধন
প্রখ্যাত এক চিত্রকরের সঙ্গে খ্যাতিমান এক কথাশিল্পীর প্রথম পরিচয় ঘটে এক ক্লাবে। দু’জনই আমুদে আড্ডাবাজ।
আলাপ জমে উঠল অল্প সময়ে।
অর্ডার মতো পানীয় এল।
এক পেগ খাওয়ার পর চিত্রকর কথাশিল্পীর পিঠ চাপড়ে বললেন: আমি কিন্তু আপনাকে তুমি বলব।
দ্বিতীয় পেগ খাওয়ার পর চিত্রকর বললেন: তোমাকে আমি তুই বলব।
: বলবেন।
তৃতীয় পেগ খাওয়ার পর চিত্রকর বললেন: তোকে আমি শালা বলে ডাকব।
কথাশিল্পী বললেন: শালা!
আমার দুটি চোঙ্গাগল্প
১ ) তোমার উপন্যাস ৭ চ্যাপ্টারে কেন ?
- জানেন ত মামা , মিলান কুন্ডেরার প্রিয় সংখ্যা ৭ ।
তিনি ৭ চ্যাপ্টারে উনার উপন্যাস শেষ করেন ।
যেহেতু আমি উনার ভক্ত আর ৭ সংখ্যাটি লাকি তাই আমিও .............
- রাবিশ ! এসব থার্ডক্লাস সেন্টিমেন্ট নিয়ে এখনও বসে আছ ? আমার গেঞ্জির দিকে তাকাও ...
- মামা ! তোমার গেঞ্জিতে তে ৭ টা ৭ !
- হুম ! তোদের এই সব ফালতু কুসংস্কারের প্রতিবাদ স্বরূপ আমি আমার গেঞ্জিতে...
২ )
- সকালে কি খাইছ ?
- ভাত
- দুপুরে ?
- ভাত ।
- রাতে ?
- ভাত !
- রাবিশ ! এই কারণেই বাঙালি গেল !
অনুপদ্য
১) যত ভুল
তত ফুল !
২) সোনাবতি রাজকইন্যে
কুথায় তুমার ঘর
তুমার লাগি পইড়া থাকে
আমারি অন্তর ।।
৩ )
ওহে পরী !
আমি রক্ত হয়ে ঝরি !
৪) নাগর আলি ভালবাসা
মিছে কথা , মিছে আশা !!
৫) ভালবাসি
তাই কাছে আসি ।
৬) রক্ত ছেঁচে মুনাফা বাড়ায় যারা
অমোঘ নিয়মে বেঘোরে মরে তারা ।
৭) এখনও আজান হয় , নড়ে পাখির ঠোঁট
কেউ ত বলে না , ওঠ বাবা ! উঠ ।
৮ ) মশা ত আমার চতুর প্রেমিকা, রক্তে আকিছে চুমা
তাহারি পরশে প্রতিটা রজনী কাটিতেছে অরঘুমা !!
মশা দিতাছে প্রেমের পদ্ম আমি নাহি পারি নিতে
তথাপি মশা দিতাছে আশা মনোরম সঙ্গীতে !!
আমারে মশার লাগিছে ভাল মশারীও তা জানে
খুলিয়া রাখিছে তাহারি ফটক স্থানে স্থানে ।।
৯ ) ভালামন্দে কাটাকাটি নাই অন্তে আদিতে ফাঁকি
আমি মানুষের মেলে বয়া আকাশে তাকায়া থাকি ।
কবিতা - আমি
আমি যন্ত্রণার, আমি উপেক্ষার
আমি সত্যের মত বদমাশ।।
আমি ক্যান্সার, আমি দাবানল
আমি উদ্ধত বুনো বর্বর
আমি কর্কশ
আমি হিংস্র
আমি সঞ্চিত বিষ- মিশ্র,
আমি চেঙ্গিস
আমি তৈমুর
আমি তপ্ত – গোলাতে ভরপুর।।
আমি বেদনার
আমি হতাশার
আমি রক্ত – কৃষ্ণ – কদাকার।।
আমি নষ্ট, আমি ভালগার
আমি দুঃখ – বিনাশী ওলগার,
আমি দানিয়ুব, আমি পদ্মার
আমি সৃষ্টি – পিয়াসী স্রষ্টার !!
আমি ক্রীতদাস
আমি শয়তান
আমি নোংরা গুটানো আচকান,
আমি উম্মাদ
আমি বজ্র
আমি শান্তির -ক্ষেপণাস্ত্র !!
আমি হিল্লোল
আমি কল্লোল
আমি কুসুমিত মোতি- মখমল,
আমি উজ্জ্বল
আমি উচ্ছল
আমি মৃত্যুঞ্জয়ী শতদল।।
আমি শিল্পী
আমি জ্যাকশান
আমি চিত্রা পারের সুলতান
আমি মর্মর
আমি ভাস্কর
আমি সম্রাট সা-জাহান ।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ।