পিক্সার ১৯৭৯ সালে শুরু হলেও স্টিভ জবস যখন অ্যাপল কর্পোরেশন থেকে বের হয়ে এসে ১৯৮৬ সালে পিক্সার কিনে নেন তখন থেকেই অ্যানিমেশন জগতে এক নতুন বিপ্লব শুরু হতে থাকে। ১৯৯৫ সালে ডিজনির সাথে পিক্সারের প্রথম ছবি টয় স্টোরির বিপুল জনপ্রিয়তা পিক্সারকে অ্যানিমেশন মুভির জগতে শক্ত অবস্থান তৈরী করে দেয়। পরে অ্যাপল কর্পোরেশন পিক্সারকে কিনে নিয়ে আবার স্টিভ জবসকে অ্যাপলের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। এরপর পিক্সার একের পর এক অসাধারন সব অ্যানিমেশন মুভি তৈরী করতে থাকে এবং ব্যাবসায়িক দিক দেয়েও সবগুলোই সফল। পিক্সার এখন পর্যন্ত ১০টি একাডেমি এ্যাওয়ার্ড, ৪ টি গোল্ডেন গ্লোবস এবং ৩ টি গ্যামী এ্যাওয়ার্ড জিতেছে। পরে ২০০৬ সালে দ্যা ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানী পিক্সারকে কিনে নেয়।
পিক্সার এখন পর্যন্ত ১০ টি অ্যানিমেশন ফিচার ফ্লিম তৈরী করেছে। তা হলো :
১। টয় স্টোরী – ১৯৯৫ সাল।
২। এ বাগ’স লাইফ – ১৯৯৮ সাল।
৩। টয় স্টোরী ২ – ১৯৯৯।
৪। মনষ্টার ইনক্ – ২০০১।
৫। ফাইন্ডিং নিমো – ২০০৩।
৬। দ্যা ইনিক্রিডিবল – ২০০৪।
৭। কার’স – ২০০৬।
৮। রাট্যাটোউলি - ২০০৭।
৯। ওয়ালই - ২০০৮।
১০। আপ – ২০০৯।
সামনে আরও আসছে নতুন ৪টি মুভি। সেগুলো হচ্ছে :
১। টয় স্টোরী ৩ – রিলিজ হচ্ছে ১৮ জুন, ২০১০।
২। কার’স ২ – রিলিজ ডেট ২৪ জুন ২০১১।
৩। দ্যা বিয়ার এন্ড দ্যা বোউ – রিলিজ পাবে ২৫ ডিসেম্বর, ২০১১।
৪। নেওয়েট – রিলিজ হবে জুন, ২০১২।
পিক্সারের শর্ট ফ্লিমগুলোর তালিকা নিচে দিলাম :
১। The Adventures of André and Wally B.
২। Red's Dream
৩। Tin Toy 1988
৪। Knick Knack
৫। Geri's Game
৬। For the Birds
৭। Mike's New Car
৮। Boundin
৯। Jack-Jack Attack 2005
১০। One Man Band
১১। Mater and the Ghostlight
১২। Lifted
১৩। Your Friend the Rat
১৪। Presto
১৫। BURN-E 2008
১৬। Partly Cloudy
১৭। Dug's Special Mission 1984
১৮। Luxo Jr.
পিক্সারের কয়েকটি শর্ট ফ্লিম ইউটিউবে দেখুন :
১। Lifted (২০০৬)
২। For the Birds (Best Animated Short Film winner)
৩। Geri's Game (Best Animated Short Film winner)
৪। Presto (২০০৮)
একটা সময় ছিলো যখন ওয়াল্ট ডিজনির আলাদিন, লায়ন কিং, মুগলী, টারজান, সিন্ডারেলা, মুলান, অ্যানাস্টেসিয়া, স্নো হোয়াইট এন্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফ ইত্যাদি 2D এ্যানিমেশন মুভিগুলো অবাক হয়ে দেখতাম, এই মুভিগুলো মূলত ছোটদেরকে লক্ষ্য করেই তৈরী করা হতো। কিন্তু পিক্সারের 3D মুভিগুলো আমার মনে হয় ছোট/বড় সব বয়সের মানুষকেই আনন্দ দেবে। এর কারন এদের জমজমাট কাহিনী, প্রতিটি ছবি দেখার পরে আপনাকে অনেকক্ষন ভাবাবে এবং এক অজানা ভালো লাগায় মনকে ছুয়ে দেবে। তাছাড়া অ্যানিমেশনে অনেককিছু দেখানোর সুযোগ আছে যা বাস্তবে সেট তৈরী করে বা অভিনয় করে করা মুশকিল। যেমন : সায়েন্স ফিকশন মুভি। এ্যানিমেশন মুভিগুলো ধীরে ধীরে অনেক বেশী রিয়েলিস্টিক হচ্ছে, কিছু কিছু এ্যানিমেশন মুভি দেখে তো এখন বিশ্বাস করাই কঠিন যে এগুলো এ্যানিমেশনে করা। এখানেই 2D আর 3D মধ্যে চলছে যুদ্ধ, থ্রিডি মুভিগুলোই আকর্ষনীয় গ্রাফিক্সের কারনে সহজে দর্শকদের আকর্ষন করছে কিন্তু তাই বলে 2D মুভি নির্মাণও থেমে নেই। যাইহোক, যারা এখনও পিক্সারের এইসব অসাধারন মুভিগুলো দেখেননি তারা এখনই দেখে ফেলুন। ঈদে টিভি চ্যানেলগুলোর বিরক্তিকর অনুষ্ঠানের চাইতে অনেক বেশি আনন্দ পাবেন তা গ্যারান্টেড।