১ম পর্ব এখানেআগামীকালের বিশেষ কৌতুক ১০-১০-১০ (কমন পরলে ...র দিয়েন না) কানে কানে বলি- পিঠে ...লা বা... আছে!
তারপর সে কবিতাটি সম্পন্ন করল।
কপাল ভাসিয়া যায় নয়নের জলে,
পা দুটো বাঁধা ছিলো গাছের ডালে।
এ ঘটনার পর থেকে ঐ স্যার তার কবিতায় ভুল ধরতে সাহস পেলেন না। ছাত্রটি শুধু বাংলাতে কবিতা লিখতো তা নয়। বাংলীশ ভাষাতেও লিখতো। বলাবাহুল্য বাংলীশ শব্দের অর্থ বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মিশ্রণ। ইংরেজি স্যারের সামনে এমনি এক কবিতা বলল সে।
ইন দ্যা স্কাই
হেয়ার দেয়ার ইজ চিকন মুন,
লাইক সুকান্ত ভট্স কাস্তে
ইট কামস ডাউন
কাট মাই গলা আস্তে আস্তে।
এ রকম বাংলীশ কবিতা শুনে ইংরেজী স্যারও তাকে একটি বাংলীশ কবিতা শুনিয়ে দিলেন।
সি ইন মাই হ্যান্ড
ঞযরং মোটা বেত
মারব তোর পিঠের উপর
প্যাত্ প্যাত্ প্যাত
জীব বিজ্ঞান স্যার তাকে প্রশ্ন করেছিলো, হাতি এবং ঘোড়ার মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তরে সে বলেছিলো, স্যার-একজনের লেজ সামনে আর একজনের লেজ পেছনে। পদার্থ বিজ্ঞান স্যার তাকে প্রশ্ন করেছিলো, আকাশের দিকে তাকালেতো কোন পানি দেখা যায় না, তবুও বৃষ্টির সময় এত পানি আসে কোথা থেকে?
ছেলেটির উত্তর, স্যার পৃথিবী সব সময় ঘুরছে। ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী একবার উপরে আর একবার নিচে চলে যায়। যখন পৃথিবী উপরে উঠে তখন সমুদ্রের কিছু পানি আকাশে পড়ে যায়। পৃথিবী ঘুরে আবার নীচে এসে আকাশ থেকে সেই পানি বৃষ্টি হয়ে পরে।
আর একবার স্যার তাকে প্রশ্ন করেছিলো যে, তোমার মায়ের ভাইয়ের ছেলে তোমার কী হয়? স্যারের এই প্রশ্নের উত্তর সে অসাধারণভাবে করলো। উত্তর সঠিক না ভুল আপনারাই বলুন। “স্যার সে সম্পর্কে আমার দাদার ভাইয়ের শ্যালিকার ফুপুর খালার দুলাভাইয়ের শ্বশুরের মেয়ের জামাইয়ের ছোট বোনের মামার ছেলে হয়। উত্তরটি শোনার পর স্যার মাথা ঘুরে পড়েগিয়েছিলেন, এবং ৩ ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে। এতসব কান্ডকারখানা ঘটানোর পর এই ছাত্রটি সুখ্যাতি অর্জন করবে না’তো কে করবে? যে কিনা জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানোর ছোট ভাইয়ের নাম দেয় চা আনান। সে কি’না করতে পারে। বাংলার প্রত্যেক স্কুল কলেজে যদি মডার্ণ যুগের এই মডার্ণ ছাত্রের মতো ছাত্র থাকতো তা হলে কি অবস্থা হতো!
চলবে.........